অনলাইন ডেস্কঃ ২৮ জুন ২০১৫
ঋতুর সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশে প্রতি বছরই রোজার সময় সামান্য বদলে যায়। তবে এ পরিবর্তনটা খুব বেশি সময়ের নয়। দেশের ভৌগলিক অবস্থানের ওপর ভিত্তি করেও রোজা পালনের সময় কম-বেশি হয়ে থাকে। আর এ কারণেই বিশ্বের কোনো কোনো দেশে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ইফতারের দু’ঘণ্টা পরই সেহরি খেতে হয়৷ অর্থাৎ তাদের জন্য রোজা ২২ ঘণ্টার৷ চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু দেশের রোজা পালনের সময় সম্পর্কে।
আইসল্যান্ড – ২২ ঘণ্টা
আইসল্যান্ডে মাত্র ৭৭০ জন মুসলমানের বাস৷ তবে এই ৭৭০ জনের মধ্যে যারা পবিত্র রমজান মাসে সিয়াম সাধনা করেন, তারা এক দিক থেকে বিশ্বের আর সমস্ত ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে ছাড়িয়ে যান৷ আইসল্যান্ডে এবার সেহরি খেতে হচ্ছে রাত দু’টোয় আর ইফতার পরের দিন রাত ১২ টায়৷ ২২ ঘণ্টা!
সুইডেন – ২০ ঘণ্টা
খুব গরমের মধ্যে রোজা হলে সুইডেনের মুসলমানদেরও কষ্টের সীমা থাকে না৷ দেশটির ৫ লাখ মুসলমানের মধ্যে যারা রোজা রাখেন, তাদের ইফতারের মাত্র চার ঘণ্টা পরই সেহরি খেতে হয়৷ উল্টো দিক থেকে ভাবলে কষ্টটা বুঝতে পারবেন৷ সুইডেনের মুসলমানদের অনেক দিন সেহরির ২০ ঘণ্টা পর ইফতার খেতে হয়৷
আলাস্কা – ১৯ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট
যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় ৩ হাজার মুসলমানের মধ্যে কেউ কেউ আজকাল সৌদি আরবের সঙ্গে মিলিয়ে সেহরি আর ইফতার করতে শুরু করেছেন৷ গ্রীষ্মকালে ভীষণ গরম থাকে সেখানে৷ তার ওপর কোনো কোনোদিন সূর্যোদয়ের ১৯ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পর সূর্য ডোবে৷ এত লম্বা সময় ধরে রোজা রাখা তাই অনেকের পক্ষেই সম্ভব হচ্ছে না৷
জার্মানি – ১৯ ঘণ্টা
রমজান মাসের সময় দিন খুব বড় হলে জার্মানির মুসলমানদেরও রোজা রাখতে ভীষণ কষ্ট হয়৷ এ বছর জার্মানিতে সব ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে সেহরি খেতে হচ্ছে রাত সাড়ে তিনটায় আর ইফতার রাত দশটায়৷
ইংল্যান্ড – ১৮ ঘণ্টা ৫৫ মিনিট
ইংল্যান্ডে সেহরি থেকে ইফতারের সময়ের পার্থক্য প্রায় ২০ ঘণ্টা৷ রমজান শুরুর আগেই তাই মুসলিম কাউন্সিল অফ ব্রিটেন নামের একটি সংগঠন এত দীর্ঘ সময়ের রোজা রাখার আগে ভেবে দেখতে বলেছে৷ সংগঠনটির আশঙ্কা, এত লম্বা সময় রোজা রাখলে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন৷ বিশেষ করে ডায়বেটিসে আক্রান্তদের প্রাণহানির শঙ্কাও দেখা দিতে পারে৷ ব্রিটেনে এখন প্রায় ২৭ লক্ষ মুসলমান আছে৷ এর মধ্যে ৩ লক্ষ ২৫ হাজার ডায়বেটিসে আক্রান্ত। (সুত্রঃ বিডি-প্রতিদিন,২৭ জুন ২০১৫)