স্পেসএক্স নামে মহাশূন্যযান প্রথম চারজন সাধারণ নাগরিককে নিয়ে মহাশূন্যে ঘুরতে গিয়েছিল। ৩৮ বছরের প্রফেশনাল পাইলট এবং বিলিওনিয়ার জ্যারেড আইজ্যাকম্যান এর নেতৃত্বে গত ১৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় আমেরিকার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে রকেটটি যাত্রা শুরু করে । জ্যারেড আইজ্যাকম্যান Shift4 Payments কোম্পানির মালিক এবং তিনি ২২০ মিলিয়ন ডলার খরচ করে চারটি সিট বুকিং করেন স্পেস শিপের জন্য।
জ্যারেড আইজ্যাকম্যান চেয়েছিলেন এই মিশন থেকে সেন্ট জুড চিলড্রেন হাসপাতালের শিশুদের ক্যান্সার গবেষণায় অর্থ দান করতে এবং মিশন শুরু করার আগেই ১০০ মিলিয়ন ডলার দান করেন এবং স্পেসএক্স এর প্রতিষ্ঠাতা এলোন মাস্ক আজকে সকালে যে মুহূর্তে The Dragon capsule চারজনকে নিয়ে প্যারাসুটটি সাগর পারে নেমে আসে, তার সাথে সাথেই ৫০ মিলিয়ন ডলার দান করেন।
তার সাথে সঙ্গী হিসেবে বেঁছে নিয়েছিলেন যাদেরকে তাদের মধ্যে : প্রথম ব্যাক্তি হিসেবে ২৯ বছরের হাইলি আর্সেনালস যিনি সেন্ট জুড চিলড্রেন হাসপাতালের একজন প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। হাইলি আর্সেনালস এই হাসপাতালে শিশু অবস্থায় ক্যান্সারের চিকিৎসা নিয়ে নিয়ে সুস্থ্য হয়ে পড়ালেখা শেষ করে ডাক্তার হিসেবে শিশু ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করা শুরু করেন এই হাসপাতালে।
দ্বিতীয়জন হলেন ৫১ বছরের ড.সিয়ান প্রক্টর যিনি আফ্রিকান আমেরিকান একজন নোভোচারি.
আর তৃতীয়জন হলেন ইরাকে যুদ্ধ ফেরত ইঞ্জিনিয়ার ৪১ বছরের ক্রিস সেমব্রসকি।
স্পেস এক্স টি গত তিন দিন মহাশূন্যে ছিলো। মহাশূন্যে অর্বিট (গুর্ণনের ) থেকে বিচ্যুতির পরে ঘন্টায় ১৭,৫০০ মাইল গতিতে ‘থি ড্রাগন ক্যাপসুল’টি পৃথিবীর দিকে নামা শুরু করে এবং যখন গতি কমে ঘন্টায় ৩৫০ মাইল বেগে নামতে থাকে এবং ১৮,০০০ ফুট উপরে থাকা অবস্থায় ক্যাপসুলের প্যারাসুট খুলে যায়।তারপরে গতি কমে গিয়ে ঘন্টায় ১১৯ মাইল গতিতে আটলান্টিক মহাসাগরের ক্যাপ কানাভেড়াল সাগর পারের পানিতে পরে।
এই শুরু হলো মানুষের আরেকটা নতুন দিগন্তের যাত্রা।
জয়ের নেশায় মানুষ পাগলের মতো তাঁদের জ্ঞান অর্জন ও প্রয়োগ করার জন্য ছুটছে। মানুষের জয় জয়কারের আরেকটা মাইলফলক।