অনলাইন ডেস্কঃ
ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ফাইনাল আজ ভোরে। ফাইনাল এর আগেও বাংলাদেশ খেলেছে। শুধু আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বিবেচনায় নিলে বাংলাদেশ এর আগে দুইটি ফাইনাল ম্যাচ খেলেছে। দুইটিই ছিলো ওয়ানডে টুর্নামেন্ট। প্রথমটি ২০০৯ সালে। শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়েকে নিয়ে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলেছিলো বাংলাদেশ। সেখানে জিততে জিততে হেরেছিলো তারা ২ উইকেটে। দ্বিতীয়টি ২০১২ সালের বহুল আলোচিত এশিয়া কাপ। ফাইনালে ২ রানে পরাজয়ের সেই কান্না ভোলার নয়।
তবে এবার পরিস্থিতিটা একটু অন্যরকম। এই প্রথম কোনো টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলছে বাংলাদেশ। অবশ্য এশিয়া কাপ এই প্রথম টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আর প্রথম চেষ্টাতেই পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ফাইনালে চলে এসেছে মাশরাফিদের দল। এবার তাই বাংলাদেশের সামনে একাধারে ইতিহাস তৈরি এবং শাপমোচনের সুযোগ।
আজ জিততে পারলে সেটা বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক শিরোপা হবে, প্রথম টি-টোয়েন্টি ট্রফি হবে এবং বাংলাদেশ হয়ে যাবে প্রথম এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টির চ্যাম্পিয়ন! এমন একাধিক স্বপ্ন জয়ের হাতছানি এখন বাংলাদেশের সামনে।
বাংলাদেশ দল অবশ্য এই হাতছানির চক্করে পড়ে মাথা গুলিয়ে ফেলতে রাজি নয়। গতকাল শনিবার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা বারবার বলেছেন, এই ফাইনালে ভারত পরিষ্কার ফেবারিট। শক্তি ও ইতিহাস বিবেচনায় তারা এগিয়ে রাখছেন প্রতিপক্ষকে। তাই বলে নিজেদের লড়াইয়ে রাখছেন না, তা নয়। তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। এই ভারতকে এগিয়ে রাখার ভেতর দিয়েই মাশরাফি একটা বার্তা দিতে চাচ্ছেন যে, ইতিহাস সৃষ্টির মোহতে আবিষ্ট হতে চান না তারা। তারা স্বাভাবিক থেকে নিজেদের সেরা খেলাটাই খেলতে চান।
তবে বাংলাদেশের কিছু সমস্যাও আছে। দলের অন্যতম সেরা বোলার মুস্তাফিজ খেলছেন না, ভারতের অন্যতম ত্রাস রুবেল হোসেনও নেই, সাত নম্বরে এখনো সেরা পারফরমার খুঁজে পায়নি বাংলাদেশ। এসবই মাশরাফি মনে করিয়ে দিলেন। বোঝাতে চাইলেন, নিজেদের সেরা শক্তি নিয়ে নামতে পারছেন না। তবে একটা কথা খুব দৃঢ়স্বরে বললেন, ‘আমরা এক-দুই জনের ওপর ভর করে খেলি না, দল হিসাবে খেলি। আর সেটা খেলতে পারলে প্রতিটা দিনই আমরা নতুন কিছু করার সামর্থ্য রাখি।’
বাংলাদেশের এই সামর্থ্য নিয়ে এতটুকু সংশয় নেই ভারতেরও। তাদের কোচ রবি শাস্ত্রী তো বলেই ফেললেন, বাংলাদেশ এখন ক্রিকেট বিশ্বেরই গুরুত্বপূর্ণ শক্তি। ফলে তারা (ভারত) নিজেদের সেরা পারফরম্যান্সের দিকে তাকাবেন আজ জয় পেতে চাইলে। তবে প্রখর রোদে গা গরম করতে থাকা ফুরফুরে বাংলাদেশ দলকে দেখে একবারও মনে হলো না, তারা ভারতকে সেই সুযোগ এক বিন্দুও দেবেন।
এই ফাঁকে খেলার বাস্তবতাটা একটু স্মরণ করিয়ে দেয়া যেতে পারে। যতদূর খবর পাওয়া যাচ্ছে, এশিয়া কাপের শেষ দিকে অনুষ্ঠিত ম্যাচগুলোর মতো এই ফাইনালের উইকেটও ব্যাটিং সহায়ক থাকবে। গতকাল পর্যন্ত উইকেটে হালকা ঘাস থাকলেও আজ সেটা থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। দুই দলই এটা মেনে নিয়েই তৈরি হচ্ছে যে, লড়াইটা হবে মূলত ব্যাটসম্যানদের মধ্যে। তবে মজার ব্যাপার হলো, এর মধ্যেও তুরুপের তাস হয়ে উঠতে পারেন দুই দলেরই পেস বোলাররা। আর শেষ পর্যন্ত পেস বোলারদের লড়াই হলে সেখানে বাজিমাত করতে তো তৈরি-ই আছেন আল আমিন, তাসকিন, মাশরাফিরা।
বাংলাদেশের শক্তি
দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ফাস্ট বোলাররা, সাব্বির রহমান ও রিয়াদের ব্যাটিং, মাশরাফির অসাধারণ অধিনায়কত্ব, পরিচিত কন্ডিশন, মাঠে ও মাঠের বাইরে হাজার হাজার সমর্থক
ভারতের শক্তি
বিরাট কোহলির ব্যাটিং, অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া, তরুণ ফাস্ট বোলার বুমরা, বাংলাদেশের বিপক্ষে রেকর্ড, এশিয়া কাপের ইতিহাস