অস্ট্রেলিয়ায়  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

অস্ট্রেলিয়ায়  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

 ১লা জুলাই ২০১৮, রবিবার “নানা রংয়ের দিনগুলি” শ্লোগান নিয়ে সারাদিন ব্যাপী সিডনির ইঙ্গেলবার্নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন অস্ট্রেলিয়ার উদ্যোগে এক মিলন মেলার আয়োজন করা হয়। অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রাণের টানে ছুটে আসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা।

দুপুর  ১২টায় সংগঠনটির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পরবর্তীতে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের মুলপুর্বের আলোচনা সভায় সংক্ষিপ্ত বক্ত্রিতা রাখেন সংগঠনের প্রেসিডেন্ট মোস্তফা আব্দুল্লাহ ,সেক্রেটারি জেনারেল আনিস মজুমদার। আমন্ত্রিত বিশেষ অতিথি জাকির হোসেন অস্ট্রেলিয়াতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার  বিভিন্ন কাজে সংগঠনটির আর্থিক অনুদানসহ বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

এরপর  দুপুরের খাবার পর্ব চলাকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষায়জীবনকালীন স্মৃতিচারণে অংশগ্রহন করেন প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আনিসুর রহমান , মহিউদ্দিন আহমেদ, ডক্টর লায়লা আনজুমান ,কাজী সুলতানা সিমি , মাহমুদুল হক, হায়াৎ মাহমুদ, রওশন পারভিন,ডলি জহুর ও  রফিক উদ্দিন।  এই পর্বটি পরিচালনা করেন ডক্টর খাইরুল চৌধুরী।

শিশুকিশোরদের  নানা পরিবেশনা নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয় মধ্যান্ন ভোজের পর পরই। এই পর্বের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ থেকে বিশিষ্ট অভিনয় শিল্পী বিশেষ অতিথি ডলি জহুর । তিনি অস্ট্রেলিয়ায় বেড়ে উঠা নতুন প্রজন্মের শিশু-কিশোরদের বাংলা চর্চার বিশেষ প্রশংসা করেন এবং সন্তানদের বাংলা ভাষা এবং সাংস্কৃতি শিক্ষার ব্যাপারে বাবা-মাকে সময় দেয়ার জন্য অনুরোধ জানান।  দলগতভাবে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির  শুরু হয়।একক ভাবে গান পরিবেশন করে সাফিনা জামান , ঈশান তারিক, সুদেষনা ছোঁয়া।  নৃত্য পরিবেশন করে তাঁরা হুদা এবং নওশাবা রহমান।নতুন প্রজন্মের ঐহিক তারিকের ‘কোনো এক মাকে ..’ আবৃত্তির সাথে সাথে নৃত্য পরিবেশন করেন  নৃত্য শিল্পী পূৱবি পারমিতা বোস। এই সাংস্কৃতিক পর্বটিতে গীটারে সহায়তা করেন সোহেল খান, মন্দিরায় লোকমান হোসেন,তবলায় সাকিনা আক্তার ,হারমোনিয়ামে রোকসানা রহমান। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন সেলিমা বেগম।

কিছু মজাদার প্রশ্নমালা নিয়ে প্রতিবারের মতই “ত্রিভিয়া” পর্বটি পরিচালনা করেন  নাফিজা চৌধুরী । এই পর্বে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হন এহসান আহমেদ(ফলিত পদার্থ),ইমরান হোসেন(ভূতত্ত্ব) এবং সুলতানা নূর(মনোবিজ্ঞান)।

সাংস্কৃতিক পর্বের দ্বিতীয় পর্বে গান পরিবেশন করেন আনিস রহমান ও রোকসানা রহমান জুটি, সজীব , তামান্না, তামিমা শাহরীন ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী আপেল মাহমুদ। এই পর্বটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন  সাংস্কৃতিক সম্পাদক কামরুল মান্নান আকাশ।

সবশেষে  অনুষ্ঠিত হয় রাফেল ড্র। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ভাগ্যবানদের তালিকায় নাম উঠে আসে তানভীর আবির , আইভি রহমান, রাসেল মালিক।এই পর্বটি পরিচালনা করেন লিঙ্কন শফিকউল্লাহ এবং সহায়তা করেন হায়াৎ মাহমুদ ও রফিক উদ্দিন।

সবশেষে এই মিলনমেলাকে সুন্দরভাবে বাস্তবায়ন করতে যারা সাহায্য করেছেন তাদেরকে সংগঠনের পক্ষ থেকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা  এবং  ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানটির পরিসমাপ্তি টানেন  আনিস মজুমদার।

এলামনাইদের বরণ ও রেজিস্ট্রেশনের সহায়তা করেন ডক্টর জাকিয়া হোসেইন , ডক্টর খাইরুল চোধুরী, হায়াৎ মাহমুদ, রফিক উদ্দিন।হল সজ্জাতে ছিলেন ডক্টর সাবরিনা ফারুকী, অডিও ও ভিডিও তে ছিলেন মাহমুদুর রহমান বাদল , তহবিল ও অর্থ পরিচালনায় কামরুল ইসলাম।সার্বিক শব্দ নিয়ন্ত্রনে ছিলেন আত্বাবুর রহমান এবং তবলায় ছিলেন বিজয় সাহা। আপ্যায়নে ছিলেন অলি আহম্মেদ।