গেল দুই বছরে শ্রীলঙ্কা দল থেকে অবসর নিয়েছেন কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান কুমার সাঙ্গাকারা, মাহেলা জয়াবর্ধনে ও তিলকারত্নে দিলশান। অপর দিকে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিংয়ের হাল ধরে আছেন অভিজ্ঞ তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। আর এই পার্থক্যই বাংলাদেশকে এগিয়ে রেখেছে বলে মনে করেন শ্রীলঙ্কার সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমান প্রধান নির্বাচক সনাৎ জয়সুরিয়া।
সোমবার জয়ের ধারায় ফেরার প্রত্যয় নিয়ে অনুশীলন করেছে লঙ্কান দল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন এই সাবেক ক্রিকেটার। অনুশীলন দেখেছেন এবং কিছু পরামর্শও দিয়েছেন। কথা বলেছেন সাংবাদিকদের সাথে। প্রথম ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কা হেরে যাওয়ার প্রধান কারণ, বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারের অভিজ্ঞতাকেই মানছেন এই লঙ্কান কিংবদন্তি।
লঙ্কান দলে অধিকাংশ ব্যাটসম্যান নতুন। তাদের আরো সময় লাগবে এমনটা জানিয়ে জয়সুরিয়া বলেন, ‘আমাদের শ্রীলঙ্কা দল একটা পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমাদের সিনিয়র ক্রিকেটারদের অবসরের পর থেকে সাত-আট মাস ধরে আমরা তরুণ ক্রিকেটারদের সুযোগ দিচ্ছি। এখানে কিছুটা উত্থান-পতন থাকবে। আরো সময় লাগবে সব ঠিক হতে।’
বাংলাদেশের সমান পারফর্ম করতে হলে অবশ্যই মাঠে লঙ্কাদের সব দিক থেকে নিজেদের উজার করে দিতে হবে মনে করেন জয়সুরিয়া। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ওদের ব্যাটিং অর্ডারে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের পেয়েছে। ওদের সাথে (বাংলাদেশের) পার্থক্য হল আমরা স্কোর বোর্ডে রান জমা করতে পারিনি। আর বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা রান পাচ্ছে। আমাদের স্কোর বোর্ডে রান তুলতে হবে। তখন কোনো পার্থক্য থাকবে না। আমাদের ফিল্ডিং ও বোলিংয়েও ভালো করতে হবে।’
দলের জন্য রান বাড়ানোর মতো প্রথম দিকে কোন ব্যাটসম্যান নেই শ্রীলঙ্কা দলে। এমন হতাশা প্রকাশ করে এই লঙ্কান বলেন, ‘ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে বাংলাদেশের দলে অনেক ইতিবাচক দিক আছে। বোলিং আর ফিল্ডিং ইউনিট হিসেবেও ওরা ভালো করছে। ওরা ব্যাটিংয়ে ভালো করছে। নিজেদের গেম প্লানের ওপর ওরা প্রচুর কাজ করে। বাংলাদেশের প্রথম চার ব্যাটসম্যান রানে আছে, এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যে কোনো দলই চাইবে, প্রথম চার ব্যাটসম্যান রান করুক। সেটাই এগিয়ে রেখেছে ওদের।’
সূত্র: দ্য ডেইলি স্টার