ফজলুল বারী:প্রিয় প্রজন্ম, তোমাদের বয়সে বাড়ি থেকে পালিয়ে আমি যা করেছিলাম তা আমার জীবন বদলে দেয়। আঠারো মাসে আমি তখন পায়ে হেঁটে ঘুরে দেখেছি আমাদের চমৎকার এই জন্মভূমি দেশ। ওই সময়ে এলাকায় এলাকায় ,মুক্তিযোদ্ধাদের সাক্ষৎকার নিয়ে আমি বাংলাদেশের উৎস বৃত্তান্তের সন্ধান পাই। একাত্তরে এই জনপদের তুমুল তরুনেরা অসীম সাহসী এক যুদ্ধে গিয়েছিল। তাদের সিংহভাগ ছিল স্কুলের বেকবেঞ্চার। স-কল্ড ভালো ছাত্র না। বাবা-মা’কে না জানিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে অংশ নেয় যুদ্ধে। আবার কিছু বাবা-মা তাদের ছেলেদের যুদ্ধে যেতে এগিয়ে দিয়েছিলেন। পাকিস্তানি সৈন্যরা তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার-আলবদরদের সঙ্গে নিয়ে এর প্রতিশোধ নিতে তাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়। অনেক বাবা-মা’কে তারা হত্যাও করে। যুদ্ধে যাবার অপরাধে অনেক মুক্তিযোদ্ধার বোনকে ধরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষনের পর হত্যা করা হয়। হায়েনার দল অনেক মুক্তিযোদ্ধার ভাইকে তুলে নিয়ে গিয়ে বলাৎকারও করেছে। তাদের ঋন কোনভাবেই শোধ হবার নয়। আমার পায়ে হেঁটে বাংলাদেশ ভ্রমনের সময় আমি নিভৃতে থাকা এমন একেকজন মুক্তিযোদ্ধাকে পেয়ে তাদের কাছে একাত্তরে তার বয়স, তখন কী করতেন এসব জানতে চাইতাম। এলাকায় তখন কাদের নেতৃত্বে আন্দোলন চলছিলো, প্রথম কে সেখানে তুলেছিল স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা, পাকিস্তানি সৈন্যরা এলাকায় চলে আসার পর কিভাবে যুদ্ধে গেলেন, কোথায় ট্রেনিং হলো, যুদ্ধের কিছু বর্ননা এসব জানতে চাইতাম তাদের কাছে। ভারতের ট্রেনিং ক্যাম্পে প্রথম দিকে বেশিরভাগ মুক্তিযোদ্ধার ভালো খাবার-কাপড়ের ব্যবস্থা ছিলোনা। সাপে-জোঁকে কাটতো প্রায়। এমন অনেক সমস্যা, কিন্তু এসবকে কেউ আমল পাত্তা দিতেননা। যুদ্ধে যাবার আগে ক্যাম্প থেকে বেরুবার সময় তারা জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বলে শ্লোগান দিয়ে শপথ নিতেন। অপারেশন শেষে জয়ধবনি করতেন জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বলে। এসব বলতে বলতে অনেক মুক্তিযোদ্ধা, ‘আমাদের বঙ্গবন্ধু যার নামে আমরা যুদ্ধ করলাম, সেই বঙ্গবন্ধুকে তারা মেরে ফেলেছে। এখনও তার নাম প্রকাশ্যে নিতে দেয়না। এসব বলে হাউমাউ করে কাঁদতেন। এ বিষয়গুলো আমার মনে তখন গভীর রেখাপাত করে। মুক্তিযোদ্ধাদের কান্না শুনতে শুনতে টের পেতাম আমার চোখও ভেজা।
এলাকায় এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের সাক্ষাৎকার নিতে নিতে আমি সংগ্রহ করেছিলাম মুক্তিযুদ্ধের স্থানীয় ইতিহাস। এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং রাজাকারদের তালিকা আমি তখনই তাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করি। আমি তখনই দেখি এলাকায় এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের সামাজিক-অর্থনৈতিক নাজুক অবস্থা। কিছু পাবার আশায় তারা সেদিন যুদ্ধে যাননি। কিছু পাবার আশায় কেউ যুদ্ধে যায়না। