শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে সিডনী প্রিমিয়ার লীগ প্রি-সিজনের (এসপিএল) ২০১৯ বর্ণাঢ্য সমাপ্তি!!!
সম্প্রীতি (২৮ শে এপ্রিল ২০১৯ রবিবার বিকাল ৪ টায়) অস্ট্রেলিয়ার সিডনী শহরের এর্মিংটন অধ্যুষিত এলাকার জর্জ কিন্ডেল রিভারসাইড পার্কে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল সিডনী প্রিমিয়ার লিগের (এসপিএল) প্রি-সিজন ২০১৯ টি-২০ কমিউনিটি ক্রিকেট গ্র্যান্ড ফাইনাল। শ্বাসরুদ্ধকর সেই ফাইনালে সিডনি প্রিডেটরস সিডনি লায়ন্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে তাদের প্রথম শিরোপা জয়ের স্বাদ পেলো।টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে সিডনী লায়ন্স ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬২ রান করে। জবাবে সিডনী প্রিডেটরস ব্যাটিং এ নেমে সহ-অধিনায়ক শাফিন চৌধুরীর নায়কোচিত ৪১ বলে ৫৮ রানের অপরাজিত ইনিংসটির উপর ভর করে ১৮.৪ ওভারে মাত্র ৪ উইকেট হারিয়েই জয়ের বন্দরে পৌছে যায়। খেলার শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত ছিলেন যেখানে তাঁর চারটি দৃস্টিনন্দন ৪ ও তিনটি বিশাল ৬ এর মার ছিল।পাশাপাশি বোলিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেটও নেন তিনি। তাঁর এই অসাধারণ ক্রীড়ানৈপুন্যের জন্য তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন। পুরো সিরিজ জুড়ে দুর্দান্ত বোলিং এবং তাঁর সময়োচিত ব্যাটিংয়ের জন্য সিরিজের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে ঘোষিত হন সিডনী প্রিডেটরস এর আরেক তারকা ক্রিকেটার আসিফ আদনান। তাঁর বিধ্বংসী এবং মায়াবী লেগ স্পিনের যাদুতে মাত্র ৪ ম্যাচে তিনি ৮ টি মূল্যবান উইকেট শিকার করে দলকে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ান হতে সাহায্য করেন।
টুর্নামেন্টের অন্যান্য অংশগ্রহনকারী দলগুলোর মধ্যে ইউনাইটেড ওয়ারিয়র্স এবং সিডনী হকস ছিল উল্লেখযোগ্য যারা সিডনীতে কমিউনিটি ক্রিকেট সম্প্রসারের উপর গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা রেখে আসছে।
টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত দিন সিডনি প্রিমিয়ার লীগের সভাপতি আরিফ রহমান এবং সহসভাপতি সৈয়দ সাকিবের আমন্ত্রণে আমন্ত্রিত হয়ে সম্মানিত প্রধান অতিথি জুলি ওয়েন (ফেডারেল মেম্বার ফর প্যেরামাটা, শ্যেডো এসিস্ট্যন্ট মিনিস্টার ফর সিটিজেনশীপ এ্যন্ড মাল্টিকালচারাল অস্ট্রেলিয়া, শ্যেডো এসিস্ট্যন্ট মিনিস্টার ফর স্মল বিজনেস) উপস্থিত হয়ে প্রতিদ্বন্দীতাপূর্ন পুরো খেলাটি উপভোগ করেন।
এসময় ম্যাচটি দেখতে আরও উপস্থিত ছিলেন টুর্নামেন্ট এর প্রধান দুই স্পন্সর পার্টনার সিডনি একাউন্টিং অ্যান্ড ট্যাক্সেশন প্রোফেশোনালস এর ডিরেক্টর দেও চাঁদ (দেব) এবং আইডিয়াল এডুকেশন অ্যান্ড ভিসা সার্ভিসেসের ডিরেক্টর মোস্তফা মেহবুব হোসেইন শ্বরন।
সিডনী প্রিমিয়ার লিগ (এসপিএল) এর নিয়োজিত কমিটির সদস্যরা বহুমাত্রিক এই টুর্নামেন্টটির সফল আয়োজনের মাধ্যমে সামাজিক সংস্কৃতির এক অনন্য উদাহরন স্থাপন করলেন। টুর্নামেন্ট কমিটির সদস্যগণ এই দিনটিকে আরও এবং আকর্ষনীয় করে তোলার জন্য বারবিকীউ, সঙ্গীত, সরাসরি ধারাভাষ্য, বাচ্চাদের বিভিন্য ধরনের বিনোদনের ব্যাবস্থা সহ আরও অনেক কিছুর আয়োজন করেন যা কিনা সেদিন সেখানে একটি আনন্দঘন পরিবেশ বয়ে এনেছিল যা সমাজের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বন্ধু-বান্ধব এবং পরিবার-পরিজনকে একসাথে উপস্থিত এবং সফলভাবে একত্রিত করে বাহ্যিক ক্রীড়া প্রচারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এসপিএল এর আয়োজকরা সর্বদাই উদ্ভাবনী প্রযুক্তি এবং সৃজনশীল ধারণাগুলি উপস্থাপনের এবং এর ব্যবহারের মাধ্যমে কমিউনিটি ক্রিকেটের বিপ্লব আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।