জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পূণর্মিলনী ২০১৬

জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পূণর্মিলনী ২০১৬

নিজস্ব সংবাদদাতা: ১৩ই নভেম্বর ২০১৬ রোববার সিডনিতে মহা-আড়ম্বরে আনন্দমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলো জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ”পূণর্মিলনী ২০১৬”। সিডনিতে এ ধরনের আয়োজন সাত বছরে পদার্পন করলো। এবারের অংশগ্রহনকারীর সংখ্যা পূর্বের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে। অস্ট্রেলিয়ার দুর দুরান্ত শহর থেকেও  স্বপরিবারে এসেছিলেন অনেকেই। অনুষ্ঠানটিকে সফল করে তোলার লক্ষে আয়োজকদের কোন ত্রূটি  ছিলো না।

বিশবিদ্যালয়ের প্রথম দিনটির শিক্ষার্থী থেকে ৩৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহনে আনন্দমুখর হয়ে উঠেছিলো এই মিলন মেলা। অংশগ্রহনকারী অনেকের সাথে আলাপ করে আয়োজনে কোন কিছুর অভাব বা ত্রূটি নিয়ে জানতে চাইলে একবাক্যে সবাই বললেন যে স্মৃতির জালে এমনভাবে হারিয়ে গিয়েছিলেন যে সে সব নজরে আনার মত সময় ছিল না। এক কথায় অনুষ্ঠানটিতে অংশগ্রহন করতে পারাতে তারা খুব আনন্দিত।

সকাল এগারোটায় শুরু হয় নিবন্ধন, তারপর নাস্তা। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ৫ম ব্যাচের জনাব আব্দুস সোবহান। এর পর উপস্থিত শিক্ষার্থীগন পর্যায়ক্রমে ব্যাচ অনুযায়ী পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় । স্মৃতিচারণ পর্বে শিক্ষার্থীগন বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে তাদের হারিয়ে যাওয়া সোনালী দিনগুলোকে তুলে ধরেন। হলে তিল ধরনের জায়গা ছিল না, স্মৃতিচারন পর্বটিতে সবার প্রানবন্ত অংশগ্রহন এই পর্বটিকে উপভোগ্য করে তুলেছিলো। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন ১৩তম ব্যাচের সাবিনা ইয়াসমিন বেবী ও ২৬তম ব্যাচের রাজন নন্দী।

নামাজ ও দুপুরের খাবারের বিরতি। দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হয় উপস্থিত প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও তাদের সন্তানদের অংশগ্রহনে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান । সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন ২৫তম ব্যাচের রোজলিন তুলি, মিরোভা শারমিন, শরিফুল ইসলাম বাসেত, নিয়াজ ইমতিয়াজ এবং সাউন্ড সিস্টেমের দায়িত্বে ছিলেন ১৭তম ব্যাচের মোমতাজ লায়লা। অনুষ্ঠানে আগত সকল শিশু কিশোরদের অংশগ্রহনে আয়োজন করা হয়েছিলো বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক খেলা-ধুলা এবং এর দায়িত্বে ছিলেন ২০তম ব্যাচের শওকত আরা হোসেন বিথী এবং ২৩তম ব্যাচের সাজ্জাদুল হক।

পূণর্মিলনী ২০১৬ আয়োজনে সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন ৮ম ব্যাচের খালেদা কায়সার মিনি, ১৩তম ব্যাচের মাহফুজুল হক চৌধুরী খসরু এবং সহযোগিতায় ছিলেন ১৪তম ব্যাচের নিয়ামুল হক শরিফ, ১৫তম ব্যাচের সাইফ সেকান্দার ও সাইকুল ইসলাম কাজল, ২৩তম ব্যাচের জুলফিকার আলী আহমেদ রিপন, ২৫তম ব্যাাচের নিয়াজ ইমতিয়াজ ও কে.এম.শরিফুল বাসেত, ২৯তম ব্যাচের মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন শিপলু।