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে তৃণমূল পর্যায়ের মুক্তিযোদ্ধাদের করুন অবস্থার কারন শুরুতে বলেছি তারা স-কল্ড মেধাবী ছাত্র ছিলোনা। মেধাবীরা তখনই সবকিছু হাতিয়ে নেয়। এখনও নিচ্ছে। আর মুক্তিযোদ্ধারা হয়ে পড়েন দুঃস্থ মুক্তিযোদ্ধা। একাত্তরের স্বাধীনতা-বিরোধী রাজাকারদের ততদিনে বিএনপি-জাতীয় পার্টি সামাজিক-রাজনৈতিক পুনর্বাসনের কাজ করে ফেলেছে। এ নিয়ে ক্রোধ দেখতাম মুক্তিযোদ্ধাদের চোখে মুখে। আমাকে তারা বলতেন একাত্তরে এদের ধরতে পারলেতো আমরা মেরে ফেলতাম। এখন মারতে গেলেতো মার্ডার কেস হবে। তোমরা অন্তত এদের বিচারের ব্যবস্থা করো। আমি তখন তাদের অনেককে এ নিয়ে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলাম।
এরপর আমি যখন সাংবাদিকতায় আসি আমার অন্যতম কাজ থাকতো এই বিচারের পক্ষে জনমত সংগঠনের কাজ করা। আমার প্রথম পত্রিকা বিচিন্তায় আমার সারাদেশে সংগ্রহ করা রাজাকারের তালিকা ছাপা হতো। নয়া পদধবনি নামের একটি পত্রিকায় কাজ করার সময় ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’ গঠিত হয়। শহীদ জননী জাহানারা ইমামকে আমরা ‘আম্মা’ ডাকতাম। তাঁর শহীদ সন্তান রুমির ‘আম্মা’ ডাকের অভাব ভুলিয়ে রাখতে এভাবে চেষ্টা করতাম আমরা। গণআদালতে গোলাম আজমের বিচারের সময় আমাদের ‘প্রিয় প্রজন্ম’ নামের একটি পত্রিকা তখন গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে। গণআদালতের রায় বেরুবার পর সেই রায় নিয়ে সেদিন টেলিগ্রাম পত্রিকা বের করেছিল প্রিয় প্রজন্ম। সাংবাদিকতার সময় অনেক সময় আমার চাকরি ছিলোনা। অর্থকষ্টে থাকলেও কখনো কোন রাজাকার-যুদ্ধাপরাধীর পত্রিকায় কাজ করিনি। জনকন্ঠে কাজ করার সময় যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্যে বড় পরিসরে কাজ করার সুযোগ ঘটে। আমরা যখন এই বিচারের জন্যে কাজ করতাম তখন বিষয়টি আমাদের কাছে স্বপ্নের মতো ছিল। আমাদের এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের কাজটি হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে। এরজন্যে তার প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।
এই বিচারে যাদের ফাঁসি হয়েছে তাদের যুদ্ধাপরাধের অনেক রিপোর্ট আমার হাতে হয়েছে। এসব রিপোর্ট করতে গিয়ে অনেক যুদ্ধাপরাধীর সঙ্গে আমি বিভিন্ন সময়ে সরাসরি কথা বলেছি। তাদের কখনো এ নিয়ে অনুতপ্ত মনে হয়নি। তাদের বিচার বা কেউ তাদের গায়ে হাত দিতে পারবে এমন বেপরোয়া ঔদ্ধ্যত্ত্বও ছিল। এই দর্পচূ্র্নের কাজটি সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার দৃঢ়তার কারনে। একেকটি ফাঁসির আগেপরে যুদ্ধাপরাধীদের ছেলেমেয়েদের ঔদ্ধ্যত্ত্বও বাংলাদেশ দেখেছে। তারাও তাদের পিতাদের দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের জন্যে অনুতপ্ত নয়। এদের অনেকে ফাঁসিতে মৃত্যুবরনকারী যুদ্ধাপরাধীদের কবরে অনেকে ধৃষ্ট ‘শহীদ’ নামফলকও লাগিয়েছিল। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার কারনে এই নামফলকও তাদের খুলতে হয়েছে।
