৬০০ কিলোগ্রামের দানব কুমির ধরা পড়ল অস্ট্রেলিয়ায়৷ কুমিরটিকে প্রথম দেখতে পাওয়া যায় ২০১০ সালে৷ তারপর আট বছর তাকে ধরার বহু প্রচেষ্টা করা হয়৷ কিন্তু তাকে ধরা যায়নি৷ দীর্ঘদিন পরে অবশেষে জালে ধরা পড়ল সেই বৃহদাকায় কুমির৷
ওই লবণ জলের কুমিরের ওজন ৬০০ কিলোগ্রাম৷ আট বছর ধরে তার খোঁজে তল্লাশি চালানো হয় বিভিন্ন জায়গায়৷ শেষমেশ মঙ্গলবার তাকে খাঁচাবন্দি করা সম্ভব হয়েছে৷ সরকারি তরফে তার ধরা পড়ার খবর প্রচার পেতেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন সকলে৷ ৪.৭ মিটার লম্বা মানে ১৫.৪ ফুট৷ রাক্ষুসে ওই কুমিরকে ধরার জন্য ফাঁদ পাতা হয় উত্তরের প্রান্তিক শহর ক্যাথেরাইনে৷ ২০১০ সাল থেকেই অবশ্য তাকে দেখতে পাওয়ার পরই ফাঁদ পাতা হয়৷ কুমিরটির বয়স প্রায় ৬০ বছর বলে মনে করা হচ্ছে৷
বন দফতরের অফিসার জন বুরকে এক সংবাদ মাধ্যমকে জানান ” আমরা এটাকে অনেক নামে ডাকি৷ কারণ একে ধরতে বহু প্রচেষ্টা চালাতে হয়েছে৷” তিনি আরও জানান, ” এটিকে ধরা রোমাঞ্চের থেকে কিছু কম নয়৷ এর আকারটা একবার দেখুন৷ সেটা প্রশংসার যোগ্য৷ তারপর এর বয়স৷ এসব দেখে এর প্রতি একটা সম্মান তৈরি হয়৷” উত্তরের এলাকার দায়িত্বে থাকা বন্যপ্রাণী অভিযানের প্রধান ট্রেসি ডুলডিজ জানিয়েছেন, কুমিরটিকে সাধারণ মানুষের থেকে আলাদা করে একটি কুমিরের খামারে রাখা হয়েছে৷ তিনি জানান, “আজ পর্যন্ত ক্যাথেরিন নদী থেকে ধরা পড়া কুমিররে মধ্যে সব থেকে বড় কুমির এটি৷” প্রতি বছর বন্যপ্রানী অভিযানের দল প্রায় ২৫০ টির মত কুমির ধরে৷ প্রধানত যারা সমস্যা তৈরি করে সেসব কুমিরকেই ধরা হয়৷
যদিও লবণাক্ত জলের কুমিরের বিষয়টি অস্ট্রেলিয়ার মানুষের কাছে খুবই সাধারণ৷ এরা বছরে কম করে দুজন মানুষকে মেরে ফেলে৷ যবে থেকে কুমিরকে সে দেশে সংরক্ষিত প্রাণী বলে ঘোষণা করা হয়েছে তার পর থেকেই কুমিরের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে৷ ১৯৭০ এ কুমিরকে সংরক্ষিত প্রাণী হিসেবে ঘোষণা করা হয়৷ গত বছর এক বৃদ্ধাকে কুমির মেরে ফেলে৷ তার পর থেকেই এদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা শুরু হয়৷(সূত্র কলকাতা ২৪X৭)