নিজস্ব প্রতিনিধিঃআমাদের বায়ান্নের ভাষা আন্দোলনের হাত ধরে অর্জিত একুশে ফেব্রুয়ারি আজ সারাবিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়।
প্রবাস জীবনে আমরা যে যেখানেই থাকি চেষ্টা করি একুশের চেতনায় দিনটি উদযাপন করতে।
সপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবারে পার্থে বাওয়া (বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ান এসোসিয়েশন ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া) একুশের ফেব্রুয়ারী ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনে আয়োজন করেছিল এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের।
কমিউনিটি হলে স্থাপন করা হয়েছিল একটি শহীদ মিনার।
অস্ট্রেলিয়ান মন্ত্রী পল পাপালিয়া, লোকাল এম এল এ ও ক্ষমতাসীন দলের সদস্যদের উপস্থিতিতে শহীদ মিনারে পুষ্প অর্পিত হয়।
বাওয়া প্রেসিডেন্ট সাব্বির হোসেন, মন্ত্রী, এম এল এ ও নেপালি প্রেসিডেন্টের ভাষণের পরে ফারহানা আলির তত্ত্বাবধানে একটি সাংস্মৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিলো যেখানে সরাসরি অংশগ্রহনে ছিল বাংলাদেশ, শ্রীলংকা, নেপালি কমিউনিটির সদস্যরা।
সাথে ছিল হাই স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের জন্য একটি বিতর্ক প্রতিযোগিতা।
বাওয়া (বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ান এসোসিয়েশন ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া) প্রতি বছর একুশে ফেব্রুয়ারির অনুষ্ঠানে এই বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে।
বছরের শুরুতেই শুরু হয়ে যায় অনুষ্ঠানের রিহার্সাল ও আয়োজনের তোড়জোড়।
এ বছর বাওয়ার জেনারেল সেক্টরেটরি রাজ্ জোয়ারদার পক্ষ ও বিপক্ষের দলের জন্য শারমিন সারা ও মুসাররাত কায়সার সিদ্ধিকীকে মেন্টর নিয়োগ করেন যারা হাই স্কুলের ছজন ছাত্র ছাত্রীকে প্রস্তুত করেছে যাতে বিতার্কিকরা সঠিকভাবে পার্লামেন্টারিয়ান নিয়ম কানুন মেনে বিতর্ক উপস্থাপন করতে পারে।
হাই স্কুলের বাচ্চাদের মধ্যে ভাষা দিবসের মর্মার্থ উপলব্ধি ও ওদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোটাই এখানে মূল উদ্দেশ্য।