এই নির্বাচনে যদি শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আসতে দেয়া না হয় তাহলে তাদের কবরে কিন্তু শহীদ’ নামফলক লাগবে। তাদের সামাজিক-রাজনৈতিক পুনর্বাসন হবে। যেমন ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর যুদ্ধাপরাধী নিজামী-মুজাহিদকে মন্ত্রী করা হয়েছিল। এখন নিবন্ধন না থাকা স্বত্ত্বেও জামায়াতের ২৫ প্রার্থীকে ধানের শীষের প্রার্থী করা হয়েছে! এদের মার্কা ধানের শীষ, ডক্টর কামাল হোসেন-আ স ম আব্দুর রব-কাদের সিদ্দিকী-মাহমুদুর রহমান মান্নারও মার্কা ধানের শীষ! এটি মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি-শহীদ পরিবারের প্রতি স্পষ্ট ঠাট্টা-মশকরা। হুশিয়ার প্রিয় প্রজন্ম। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসাবে চাই তোমাদের জীবনের প্রথম ভোট।
প্রিয় প্রজন্ম, ২০১৬ সালে আমি বাংলাদেশে গিয়েছিলাম। বাংলাদেশের নানা অগ্রগতি দেখে চমকে যাই। ২০০৭ সালে আমি যখন অস্ট্রেলিয়ায় আসি তখন বাংলাদেশের মানুষের গড় আয় ছিল ৩৬৪ ডলার। এখন তা ১৭০০ ডলারের বেশি। এমন নানা সূচকে বাংলাদেশের ব্যাপক অগ্রগতি আজ দেশেবিদেশে আলোচনার শীর্ষে। খাদ্য উৎপাদন সহ নানাকিছুতে বাংলাদেশ এখন স্বয়ং সম্পূর্ন। নানা অগ্রগতিতে বাংলাদেশ এখন পাকিস্তানতো বটে, ভারতসহ প্রতিবেশী অনেক দেশের চাইতে এগিয়ে। অস্ট্রেলিয়ার বাজারে কাপড় কিনতে গেলে আমরা সবগুলোতে লেখা পাই ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’! কী যে আনন্দে তখন গর্বে আমাদের বুক ভরে ওঠে তা বলে বোঝানো যাবেনা। বাংলাদেশের প্রায় এক কোটি মানুষ এখন বিদেশে থাকেন। বিদেশে আমাদের মর্যাদা এখন আমরা টের পাই প্রতিদিন।
অস্ট্রেলিয়ায় মানুষ আছে আড়াই কোটি। আর বাংলাদেশের দশকোটির বেশি মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। এখানে আমরা দশ ডলারে এক জিবি ডাটা কিনি। আর বাংলাদেশে মোবাইল ডাটার দাম যখন টিভিতে বিজ্ঞাপনগুলোয় দেখি তাতে চমকে উঠি। এই ইন্টারনেটের দাম নাকি বাংলাদেশে আরও কমবে! শুধু পোশাক শিল্প না, নানাকিছুতে বাংলাদেশের অগ্রগতি বিস্ময়কর। নিজের টাকায় পদ্মাসেতু হচ্ছে বাংলাদেশে। এলিভেটর এক্সপ্রেস-মেট্রোসহ নানাকিছু হচ্ছে। কল্যান রাষ্ট্রের নানান ভাতা চালু হয়েছে বাংলাদেশে। মঙ্গা দূর হয়েছে। কোন মানুষ এখন আর না খেয়ে থাকেনা। আমরা ছোটবেলা কিন্তু ফ্রি বই পাইনি। বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা এটা এখন পায়। ফেসবুকে বাংলাদেশের ছেলেদের মেয়েদের পোশাক-ফ্যাশন এসব দেখে চমকে উঠি। আমাদের সময়ে এসব ছিলোনা। এমন আরও অনেক কিছু লিখা যায়। এর সবকিছু সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারনে। প্রিয় প্রজন্ম তোমরা জিয়া-এরশাদ-খালেদার শাসন দেখোনি। আমি দেখেছি। তাই পার্থক্যগুলো আমি বুঝতে পারি।
