অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল সরকারের এনার্জি বিষয়ক মন্ত্রী ক্রিস বোয়েন,গত কয়েকদিন আগে সাগরের পারের কিছু এলাকা পরিদর্শন করেছেন উইন্ড টারবাইন বসানোর সম্ভাব্য জায়গা গুলো কোথায় হতে পারে। এরই মধ্যে গিপসল্যান্ড, নিউক্যাসেল এবং ওলোঙ্গগঙ এর সাগরে তীর থেকে কিছু দূরে জায়গাগুলোতে উইন্ড টারবাইন বসানো হতে পারে এবং অত্র এলাকার সিটি কাউন্সিল কার্বন মুক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিষয়ে আগ্রহও দেখিয়েছে।
ক্রিস বোয়েন বলেছেন, ” অস্ট্রেলিয়া উইন্ড টারবাইন টেকনোলজি ব্যবহার করার দিক থেকে আমেরিকা, ইউরোপ থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে যদিও আমাদের অনেক প্রাকৃতিক সুবিধা রয়েছে। “
অস্ট্রেলিয়ার কার্বনমুক্ত উৎস থেকে প্রায় ৩৬% বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে ২০২০ সালে যার মধ্যে ১০% বিদ্যুৎ এসেছে উইন্ড টারবাইন থেকে।
ভুমিতে বসানো একেকটা উইন্ড টারবাইন থেকে ২-৩ মেগা ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষম যা বছরে ৬ মিলিয়ন কিলো ওয়াট ঘন্টা বিদ্যুৎ বছরে গ্রীডে দিতে পারে যা সাধারণ বাসাবাড়ির মধ্যে বছরে ১৫০০বাসার বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে সক্ষম।
এতদিন পর্যন্ত ৭ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন উইন্ড টারবাইনই ছিল সবচেয়ে বড় কিন্তু সরকার এখন যে প্রকল্প নিয়েছে তাতে ১৪ মেগা ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন একেকটা উইন্ড টারবাইন যার একেকটা পাখা ১০০ মিটার লম্বা প্রায় কয়েক ডজন উইন্ড টারবাইন বসছে। তারমানে একেকটা টারবাইন লম্বায় প্রায় ২৬০ মিটার হবে। সিডনি হারবার ব্রিজের সর্বোচ্চ শিখর সাগর থেকে ১৩৫ মিটার।
এতো বিশাল সাইজের এই টারবাইন সাগরের মধ্যেই বসবে এবং উৎপাদিত বিদ্যুৎ সাগরের তলদিয়েই ভুমিতে এনে বিদ্যুতিক গ্রীডে সংযুক্ত করা হবে। যদিও প্রথম দিকে খরচ বেশী হবে কিন্তু পরবর্তীতে খরচ কমে যাবে এবং ভূমিগুলো মুক্ত থাকবে।
এই প্রকল্পের উইন্ড টারবাইনগুলো বসানো শেষ হলে যে পরিমান বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে তাতে সমস্ত ভিক্টরিয়া রাজ্যে যে পরিমান বিদ্যুত লাগে তার ২০% চাহিদা পূরণ হয়ে যাবে।
সাগরে বসানোর হবে এই জন্য যেনো সব সময় বাতাস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হতেই থাকে।