ফজলুল বারী: তাহেরের বিচারের খবর শুনে ঢাকা আসার পথে এক দূর্ঘটনায় লুৎফার তখন হাত খালি, নিঃস্ব হয়। কিশোরগঞ্জ থেকে ভিড়ের ট্রনে তিনি ঢাকা আসছিলেন। সঙ্গে সব সম্বল। নিজের বিয়ের শাড়ি, সব ভালো শাড়ি সহ বিয়ের স্বর্নালংকার।
এসব সঙ্গে আনার কারন প্রয়োজনে বিক্রি করে জরুরি প্রয়োজন মেটাবেন। বিয়েতে তাহের কোন স্বর্নালংকার দেননি বা দিতে পারেননি। বিয়ের স্বর্নালংকার সব ছিল লুৎফার বাবা’র দেয়া। এসব ছিল সঙ্গের সুটকেস-বাক্সপোটরায়।
বাক্সপোটরা ছিল মাথার ওপর, ট্রেনের যাত্রীদের মালপত্র রাখার জায়গায়। আগে এসব মালপত্র রাখার জায়গায় লোকজন উঠে ঘুমাতেনও। ঢাকায় নামার সময় লুৎফা টের পান তাঁর সুটকেস-বাক্সপোটরা সব হালকা। ভিতরে কিছুই নেই।
ট্রেনেই কেউ তা কেটে সবকিছু হাতিয়ে নিয়েছে। এরমানে তাঁর বিয়ের স্মৃতি বিয়ের শাড়ি, স্বর্নালংকার, নিত্য ব্যবহার্য শাড়ি সহ কোন সম্বলই তাঁর আর নেই। মন তাঁর এমনিতে খারাপ। এ ঘটনায় মন আরও খারাপ হয়। কিন্তু কিছুই করার নেই।
ঢাকায় তাই প্রথমে টাকার ব্যবস্থা করে পরার মতো দুটো শাড়ি কিনতে হয়েছে। জিয়ার সাজানো প্রহসনের বিচারে ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার তাহেরের।
কিন্তু লুৎফা কোনভাবে স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেননা। এতদিন যারা তাকে ভাবী ভাবী করেছে, তাদের কেউ আর এখন তাঁর ফোন ধরছেনা। কিশোরগঞ্জের বাপের বাসায় ৯ মাসের মিশুকে রেখে- নীতু ও যীশুকে নিয়ে ঢাকায় পৌঁছে তাহেরের বড় ভাই আরিফ ভাই বাসায় উঠেন। মায়ের কাছে রেখে আসা মিশুর জন্য সারাক্ষন তাদের জন্যেও মন কাঁদে মায়ের। এ দিকে ঢাকায়ও স্বামীকে দেখার সুযোগ করতে পারছেননা। এ অবস্থার ভিতর একদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয় থেকে ফোনে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ১৯ জুলাই পরিবারের সবার দেখা করার সুযোগ।
ঠিক হয় নীতু, যীশু, তাহেরের বাবা, মা, ভাই আরিফ, তাঁর স্ত্রী, আবু ইউসুফ ভাইর স্ত্রী, জলি, লুৎফা আর তাঁর ভাই সাব্বির। জেলগেটে যীশুর ছবি তুলে রাখা হয়। সবাইকে অনেক তল্লাশীর পর কারাগারের ৮ নাম্বার কনডেম সেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই রাখা হয় দুর্ধর্ষ ফাঁসির আসামীদের। সেখানেই রাখা হয়েছে ক্র্যাচের কর্নেল, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডারকে।
সবাইকে দেখে খুব স্বাভাবিক ভঙ্গিতে তাহের উঠে এসে চেয়ারে বসলেন। সবার কুশল জিজ্ঞেস করলেন। যেন তাঁর কিছুই হয়নি। এরপর সবার উদ্দেশে লেখা একটি চিঠি পড়লেন তাহের। লুৎফাকে বললেন, চিঠিটি তিনি পাবেন।
একজনকে দিয়ে পাঠানো হয়েছে। ক্র্যাচের কর্নেলের সেই চিঠি এখন বাংলাদেশের ইতিহাসের অংশ। স্বাধীন বাংলাদেশে এমন চিঠি বিরল। খুব বেশি নেই। নিঃসঙ্গ চিত্তের চেয়ে বড় কিছু নেই। এটাই চিঠির মূলসুর।
সেই সময় এবং ভবিষ্যতের অনুসারীরের প্রতি তাহেরের লিখিত শেষবার্তা। চিঠিতে তাহের লিখেছেনঃ
“শ্রদ্ধেয় আব্বা, আম্মা, প্রিয় লুৎফা, ভাইজান ও আমার ভাইবোনেরা,
