বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নতুন সাতটি শহরে চালু হচ্ছে বাংলাদেশের কূটনৈতিক দপ্তর। আজ সোমবার এই কনস্যুলার সার্ভিস চালু করার প্রস্তাব অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা।
সরকার বলছে, এসব শহরে বাংলাদেশিদের উপস্থিতি এবং তাদের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখেই এই কনস্যুলার অফিসগুলো করা হচ্ছে। প্রবাসী বাংলাদেশিরা বলছেন এই দপ্তর চালু করলে শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরা বেশি সুবিধা পাবে।
অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত সিডনিতে প্রায় ২৫ হাজার বাংলাদেশির বাস। এদের বেশির ভাগ উচ্চ শিক্ষা অথবা ব্যবসায়ের উদ্দেশে যান। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে ১০ বছর ধরে থাকেন ফজলুল বারী।
এখন এই সিডনিতে বাংলাদেশ সরকার কূটনৈতিক দপ্তর করার অনুমোদন দিয়েছে। সিডনির মত আরো ছয়টি শহর- আফগানিস্তানের কাবুল, সুদানের খার্তুম, সিয়েরা লিওনের ফ্রিটাউন , কানাডার টরন্টো, ভারতের চেন্নাই, রোমানিয়ার বুখারেস্টে কনসুলার সার্ভিস দেয়া হবে।
মন্ত্রী পরিষদের সচিব শফিউল আলম বলছিলেন, এইসব শহরে বাংলাদেশের সুবিধার কথা চিন্তা করেই এই দপ্তর খোলার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রীসভা।
ভারতের দিল্লীতে বাংলাদেশের হাই কমিশন রয়েছে। তবে চেন্নাই-এর হাসপাতালগুলোতে প্রতি বছর কয়েক হাজার মানুষ চিকিৎসা নিতে যান। অনেকের জরুরি মুহুর্তে তাদের প্রয়োজন পড়ে বাংলাদেশের কনস্যুলার সার্ভিসের। সেসব চিন্তা থেকে এক দেশে হাইকমিশন থাকার পরে্ও অন্যান্য শহরগুলোতে করা হচ্ছে।
এদিকে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বলছেন, এই ধরণের অফিস হলে শিক্ষার্থী এবং যারা ঐসব দেশের নাগরিক না তাদের জন্য নানা সুবিধা নিয়ে আসবে।
এর আগে ২০১৪ সাল সাথে আরো ১৪টি মিশন বিশ্বের নানা শহরে কাজ করছে – যেগুলোর নিয়মতান্ত্রিকভাবে মন্ত্রীসভার অনুমোদন ছিল না। আজকে সেইসব মিশন গুলোর আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দেয়া হয়। (সূত্রঃ বিবিসি বাংলা)