গত ১লা জুন ২০২৫, রবিবার সারাদিনব্যাপী সিডনির মিন্টুর ইনডোর স্পোর্টস স্টেডিয়ামে সিডনি বাঙ্গালী বুটিক ক্লাবের ঈদুল আযহা উপলক্ষে আয়োজিত হল সিডনির সর্ববৃহৎ ঈদ এক্সিবিশন। পূর্ণাঙ্গ সহায়তায় ছিল সিডনী বাঙ্গালী কমিউনিটি ইন্ক্ এবং কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ।
সিডনি বাঙ্গালী বুটিক ক্লাবের এই ঈদ এক্সিবিশনে ছিল সিডনির সেরা ৬০ টি বাংলাদেশী অরিজিন বুটিক হাউজ। পর পর ছয় বছর অস্ট্রেলিয়ার বুকে দেশীয় ও উপমহাদেশীয় ফ্যাশান, ডিজাইন , রঙ, স্টাইল নিয়ে দেশীয় ও উপমহাদেশীয় বিভিন্ন ডিজাইনের শাড়ি ,শাল ,সালোয়ার কামিজ, নানা ধরণের গহনা , পাঞ্জাবি , জুতা ,ব্যাগ ও অন্যান্য হাতে তৈরী করা দেশীয় পণ্যের বাহার। এছাড়াও ছিল ফটোবুথ , মেহেদী ও ছোট ছেলেমেয়েদের ফ্রি ফেস পেইন্টিংএর ব্যবস্থা ও দেশীয় খাবারের স্টলে ছিল ঝালমুড়ি , ফুসকা, চটপটি ও অন্যান্য দেশীয় খাবার ।
দুপুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান অতিথি হিসেবে নবনির্বাচিত ফেডারেল এমপি ডেভিড মনক্রিফ , বিশেষ অতিথি ক্যাম্পবেলটাউন সিটি কাউন্সিলর মেয়র ডার্সি লাউন্ড এবং ডেপুটি মেয়র কারেন হান্ট। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ক্যাম্পবেলটাউন সিটি কাউন্সিলের কাউন্সিলর মাসুদ চৌধুরী, কাউন্সিলর মাসুদ খলিল, কাউন্সিলর আশিকুর রহমান, ক্যামডেন সিটি কাউন্সিলের কাউন্সিলর এলাইজা টুম্পা এবং কমিউনিটি লিডার পারভেজ খান, অজয় দত্ত ,শফিকুল আলম, কায়সার আহম্মেদ, সাকিনা আখতার প্রমুখ এবং বুটিক ক্লাবের সদস্যগণ।
শুরুতেই আয়োজক কমিটির প্রধান সেলিমা বেগম উপস্থিত অতিথি ও বুটিক ক্লাবের সদস্যদের স্বাগত জানান।তিনি বলেন ,”অস্ট্রেলিয়ার বুকে দেশি ঈদের আমেজ আনতে কয়েকজন নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে ২০১৯ সালে স্বল্প পরিসরে এই বুটিক ক্লাবের আয়োজন করার পরে বাঙ্গালীদের ঈদের কেনাকাটার আনন্দ দেখে এই বুটিক ক্লাবের পরিসর বাড়াতে হয়েছে প্রতি বছর। এই এক্সিবিশন এখন সিডনির প্রাণ হিসেবে ব্যাপক সারা ফেলেছে যেখানে শারদীয় উৎসবেও ব্যাপক সারা ফেলেছে প্রতি বছর। বাঙ্গালীদের আস্থার জায়গায় পিছনে রয়েছে গুনগত মান ও ব্যাপক পণ্যের সমাগম ”
প্রধান অতিথি ডেভিড মনক্রিফ বলেন ,” আমি বাংলাদেশী অরিজিন অস্ট্রেলিয়ানদের ঈদ আনন্দে সামনের দিনগুলোতে আমি পাশে থাকবো এবং অস্ট্রেলিয়াতে এই ধরণের একটি সফল আয়োজন করার জন্য আয়োজকদের বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তাদের অভিনন্দন জানাই। ”
বিশেষ অতিথি ,সিটি কাউন্সিলের মেয়র ডার্সি লাউন্ড বলেন , “আমার সিটি কাউন্সিলে এতো বড় ঈদ এক্সিবিশনের আয়োজন দেখে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে স্বাবলম্বী করে তোলার এই যে মহান উদ্যোগ এতে দুই ধরণের ফলাফল কমিউনিটি থেকে অস্ট্রেলিয়ার সরকার পাচ্ছে। প্রথমটি হলো মাল্টিকালচারাল চর্চার বিশেষ সুযোগ ও অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার। এই ধরণের আয়োজনকে সাহায্য করতে আমাদের সিটি কাউন্সিল সব সময় পাশে থাকবে। ”
এই এক্সিবিশনে রাত ১০ টা পর্যন্ত এই আয়োজন চলেছে। ঈদের কেনাকাটার জন্য সিডনি সহ , অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরা ও অন্যান্য প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন হাজার হাজার বাঙালি ও মুসলিম কমিউনিটির লোকজন।
ফোটোগ্রাফিতে ছিল ঐহিক তারিক ,স্বাজসজ্জায় ছিল কানিতা হিউমিনিটি ফার্স্ট এবং খাবারের আয়োজনে ছিল জমিদারবাড়ী রেস্টুরেন্ট। 