গতকাল বিকালে ট্রাইব্যুনালের রায় দেওয়া হল। আমার মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হয়েছে। ভাইজান আবু ইউসুফ ও মেজর জলিলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত। আনোয়ার, ইনু, রব ও মেজর জিয়াউদ্দিনের ১০ বৎসর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা (প্রকৃতপক্ষে জিয়াউদ্দিনের ১২ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল)।
জাসদ নেতা-নেত্রী সালেহা, রবিউলের ৫ বৎসর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা। অন্যদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ড. আখলাক, সাংবাদিক মাহমুদ, মাহমুদুর রহমান মান্না সহ ১৩ জনকে এ মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
সর্বশেষে ট্রাইব্যুনাল আমার মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে বেত্রাহত কুকুরের মতো তাড়াহুড়ো করে বিচারকক্ষ পরিত্যাগ করল। হঠাৎ সাংবাদিক মাহমুদ কান্নায় ভেঙে পড়লেন। আমি তাঁকে সান্ত্বনা দিতে চাইলে তিনি বললেন, ‘আমার কান্না এ জন্য যে, একজন বাঙালি কর্নেল তাহেরের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করতে পারল!’
বোন সালেহা হঠাৎ টয়লেট রুমে গিয়ে কাঁদতে শুরু করল। সালেহাকে ডেকে এনে যখন বললাম, ‘তোমার কাছ থেকে দুর্বলতা কখনোই আশা করিনি।’ সালেহা বলল, ‘আমি কাঁদি নাই, আমি হাসছি।’ হাসি-কান্নায় এই বোনটি আমার অপূর্ব।
জেলখানায় এই বিচারকক্ষে এসে প্রথম তার সঙ্গে আমার দেখা। এই বোনটিকে আমার ভীষণ ভালো লাগে। সাথীদের শুধু একটাই বক্তব্য, ‘কেন আমাদেরকেও মৃত্যুদণ্ড দেয়া হলো না।’ মেজর জিয়াউদ্দিন বসে আমার উদ্দেশে একটি কবিতা লিখল।
জেলখানার এই ক্ষুদ্র কক্ষে হঠাৎ আওয়াজ উঠল, ‘তাহের ভাই-লাল সালাম।’ সমস্ত জেলখানা প্রকম্পিত হয়ে উঠল। জেলখানার উঁচু দেওয়াল এই ধ্বনিকে কি আটকে রাখতে পারবে? এর প্রতিধ্বনি কি পৌঁছাবে না আমার দেশের মানুষের মনের কোঠায়?
রায় শুনে আমাদের আইনজীবীরা হতবাক হয়ে গেলেন। তাঁরা এসে আমাকে জানালেন, যদিও এই ট্রাইব্যুনালের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে না, তবুও তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে রিট করবেন। কারণ বেআইনিভাবে এই আদালত তাঁর কাজ চালিয়েছেন ও রায় দিয়েছেন।
সঙ্গে সঙ্গে প্রেসিডেন্টের কাছে আবেদন করবেন বলে জানালেন। আমি তাঁদেরকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলাম, প্রেসিডেন্টের কাছে আবেদন করা চলবে না। এই প্রেসিডেন্টকে আমি প্রেসিডেন্টের আসনে বসিয়েছি, এই বিশ্বাসঘাতকদের কাছে আমি প্রাণভিক্ষা চাইতে পারি না।
সবাই আমার কাছ থেকে কয়েকটি কথা শুনতে চাইল। এর মধ্যে জেল কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে সরিয়ে নেয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠল। বললাম, আমি যখন একা থাকি তখন ভয়, লোভ-লালসা আমাকে চারদিক থেকে এসে আক্রমণ করে।
আমি যখন আপনাদের মাঝে থাকি, তখন সমস্ত ভয়, লোভ-লালসা দূরে চলে যায়। আমি সাহসী হই, বিপ্লবের সাথী রূপে নিজেকে দেখতে পাই। সমস্ত বাধা-বিপত্তিকে অতিক্রম করার এক অপরাজেয় শক্তি আমার মধ্যে কাজ করে।
