রাশিয়ার ব্লাগোভেশ্চচেন্স এলাকার আমুর স্টেট মেডিকেল একাডেমি যা তৈরী হয়েছিল ১৯০৭ সালে আর সেখানের এক কার্ডিওলজিস্ট সার্জন ভ্যালেন্টাইন্ ফিলাটভ ৮ জন ডাক্তার ও নার্স সমন্বয়ে একটি সার্জারি টীম নিয়ে একজন রুগীর ওপেন হার্ট সার্জারি করা শুরু করলো।
আর ঐ হাসপাতালের কাঠের ছাদে তখনই আগুন লেগে যায় কোনো কারণে। সাথে সাথে ফায়ার ফাইটার টিমের সদস্যরা হাসপাতালে অবস্থানরত ১২৮ জন লোককে উদ্ধার করার জন্য যাবতীয় ফায়ার ফাইটিং সহায়ক সব কিছু নিয়ে হাজির হয়ে আগুন নিভানোর পাশাপাশি উদ্ধার কর্ম চালিয়ে যাচ্ছিলো । বিল্ডিং এর ইলিকট্রিসিটিও বন্ধ করে দিলো নিরাপত্তার জন্য কিন্তু সার্জন হার্ট ওপেন করা রুগীকে অপারেশন শেষ না করে যেতে পারছেন না কারণ এই অবস্থায় রেখে গেলে মৃত্যু অবধারিত ।
বিনা বিদ্যুতে ইমার্জেন্সি সাপ্লাই দিয়েই অপারেশন চালিয়ে যেতে লাগলেন আর ফায়ার ফাইটাররা শুধু অপারেশন থিয়েটারের ধুঁয়া মুক্ত রেখে অপারেশন চালিয়ে যাবার জন্য সাহায্য করে যাচ্ছিলেন । রুমটি ধুঁয়া মুক্ত রাখার জন্য ইলেকট্রিক ভেন্টিলেইটর ব্যবহার করছিলেন তারা দুই ঘন্টা ধরে । অবশেষে দুই ঘন্টা অপারেশন চালানোর পরে ডাক্তার তার কাজ শেষ করলে রুগীকে অন্য হাসপাতালে নেবার জন্য নির্দেশ দেন এবং তার টীম নিয়ে সকলেই নিরাপদে হাসপাতাল ত্যাগ করেন ।
এই ঘটনায় তুলপাড় হয়ে গেলো রাশিয়ায় । রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিডিয়াকে বলেন আমরা ১২৮ জনকেই সম্পূর্ণ সুস্থ্য অবস্থায় উদ্ধার করতে পেরেছি ।
এদিকে সার্জন ভ্যালেন্টাইন্ ফিলাটভ বলেন, “আমাদের উপায় ছিলো না ঐ অবস্থায় রুগীকে ফেলে যাবার। তাই আমরা সার্জারি চালিয়ে গিয়েছিলাম ।আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টাই করেছি রুগীকে বাঁচানোর জন্য ।”
সূত্র : এবিসি অস্ট্রেলিয়া