অনলাইন ডেস্কঃ ২ ডিসেম্বর ২০১৫
সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় দেশে ক্রমবর্ধমান অসহিষ্ণুতা নিয়ে যে বিতর্ক চলছে, তাতে অংশ নিয়ে মিঃ থারুর এই মন্তব্য করেন।
তিনি আরও জানান, ভারতে যেভাবে অসহিষ্ণুতা ক্রমেই বেড়ে চলেছে সেই পটভূমিতে তাঁর ‘একজন বাংলাদেশী বন্ধু’ই তাঁকে এ কথাটি বলেছেন।
ওই বন্ধুকে উদ্ধৃত করেই মিঃ থারুর পার্লামেন্টে কথাটি বলেন, তবে ওই বন্ধুর নাম বা পরিচয় তিনি প্রকাশ করেননি।
‘‘আর তারা ভারতকে আক্রমণ করবেন না-ই বা কেন, এখানে তো একজন মুসলিমের চেয়ে একটি গরুও বেশি সুরক্ষিত। মুসলিমদের চেয়ে গরুদের কদর বেশি,’’ ওই বন্ধুকে উদ্ধৃত করে পার্লামেন্টে বলেন মিঃ থারুর।
কেরলের তিরুবনন্তপুরম থেকে নির্বাচিত এমপি মিঃ থারুর আরও বলেন, ভারতে নরেন্দ্র মোদি সরকার যতদিন ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র প্রসার ঘটাতে না পারবে ততদিন ‘হেট ইন ইন্ডিয়া’ থাকবে।
অর্থাৎ দেশে ঘৃণা ও বিদ্বেষ থাকলে সেখানে শিল্প কিছুতেই উৎসাহ পাবে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘নীরবতা’কে আক্রমণ করে ভোটের আগে তিনি ‘সম্পূর্ণ অন্য মানুষে’র মতো আচরণ করেছেন বলেও শশী থারুর মন্তব্য করেন।
তবে মিঃ থারুর পার্লামেন্টে এই মন্তব্য করার পর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়াতে আক্রমণের ঝড় বয়ে যাচ্ছে।
অনলাইনে তাঁর বিরুদ্ধে অনেকেই অভিযোগ এনেছেন, শশী থারুর এই ধরনের মন্তব্য করে দেশে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়াতে চাইছেন।
গত বছর শশী থারুরের স্ত্রী সুনন্দা পুষ্করের রহস্যময় মৃত্যুর প্রসঙ্গ টেনে এনে কেউ আবার লিখেছেন, ‘‘গরুর চেয়ে কি না জানি না, তবে আপনার স্ত্রীর চেয়ে অন্তত মুসলিমরা এ দেশে বেশি সুরক্ষিত।’’
কিছুদিন আগে বুকার পুরস্কারজয়ী লেখিকা অরুন্ধতী রায়ও বলেছিলেন ভারতে মুসলিমদের প্রবল ভয় আর আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে – আর এই পরিস্থিতিকে বর্ণনা করার জন্য অসহিষ্ণুতা শব্দটা আদৌ যথেষ্ট নয়। ( সুত্রঃ বিবিসি বাংলা)