অনলাইন ডেস্কঃ ১১ জুলাই ২০১৫
আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমি লাভের জন্য রাজনীতি করি না। আমার পিতা সততার সঙ্গে রাজনীতি করেছেন। নেতার (বঙ্গবন্ধু) জন্য মৃত্যুবরণ করেছেন। এটাই আমার রক্ত।’
শনিবার রাজধানীর বেইলি রোডে অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে এক ইফতার অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব হারানো আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এই প্রথম ওই বিষয়ের দিকে ইঙ্গিত করে কথা বললেন।
রাজনীতিতে নিজের ভূমিকা অব্যাহত রাখার ইঙ্গিত দিয়ে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, তার বাবা বঙ্গবন্ধুর জন্য জীবন দিয়েছেন। তিনি সেই রক্তের উত্তরসূরি।
বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহকর্মী ও প্রবাসী সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে আশরাফ ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির পর শেখ হাসিনাসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের বন্দি হওয়ার প্রেক্ষাপটে দলে সাধারণ সম্পাদকের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আসেন।
২০০৯ সালের জানুয়ারিতে শেখ হাসিনার সরকারে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন আশরাফ।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে আশরাফকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করা হয়।
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে গ্রেপ্তারের পর ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যা করা হয়।
‘ঢাকাস্থ হোসেনপুর উপজলো সমিতি’ আয়োজিত ইফতার মাহফিলে অংশ নিয়ে কথা বলেন সৈয়দ আশরাফ। তার নির্বাচনী এলাকা কিশোরগঞ্জ-১ এর অন্তর্ভুক্ত এই উপজেলা।
হোসেনপুরবাসীর উদ্দেশ্যে আশরাফ বলেন, ‘আমার পিতা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বেঈমানি করেন নাই। আমি মন্ত্রী হই বা না হই, রাজনীতি করি বা না করি, সব সময় হোসেনপুরবাসীর সঙ্গে থাকব।’
সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ওই এলাকার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুর রহিম বলেন, ‘সরকারের এই সিদ্ধান্তে আমরা কিশোরগঞ্জ ও হোসেনপুরবাসী ক্ষুব্ধ। তবে আমরা নেতার (আশরাফ) সঙ্গে আছি এবং থাকব।’
হোসেনপুর উপজেলা সমিতির সভাপতি মো. নুরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও সমিতির উপদষ্টো শাহ মো. মনসুরুল হক প্রমূখ।
(সুত্রঃ বিডিলাইভ২৪, ১১ জুলাই ২০১৫)