১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামী বিপ্লবের পর এযাবতকালের সবচেয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা বলে বর্ণনা করা হচ্ছে আজকের ঘটনাবলীকে।
এই ঘটনায় ইরানের সাধারণ মানুষ এক বিরাট ধাক্কা খেয়েছে। কারণ মধ্যপ্রাচ্যের অন্য অনেক দেশের তুলনায় ইরানের পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে শান্ত এবং স্থিতিশীল।
ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে সিরিয়া এবং ইরাকে সক্রিয়ভাবে লড়াই করছে ইরান। কিন্তু ইসলামিক স্টেট আজকের আগে পর্যন্ত ইরানের ভেতর এরকম কোন সন্ত্রাসী হামলা চালাতে পারেনি।
এর একটা কারণ হয়তো ইরানের শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর মধ্যে তাদের ঢোকার কোন রাস্তা ছিল না।
কিন্তু সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠী ফার্সি ভাষায় তাদের প্রচারণা জোরদার করে। এরা টার্গেট করেছিল ইরানের সংখ্যালঘু সুন্নি মুসলিমদের।
ইরানের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো দাবি করেছে যে ইসলামিক স্টেটের মদতে ইরানের ভেতরে কিছু হামলার ষড়যন্ত্র হয়েছিল। সেগুলো তারা ভন্ডুল করে দেয়।
ইসলামিক স্টেট কিছু প্রপাগান্ডা ভিডিও ছেড়েছিল যেগুলোতে ইরানের ভেতর হামলায় উস্কানি দেয়া হয়।
ডকুমেন্টারি স্টাইলে তৈরি করা আইএস এর এক ভিডিওতে কিছু জঙ্গীকে দেখানো হয় যাদের ইরানি বলে পরিচয় দেয়া হচ্ছে। এরা ইরাকে আইএস এর বিভিন্ন ঘাঁটিতে কাজ করছে।
এসব জঙ্গিকে ফার্সি ভাষায় ইরানের সরকার এবং আয়াতোল্লাহ খামেনি সহ ধর্মীয় নেতাদের সমালোচনা করতে দেখা যায়।
আইএস এবং এর আগে আরেক সুন্নি জিহাদি গোষ্ঠী আল কায়েদা অতীতে ইরানকে টার্গেট করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু সফল হয়নি।
কিন্তু আজকের হামলার পর আইএস হয়তো দাবি করতে পারে যে এক্ষেত্রে তারা এবার সফল হয়েছে। (বিবিসি বাংলা )