একুশে একাডেমী অস্ট্রেলিয়ার স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন

একুশে একাডেমী অস্ট্রেলিয়ার স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন

১১ এপ্রিল (রবিবার) সিডনির বেলমোরস্থ কমিউনিটি সেন্টারে একুশে একাডেম অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করেছে স্থানীয় সময় দুপুর বারোটায় সংগঠনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আবদুল মতিনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসানের সঞ্চালনায় বাংলাদেশ এবং অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অতঃপর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয় উক্ত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জনাব নজরুল ইসলাম, ড. সুলতান মাহমুদ, ড. কাইউম পারভেজ, জনাব নেহাল নেয়ামুল বারী এবং ড. শাখাওয়াৎ নয়ন প্রমুখ।   

আলোচনায় অংশগ্রহণ করে প্রায় সকল বক্তাই বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর উদযাপন করতে পেরে নিজেদেরকে সৌভাগ্যবান মনে করেন। এবং কেউ কেউ উল্লেখ করেন যে এমনও তো হতে পারত, বাংলাদেশ এখনো স্বাধীন হয়নি। এখনো যুদ্ধ করতে হচ্ছে। তাহলে কেমন হতো? মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বর্ননা করতে গিয়ে কেউ কেউ আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন এবং সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।   

বাংলাদেশের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে আলোচকগণ উল্লেখ করেন যে গত পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশ শিক্ষা, যোগাযোগ, অর্থনীতি, তথ্য প্রযুক্তি, কৃষি এবং স্বাস্থ্যখাতে অভুতপুর্ব উন্নতি করেছে। তবে আমাদের অনেক ক্ষেত্রেই আরো অনেক উন্নতি করতে হবে। কারণ স্বাক্ষরতা কিংবা শিক্ষার হার বেড়েছে ঠিকই কিন্তু নৈতিকতার মান কমেছে, সামাজিক মূল্যবোধ নেই বললেই চলে। জান-মালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভীষণ সংকটে, দূর্নীতি বেড়েছে ভয়ংকরভাবে। এসব ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত উন্নতি করতে না পারলে আমাদের অজর্নসমুহ টেকসই হবে না।  

মুনা মোস্তফার উপস্থাপনায় কবিতা আবৃত্তি, শিশু-কিশোরীদের নৃত্য এবং দেশের গানের সমন্বয়ে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সঙ্গীত পরিবেশন করেন অমিয়া মতিন, অভিজিত বড়ুয়া, পিয়াসা বড়ুয়াসুমীতা দে প্রমুখ। তবলায় সঙ্গত করেন জন্মেজয় রায়।