অনেক স্মৃতি, মায়ার টান ছেড়ে বাংলাদেশ থেকে অনেক দূরে অস্ট্রেলিয়া নামক ব-দ্বীপটি অনেকেই এসেছেন স্থায়ী ভাবে বসবাস করতে। ধনী দেশ অস্ট্রেলিয়ার সুযোগ সুবিধা,পরিবেশ এবং আবহাওয়া কোনোটারই তুলনা হয় না পৃথিবীর অনেকে দেশের সাথে। বাংলাদেশী পৰ্যটক ছাড়াও অনেকেই বলে অস্ট্রেলিয়া সত্যিই এক সুন্দর দেশ। সব সুন্দর দেশেও যেন কিছু একটা নেই। ফেলে আশা সুখের কিছু মানুষ, ফেলে আসা ঐতিহ্য , সংস্কৃতি এবং সাথে আরো অনেক কিছু।
তাদের মধ্যে অবশ্যই একটি হল ,কুয়াশা মাখা সকালে শিউলী ফুল গাছের তলায় ফুল কুড়ানোর স্মৃতি যা অনেককেই তাড়া করে। বাংলাদেশের আবহাওয়ার সাথে কুইন্সল্যান্ডের অনেকটা মিল থাকাতে,সেখানে বসবাসরত বাঙালিরা বাংলাদেশী অনেক ফুল ( কৃষ্ণচুড়া , রাঁধাচুড়া, শাপলা ) দেখার ও ফলের (বড়ই ,কাঁঠাল,লিচু ইত্যাদির ) স্বাদ পেয়ে থাকেন। তাইত অস্ট্রেলিয়াতে শিউলী ফুল ফোটানোর প্রচেষ্টা চলছে কিছু বাঙালিদের বাগানে। এরই মধ্যে ব্রিজবেনে শিউলী ফুল গাছে অনেক ফুল ফুটেছে, সেই ছবি ফেসবুকে ভেসে এসেছিলো। কিন্তু নিউ সাউথ ওয়েলসে শিউলী ফুল ফুটানো যেতে পারে,এটা নিয়ে কিছু অতি আগ্রহীরা চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে গত কয়েক বছর ধরে। সাফল্যের মুখ দেখছে অনেকেই খোদ সিডনিতে।
নৃত্য শিল্পী পূরবী পারমিতা বোসের বাগানে শিউলী ফুল গাছ হয়েছে এবং গাছটি বড় হয়ে কলি আসছে। পূরবী বলেন, এই ফুল গাছ লাগানোর জন্য শুধুই তার শৈশবের সুমধুর অনেক স্মৃতি কাজ করেছে। তার জন্যই একটু চেষ্টা করেছেন এবং ফুলের অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন ।
ফুল ফুটেছে সিডনির আরেক বাঙালির বাসায়। এই বাগানের মালিকের নাম শিউলী। এই ফুল নিয়ে শিউলী কে প্রশ্ন করা হলে সে জানালো ,শিউলী ফুলটির সাথে তার নামই জড়িয়ে আছে। তাই চারা গাছ তৈরী এবং অবশেষে চারাগাছ থেকে ফুল ফোটানো দেখার অভিজ্ঞতা সত্যিই আনন্দদায়ক।
উল্লেখ্য যে , অস্ট্রেলিয়ার প্রাণী এবং উদ্ভিদ বাঁচাতে সরকার খুবই সচেতন। অস্ট্রেলিয়ান কোয়ারেন্টাইন আইনে সরকারের বিশেষ অনুমোদন ছাড়া কোন বীজ, উদ্ভিদ,জীবন্ত গাছের অংশ বিশেষ এবং অন্য কোন প্রাণী আমদানী নিষিদ্ধ।