তাই আমাদের একাকিত্বকে বিসর্জন দিয়ে আমরা সবার মাঝে প্রকাশিত হতে চাই। সে জন্যই আমাদের সংগ্রাম। সবাই একে একে বিদায় নিয়ে যাচ্ছে। অশ্রুসজল চোখ। বেশ কিছু দিন সবাই একত্রে কাটিয়েছি। আবার কবে দেখা হবে।
সালেহা আমার সঙ্গে যাবে। ভাইজান ও আনোয়ারকে চিত্তচাঞ্চল্য স্পর্শ করতে পারেনি। কিন্তু তাঁদেরকে তো আমি জানি। আমাকে সাহস জোগাবার জন্য তাঁদের অভিনয়। বেলালের চোখ ছলছল করছে। কান্নায় ভেঙে পড়তে চায়।
জলিল, রব, জিয়াউদ্দিন আমাকে দৃঢ় আলিঙ্গনে আবদ্ধ করল। এই আলিঙ্গন অবিচ্ছেদ্য। এমনিভাবে দৃঢ় আলিঙ্গনে আমরা গোটা জাতির সঙ্গে আবদ্ধ। কেউ তা ভাঙতে পারবে না।
সবাই চলে গেল। আমি আর সালেহা বের হয়ে এলাম। সালেহা চলে যাচ্ছে সেলের দিকে। বিভিন্ন সেলে আবদ্ধ কয়েদি ও রাজবন্দিরা অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছে বন্ধ সেলের দরজা-জানালা দিয়ে।
মতিন সাহেব, টিপু বিশ্বাস ও অন্যরা দেখাল আমাকে বিজয় চিহ্ন। এই বিচার বিপ্লবীদেরকে তাদের অগোচরে ঐক্যবদ্ধ করল। ফাঁসির আসামিদের নির্ধারিত জায়গা ৮ নম্বর সেলে আমাকে নিয়ে আসা হলো।
পাশের তিনটি সেলে আরো তিনজন ফাঁসির আসামি। ছোট সেলটি ভালোই, বেশ পরিষ্কার। মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে যখন জীবনের দিকে তাকাই, তাতে লজ্জার তো কিছুই নেই।
আমার জীবনের নানা ঘটনা আমাকে আমার জাতির ও জনগণের সঙ্গে দৃঢ় বন্ধনে আবদ্ধ করেছে। এর চেয়ে বড় সুখ, বড় আনন্দ আর কী হতে পারে?
নীতু, যীশু ও মিশুর, সবার কথা মনে পড়ে।
তাদের জন্য অর্থ-সম্পদ কিছুই আমি রেখে যাইনি। কিন্তু আমার গোটা জাতি রয়েছে তাদের জন্য। আমরা দেখেছি শত-সহস্র উলঙ্গ মায়া-মমতা-ভালোবাসা বঞ্চিত শিশু। তাদের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয় আমরা গড়তে চেয়েছি।
বাঙালি জাতির উদ্ভাসিত নতুন সূর্য ওঠার আর কত দেরি! না, আর দেরি নেই, সূর্য উঠল বলে। এ দেশ সৃষ্টির জন্য আমি রক্ত দিয়েছি। আর সেই সূর্যের জন্য আমি প্রাণ দেব, যা আমার জনগণকে আলোকিত করবে, উজ্জীবিত করবে।
এর চাইতে বড় পুরস্কার আমার জন্য আর কী হতে পারে? আমাকে কেউ হত্যা করতে পারে না। আমি আমার সমগ্র জাতির মধ্যে প্রকাশিত। আমাকে হত্যা করতে হলে সমগ্র জাতিকে হত্যা করতে হবে। কোন শক্তি তা করতে পারে? কেউ পারবে না।
আজকের পত্রিকা এল। আমার মৃত্যুদণ্ড ও অন্যদের মেয়াদি কারাদণ্ডের খবর ছাপা হয়েছে প্রথম পাতায়। মামলার যা বিবরণ প্রকাশ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। রাজসাক্ষীদের জবানবন্দিতে প্রকাশ পেয়েছে আমার নেতৃত্বেই ৭ নভেম্বর সিপাহি বিপ্লব ঘটে।
আমার নির্দেশেই জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করা হয়, আমার প্রস্তাবেই বর্তমান সরকার গঠিত হয়। সমগ্র মামলায় কাদেরিয়া বাহিনীর কোনো উল্লেখই ছিল না। অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান খান, জুলমত আলী খান ও অন্যান্য যারা উপস্থিত ছিলেন তারা যেন এই মিথ্যা প্রচারের প্রতিবাদ করেন ও সমগ্র মামলাটির সত্য বিবরণ প্রকাশের ব্যবস্থা করেন।
