গত সপ্তাহে ব্রিটিশ জার্নাল অফ স্পোর্টস মেডিসিনে একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে মানুষের দৈনিক হাঁটাচলা/ ব্যায়ামের সাথে জীবন মৃত্যুর ঝুকি কতোটা নির্ভরশীল সেটার উপরে।
দৈনিক দ্রুত ১১ মিনিট যদি হাঁটা যায় তা মানুষের জীবনের উপর বিশাল প্রভাব বিস্তার করতে পারে।
গবেষণাটি করে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি মোট ১৯৬ টি গবেষণাভিত্তিক আর্টিকেলের উপর ভিত্তি করে যেখানে প্রায় ৩০ মিলিয়ন মানুষের তথ্য উপাত্ত নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে। সেখানে দেখা যায় দৈনিক সামান্য অথবা মধ্যম সারির ব্যায়াম কয়েক মিনিট করলে মানুষের শারীরিক সুস্থ্যতার উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে।
সপ্তাহে যারা অন্তত ৭৫ মিনিট দ্রুত হাঁটবেন অথবা অন্যান্য শারীরিক কসরত করবেন তাঁদের বিশেষ কিছু অস্বাভাবিক মৃত্যু ঝুকি কমে যায়। গবেষণায় দেখা যায় রীতিমতো মধ্যম সারির ব্যায়াম অথবা দ্রুত হাঁটাচলা করে যারা তাঁদের হৃদরোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা ২৭% কমে যায় যা দেখা উক্ত গবেষণায় সরাসরি প্রতিফলিত হয়েছে। মধ্যম সারির ব্যায়াম বা হাঁটা, সাইকেল চালানো, পাহাড়ে উঠা, নৃত্য করা, সাঁতরানো ইত্যাদিকে করাকে ধরা হয়েছে , যা করলে দ্রুত শ্বাস প্রশ্বাস বেড়ে যায়, কিন্তু শরীরের উপর অতিরিক্ত চাপ না দেয়া যাতে দ্রুত শ্বাস প্রশ্বাস নিতে গিয়ে কথা বলা আটকে যায় ।
এছাড়াও দেখা গিয়েছে মাত্র ১১ মিনিটের হাঁটাহাঁটি /মধ্যম সারির ব্যায়ামের ফলে কয়েক ধরণের ক্যান্সার (মাথা ও গলার ক্যান্সার , গ্যাস্ট্রিক ক্যার্ডিয়া, লেওকিমিয়া, ব্লাড ক্যান্সার )হবার সম্ভাবনা অনেক কমে যায় এবং এছাড়াও সম্ভাবনা কমে যায় ফুসফুসের ক্যান্সার, যকৃত ক্যান্সার, এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সার, কোলন ও ব্রেস্ট ক্যান্সারের।
গবেষণা দলের প্রধান ড. সোরেন ব্রাগি বলেন, ” আপনি যদি সেই দলের একজন হন যিনি সপ্তাহে ১৫০ মিনিট মধ্যম সারির ব্যায়াম করের তাঁদের জন্য সব কয়টি শুভ সংবাদ বেরিয়ে এসেছে।”
এমনকি যোগ ব্যায়াম, ভারউত্তোলন, বাগানের কঠোর পরিশ্রম, বাজারের ভারী ব্যাগ হাতে হাঁটাকেও এই মধ্যম সারির ব্যায়াম হিসেবে গবেষণায় ধরা হয়েছে।