বহু দেশে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে সৌদি আরব

বহু দেশে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে সৌদি আরব

কাতার সন্ত্রাসে মদত দেয় – এই অভিযোগে দেশটির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের চারটি দেশ৷ তবে এখন সারা বিশ্বে সন্ত্রাস ছড়ানোয় সৌদি আরবের ভূমিকার বিষয়টিও খুব স্পষ্টভাবে উঠে আসছে৷

ব্রিটেনে সন্ত্রাসী হামলার পর থিংক ট্যাংক ‘হেনরি অ্যান্ড জ্যাকসন সোসাইটি’ এক সমীক্ষায় সন্ত্রাসবাদে কোন কোন দেশ অর্থায়ন করে তার একটা তালিকা প্রকাশ করেছে৷ সেখানে কাতারের নাম এসেছে৷ তবে সৌদি আরবের নামটি এসেছে আরো জোরালোভাবে৷ লন্ডনভিত্তিক এই থিংক ট্যাংক স্পষ্ট করেই বলেছে, ‘‘বিশ্বের সব মুসলিম দেশ এবং পশ্চিমা দেশগুলোর মুসলিম জনগোষ্ঠীর মাঝে ১৯৬০-এর দশক থেকেই ওহাবি ভাবধারার ইসলামকে ছড়িয়ে দিতে মাল্টিমিলিয়ন ডলার খরচ করে আসছে সৌদি আরব৷”

হেনরি অ্যান্ড জ্যাকসন সোসাইটি-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, সৌদি আরব এখনো ব্রিটেনে উগ্রবাদের বিস্তার ঘটানোর পেছনে ভূমিকা রাখছে৷ জরুরি ভিত্তিতে এমন তৎপরতা রোধের উদ্দেশ্যে ব্রিটেনের সব মসজিদ এবং ‘ইসলামি’ প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে বিদেশি অর্থ সহায়তা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে হেনরি অ্যান্ড জ্যাকসন সোসাইটি৷

এদিকে জঙ্গিবাদে মদত দেয়ার বিষয়ে সৌদি তৎপরতা নিয়ে জার্মানির ফ্রাংকফুর্টার রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক সুজানে শ্র্যোটারও ডয়চে ভেলের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেছেন৷ এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘হেনরি অ্যান্ড জ্যাকসন সোসাইটি যে তথ্য দিয়েছে, তা জেনে আমি মোটেই অবাক হইনি৷এটা দীর্ঘদিন ধরেই জানা বিষয় যে, সৌদি আরব ওহাবি ভাবাদর্শ রপ্তানি করে আসছে৷ ” তিনি বলেন, সৌদি অর্থায়নে জার্মানিতেও উগ্রবাদের বিস্তার ঘটছে৷ বিষয়টি পরিষ্কার করতে গিয়ে বেশ কিছু দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছেন সুজানে শ্র্যোটার৷ জার্মানির সালাফি নেতা পিয়েরে ফোগেল যে সৌদি আরবের দেয়া বৃত্তি নিয়ে মক্কা থেকে লেখাপড়া করে এসেছেন– সে বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন তিনি৷