আমি মৃত্যুকে ভয় পাই না। কিন্তু বিশ্বাসঘাতক ও চক্রান্তকারী জিয়া ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা আমাকে জনগণের সামনে হেয় করার জন্য মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে। দায়িত্ব পালনে তারা ব্যর্থ হলে ইতিহাস তাদেরকেও ক্ষমা করবে না।
তোমরা আমার অনেক শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, আদর নিও। বিচারঘরে বসে জিয়া অনেক কবিতা লিখেছে।
তারই একটির অংশ-
‘জন্মেছি, সারা দেশটাকে কাঁপিয়ে তুলতে/কাঁপিয়ে দিলাম/জন্মেছি, তোদের শোষণের হাত দুটো ভাঙব বলে/ভেঙে দিলাম/জন্মেছি, মৃত্যুকে পরাজিত করব বলে/করেই গেলাম/জন্ম আর মৃত্যুর দু’টি বিশাল পাথর/রেখে গেলাম/পাথরের নিচে শোষক আর শাসকের কবর দিলাম/পৃথিবী অবশেষে এবারের মত বিদায় নিলাম’।”
চিঠির শেষে তাহের তাঁর স্বাক্ষর করেনঃ
‘তোমাদের তাহের’
ঢাকা সেন্ট্রাল জেল,
১৮ই জুলাই ’৭৬ সাল।
পরিবারকে সেখানে দেখা করার খুব অল্প সময় দেয়া হয়েছিল। কারারক্ষীরা তাই তাদের বারবার তাগাদা দিচ্ছিলো। প্রিয়তমা স্ত্রী লুৎফার সঙ্গে আলাদা কিছু সময় চাইলেন ক্র্যাচের কর্নেল।
লুৎফা বাকরুদ্ধ। চোখ দুটি ভাষাহীন। মুখ দিয়ে তাঁর কোন কথা বেরুচ্ছেনা। তাহের হাত চেপে ধরলেন লুৎফার। এরপর বললেন, শোনো- এই উপমহাদেশে ক্ষুদিরামের পর আমারই প্রথম রাজনৈতিক কারনে ফাঁসি হচ্ছে।
দূঃখ করোনা, মাথা নিচু করোনা। কারন আমি কোন অন্যায় করিনি। এ দেশ সৃষ্টির জন্যে আমি রক্ত দিয়েছি। এখন সাধারন মানুষের মুক্তি ও শোষন মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার চেষ্টায় প্রান দেবো এরচেয়ে সুখের কি হতে পারে।
সময়ের এই সাহসী পুরুষের কাছে ‘স্বাধীনতা’ শব্দটির মানে ছিল সামগ্রিক মুক্তি। যিনি পাকিস্তানি বাহিনীর আক্রমন থেকে নিজেকে রক্ষার মতলব মাথায় নিয়ে যুদ্ধে যাননি। মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিকামী একটি নিপীড়িত জাতির মুক্তির অন্বেষনে পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসে যোগ দিয়েছিলেন যুদ্ধে।
মুক্তিযুদ্ধকে তিনি জনযুদ্ধ হিসাবে দেখেছিলেন। ঔপনিবেশিক শাসন-শোষন মুক্তিএ জনযুদ্ধ। এই দৃষ্টিকোন থেকে তাঁর সেক্টরে তিনি মুক্তিযুদ্ধকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। নিজের একটি পা হারিয়েছেন কামালপুরের সম্মুখ যুদ্ধে।
অন্য অনেকের মতো নিরাপদ স্থানে বসে শুধু যুদ্ধের নির্দেশ দেননি। স্বাধীনতার পর তিনি ভেবেছেন নতুন স্বাধীন দেশের সেনাবাহিনী যাতে পুরনো পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মতো আরেকটি প্রথামাফিক সেনাবাহিনী না হয়।
এটাই হয়েছে তাঁর কাল। আমলাতান্ত্রিক, উৎপাদনের সঙ্গে সম্পর্কহীন সেনাবাহিনীর পুরোধারাই তাঁর নতুন চিন্তায় ভীতসন্ত্রস্ত হয়েছে। বিশ্বাসঘাতক জিয়াকে দিয়ে তারাই লিখিয়েছে ক্র্যাচের কর্নেলের মৃত্যু ফরমান। আর মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে সাহসী তাহের আবার গাইলেন অবিশ্বাস্য এক সাহসের জয়গান (ক্রমশঃ)