গত ২০ মার্চ এক অনলাইন আলোচনা সভার আয়োজনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন অস্ট্রেলিয়ার উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী পালিত হয়। আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল, “বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ”।
“বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ” শীর্ষক এই আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু ফাউডেশন অস্ট্রেলিয়ার মাননীয় সভাপতি জনাব মোল্লা মোঃ রাশেদুল হক এবং সঞ্চালনায় ছিলেন বঙ্গবন্ধু ফাউডেশন অস্ট্রেলিয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক হাসিনা চৌধুরী মিতা। আলোচনা সভায় প্রধান অথিতী হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক জনাব দেলোয়ার হোসেন। বিশেষ অতিথী হিসেবে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বর্তমান নর্বাহী সভাপতি জনাব অ্যাডভোকেট মশিউর মালেক।
আলোচনার শুরুতেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সকল নিহত সদস্য ও ভাষা শহীদ সহ মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনা ও তাদের আত্মার শান্তি কামনা করা হয়।এরপর জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী ও বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের উপর একটি ছোট পাওয়ার পয়েন্ট প্রেসেন্টেশন উপস্থাপন ও একটি তথ্যচিত্র দেখানো হয়। আলোচনায় প্রধান অতিথি জনাব দেলোয়ার হোসেন বলেন বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও স্বাধীনতা এই শব্দ তিনটি প্রতিটি প্রিতিটির অপরিহার্য অংশ। বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ , বঙ্গবন্ধু মানেই স্বাধীনতা। জনাব দেলোয়ার হোসেন বলেন বঙ্গবন্ধুর জীবনের প্রতিটি দিন ও কর্ম নিয়ে গবেষণা ও আলোচনা করা যায়। তিনি তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করে বলেন, “এই আয়োজনের মূল বিষয়বস্তু যথার্থ ও সার্থক, কেননা বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু এই দুটি সত্তা থেকে কোনোটাকেই আলাদা করে দেখার কোনো সুযোগ নেই।
বিশেষ অতিথি জনাব অ্যাডভোকেট মশিউর মালেক তার বক্তব্যে বিদেশের মাটিতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শনকে তুলে ধরার জন্য এই আলোচনা সভার আয়োজক বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন অস্ট্রেলিয়াকে সাধুবাদ ও অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর বন্ ও পরিবেশ বিষয়ক কমিটির সদস্য এবং কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জনাব সিদ্ধার্থ দে তার বক্তব্যে বলেন, আমরা আজ জাতির জনকের সোনার বাংলা পেয়েছি এবং দেশ জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে , এখন আমাদের বঙ্গবন্ধুর মতো মানবিক গুনের মানুষ হতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ উনিভার্সিটির বর্তমান রিসার্চ ফেলো নিলীমা আখতার তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু একশো বছর নয় হাজার হাজার বছর বেঁচে থাকবেন বাঙালীর মাঝে। মেলবোর্ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জনাব ডঃ মাহবুবুল আলম তার বক্তব্যে বলেন, “আমার জীবনে বঙ্গবন্ধু এক পরম সম্পদ। আমাদের যার যার ব্যাক্তিগত অবস্থান থেকে যে যতটুকু পারি বঙ্গবন্ধুকে অন্যের মাঝে জানাতে হবে”। গাজীপুর মহিলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ফৌজিয়া খাতুন তার বক্তব্যে নারী ক্ষমতায়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অবদান তুলে ধরেন , তিনি আরো উল্ল্যেখ করেন জাতির পিতার পথ অনুসরণ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাই বাংলাদেশে নারী ক্ষমতায়ন ও সমঅধিকার নিশ্চিতকরণে কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়েছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাই সন্তানের পরিচয়ে মায়ের নাম সংযুক্তি বাধ্যতামূলক করেন। বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন অস্ট্রেলিয়ার সাধারন সম্পাদক ড. সানিয়াত ইসলাম আগামী ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন অস্ট্রেলিয়ার সম্পাদনায় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটি গবেষণা সংকলনের ঘোষণা ও প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন
অন্যান্য অতিথিদের উল্লেখযোগ্য ছিলেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক রশীদা হক কনিকা, প্রচার সম্পাদক প্রকৌশলী শাকিল খান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল হক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশের অনারারি কনসাল প্রকৌশলী শফিকুর রহমান অনু, বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের সভাপতি বজলুর রশীদ বুলু, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যান বিষয়ক উপকমিটির সদস্য জনাব নুরুল হক সজীব, ফিনল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব হুমায়ুন কবির, ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস এ শহীদ তাহের, সর্ব ইউরোপিয়ান বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব খোকন হায়দার, কানাডার আলবার্টা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জনাব আহমেদ শাহিন, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন অস্ট্রেলিয়ার উপদেষ্টা বিশিষ্ট জালানি বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী খন্দকার সালেক সুফী, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন অস্ট্রেলিয়ার সহ-সভাপতি জনাব ইশরার ওসমান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. শাখাওয়াত, ৭১ টিভির বিশিষ্ট সাংবাদিক মাহবুব স্মারক, মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক সজল চৌধুরী, জার্মান আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য সেলিম ভুঁইয়া, ও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, অস্ট্রেলিয়ার সদস্য মোঃ রাশেদুজ্জামান।