সিডনির লাকেম্বায় ফোন সেট কেনার নাম করে বাংলাদেশি যুবককে ছুরিকাহত করে পালিয়েছে দূর্বৃত্ত

সিডনির লাকেম্বায় ফোন সেট কেনার নাম করে বাংলাদেশি যুবককে ছুরিকাহত করে পালিয়েছে দূর্বৃত্ত

আহত বাংলাদেশি যুবক আহসান কবীর চৌধুরী (ইরান)

ফজলুল বারী:অবিশ্বাস্য একটি ঘটনা ঘটেছে সিডনিতে। ফোন সেট বিক্রির জন্যে গামট্রি’তে বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন বাংলাদেশি এক যুবক। ফোন সেট দেখার নাম করে বাসায় আসে ভিয়েতনামিজ বংশ্দভূত এক দুষ্কৃতিকারী। ফোন সেট দেখার এক পর্যায়ে বিক্রয়ইচ্ছুক বাংলাদেশি যুবকের গলায় ধরে ছুরি সে। যুবকের স্ত্রী’র কাছে বাধা পেয়ে অবশেষে এলোপাতাড়ি ছুরিকাহত করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতিকারী।

খবর পেয়ে ছুটে আসে পুলিশ, গোয়েন্দারা। আহত যুবককে স্থানান্তর করা হয় হাসপাতালে। যুবকের হাত, গলা এবং পেটে ছুরির আঘাত লেগেছে। এরমধ্যে হাতের আঘাতটি গুরুতর। ঘটনাটি গত শুক্রবার ৫ অক্টোবর রাতের। বাংলাদেশি যুবক আহসান কবীর চৌধুরী (ইরান) তার আইফোন টেন সেট বিক্রির বিজ্ঞাপন দেখে তা কেনার নাম করে দূর্বৃত্ত লাকেম্বার রেলওয়ে প্যারেডের বাসায় আসে রাত ৮ টার দিকে। ১৮-১৯ বয়স হবে দূর্বৃত্তের। কিন্তু ফোনসেট কেনার বদলে দূর্বৃত্ত গলায় ছুরি ধরে। ইরান তা তার হাত দিয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করলে দূর্বৃত্ত তার হাত-গলা-পেট বরাবর ছুরি চালাতে শুরু করে। চিৎকার শুনে ইরানের স্ত্রী ছুটে এলে পালিয়ে যায় দূর্বৃত্ত। ইরানের স্ত্রী তানিয়া ছুটে সে দেখেন ফিনকি দিয়ে রক্ত বেরুচ্ছে তার স্বামীর শরীরের বিভিন্ন অংশে। সাহায্যের জন্যে ট্রিপল জিরোতে ফোন করলে দ্রুত ছুটে আসে পুলিশ, প্যারামেডিকসের দল। গুরুতর আহত ইরানকে দ্রুত সিডনির রয়েল আলফ্রেড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। হাসপাতালের চিকিৎসা শেষে এরমাঝে বাসায় ফিরে এসেছেন ইরান।

পুলিশ বলেছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট থেকে তারা এরমাঝে দূর্বৃত্তকে শনাক্ত করেছে। এই দূর্বৃত্তের আগেও এ ধরনের অপরাধের রেকর্ড রয়েছে। বাংলাদেশের কুমিল্লার ছেলে ইরান পড়াশুনা উপলক্ষে ২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়া এসে এদেশে অভিবাসন নেন। ইরান-তানিয়া দম্পতির পাঁচ ও ছয়মাস বয়সী দুটি সন্তান আছে। তাদের পাঁচ বছর বয়সী ছেলের সামনে ভীতিকর পুরো ঘটনাটি ঘটায় তারা বেশি উদ্বিগ্ন। ঘটনাটি প্রবাসী কমিউনিটিতে আতঙ্ক সৃষ্টির কারন এর আগে এ ধরনের ঘটনা শোনা যায়নি।

ফজলুল বারী