অস্ট্রেলিয়ায় আমি বাংলাদেশের নতুন ছাত্রছাত্রীদের চাকরিতে সহায়তা নিয়ে কাজ করি। এখানে আসার পর এমন বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করতে বলি যা পড়লে এদেশে তার কাজের বাজার-অভিবাসন হবে। বাংলাদেশেও পড়াশুনা নিয়ে চলতি ধারনা বদলানো দরকার। অনেকে এমন সব বিষয়ে পড়ে যার কোন কাজের বাজার নেই। এখানে সরকারি চাকরি নিয়ে যুবাদের আগ্রহ কম। সবার আগ্রহ কোন কাজ করলে আয় বেশি হবে। বাংলাদেশে এবার নির্বাচনী ইশতেহারে বেকারভাতার কথা বলা হয়েছে। এটি সম্ভব। নিবন্ধনকৃত বেকারদের অস্ট্রেলিয়ায় বেকারভাতা দেয়া হয়। তাদের কাজ পেতে সহায়তার সময় পর্যন্ত দেয়া হয় এই বেকারভাতা। আমরা এ নিয়ে কাজ করবো। আর কাজ করবো শিক্ষা ঋন নিয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়সহ উচ্চ শিক্ষার টিউশন ফী রাষ্ট্র সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দেবে। পড়াশুনা শেষে চাকরিতে যাবার পর কিস্তিতে পরিশোধ করা হবে এই শিক্ষা ঋন। এমন আরও অনেক কাজ আমরা করবো। কিন্তু এরজন্যে আমাদের শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় ধরে রাখতে হবে।
প্রিয় প্রজন্ম, আগেই বলেছি আমি জিয়া-এরশাদ-খালেদার শাসন দেখেছি। তরুনদের মূল্যায়নের এমন আন্তরিক উদ্যোগ আগে কখনো দেখিনি। এক মাশরাফির মনোনয়ন থেকেই ধারনা নিতে পারো তরুনদের কিভাবে মূল্যায়ন করেন শেখ হাসিনা। মিরাজ যখন ভালো খেলে সবার নজরে আসে তখন জানা গেলো তার শ্রমজীবী পিতামাতার থাকার একটি ভালো ঘর নেই। শেখ হাসিনা সঙ্গে সঙ্গে মিরাজের জন্যে একটি বাড়ির ব্যবস্থা করেন। এমন ভূরি ভূরি উদাহরন দেয়া যায়। আমজাদ হোসেন অসুস্থ এখবর পত্রিকায় দেখে শেখ হাসিনার তার ছেলেদের ডেকে নিয়ে চিকিৎসার টাকা তুলে দেন। এমন মানবিক অনেক কাজ করেন প্রতিদিন শেখ হাসিনা। তাঁরও বয়স হয়েছে। অন্তত আরেক মেয়াদের জন্যে তিনি হয়তো ক্ষমতায় থেকে কাজ করতে পারবেন। এ সুযোগ আমরা কেনো হারাবো প্রিয় প্রজন্ম।
প্রিয় প্রজন্ম এই নির্বাচনে তোমাদের অনেকে প্রথমবারের মতো ভোট দেবে। এই ভোট তোমাদের জন্যে স্মৃতিময় হয়ে থাকবে সারাজীবন। এই ভোট আমি তোমাদের কাছে শেখ হাসিনার জন্যে নৌকায় চাইছি। ইনি তোমাদের মতো আমাদের মাশরাফি-সাকিব-মিরাজদেরও অভিভাবক। প্রথম ভোটটা তোমাদের হোক মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে নৌকায়। শেখ হাসিনার বিপক্ষ শক্তি ক্ষমতায় আসতে পারলে কিন্তু ফাঁসিতে মৃত্যুবরনকারী যুদ্ধাপরাধীদের কবরে উঠবে ‘শহীদ’ শিরোনামের ধৃষ্ট নামফলক। আমরা কী তা সহ্য করবো প্রিয় প্রজন্ম? আমার বিশ্বাস তোমাদের ভোটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আরেকবার ক্ষমতায় আসতে পারলে বাংলাদেশের চলতি অগ্রগতি আমাদের প্রিয় দেশটাকে বহুদূর নিয়ে যাবে।
সারাদেশ পায়ে হেঁটে ঘুরেছি বলে আমি আমার জন্মভূমি দেশটাকে চিনি প্রিয় প্রজন্ম। সে কারনে আমি নিশ্চিত নির্বাচনে বিজয়ী হচ্ছেন শেখ হাসিনা। তাঁর বডি ল্যাঙ্গুয়েজ তা বলে। এখন দেশে দুর্নীতি সহ যত সমস্যা আছে এসব নিরসন শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই সম্ভব। কারন ব্যক্তি শেখ হাসিনা এবং তাঁর পরিবার দুর্নীতির উর্ধে। এই জয়রথে আমি তোমাদেরও চাই প্রিয় প্রজন্ম। তোমাদের জীবনের প্রথম ভোটটাই হোক একজন বিজয়ীর পক্ষে। আমাদের দেখা হবে জয়ের মিছিলে। আর আমরা দেবো মুক্তিযুদ্ধের জয়ধবনি, জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু। তোমাদের জয় হোক।