ফারুক রেজা, ব্রিজবেন, অস্ট্রেলিয়া:অনাড়ম্বর আয়োজনের মধ্যদিয়ে পালন করা হয়েছে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ইন ব্রিজবেনের ইনক্ (ব্যাব) ২৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান। গত ৭ই জুলাই , শনিবার শহরের ডুরাকে অবস্থিত অস্ট্রেলিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক কলেজের অডিটোরিয়ামে, সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভার শুরুতে কেক কাটার মাধ্যমে পালন করা হয়। পরে ২০১৮-২০১৯ বছরের ব্যাব পরিচালনার জন্য কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
বিগত কমিটির সহ সভাপতি তুলি নূরের পরিচালনায় অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে ব্যাবের প্রতিষ্ঠাকালিন সভাপতি ফজিলাতুন্নেসা চৌধুরি মানিকের স্মরণে এক মিনিট নিরাবতা পালন করা হয়। ব্যাব গঠনে তাঁর অবদান তুলে ধরার পর সাবেক কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যরা তাঁর পরিবারের সদস্যদের কাছে সম্মাননা তুলে দেন।
দ্বিতীয় পর্বে ব্যাবের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরার পর সকল সাবেক সভাপতির উপস্থিতিতে কেক কাটা হয়। এই পর্যায়ে সাবেক সভাপতিদের পক্ষে থেকে আ. ক. ম শাহিনুজ্জামান বক্তব্য রাখেন।
বিগত কমিটির সভাপতি বিকাশ সিকদারের সভাপতিত্বে বার্ষিক সাধারণ সভার শুরুতে গত বছরের ব্যাবের কর্মকান্ড তুলে ধরা হয়। বিগত বছরে এই কমিটি দুটি পহলো বৈশাখ (দুটিতেই ওপেন এয়ার কনসার্ট) সহ ছোট বড় মোট ১৫টি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। কমনওয়েল্থ গেমস গোল্ডকোষ্ট-২০১৮ এর “কমিউনিটি এ্যাম্বাডেসর”, নগর বাউল জেমস্ এর কনসার্ট, টেবিল টেনিস টুর্নামেন্ট এবং বাংলাদেশের বন্যার্তদের সাহায্যে তহবিল গঠন করা ব্যাবের উল্ল্যেখযোগ্য আয়োজন বলে প্রতিবেদনে জানান হয়।
সাবেক সভাপতি তাঁর বক্তব্যে ভোটার তালিকা তৈরির জন্য মোস্তাফিজুর রহমান টিটু’র নেতৃত্বে কাজ করা সকল সেচ্ছাসেবকদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান। পরে, আর্থিক প্রতিবেদন পরিবেশন করেন বিগত কমিটির অর্থ সম্পাদক মাহমুদুল আলম খান।
কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনার পর পরই নির্বাচন কমিশনার আহমেদ হুসেন বিপ্লব’র নেৃত্বেতে শুরু হয় নির্বাচন কার্যক্রম। এ দিন ব্রসিবনেরে বাংলাদশেীদরে ইতহিাসে যুক্ত হয়েছিল একটি সোনালী দনি। উৎসবমুখর আর আনন্দঘন পরবিশেে ব্রসিবনেবাসী উপভোগ করেছিল র্সবাধকি ভোটারদরে অংশগ্রহণে অত্যন্ত স্বচ্ছ আর সুন্দর একটি নর্বিাচন।
দুপুর ১২টায় ভোট গ্রহণ শরু হয়ে শেষ হয় সন্ধ্যা ৭টায়। নির্বাচনে ৯৬০জন সদস্যের মধ্যে ৮৬৩জন তাঁদের ভোট প্রদান করেন। সহকারি নির্বাচন কমিশনার হিসাবে ডাঃ খালেদ ভূইয়া ও আবু ফরহাদ রিপন দায়িত্ব পালন করেন।
ব্যাব নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিগত ৩ মাস ব্যাপক সরগরম ছিল স্থানীয় বাংলাদেশীরা। গত ১৫ বছরের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় নির্বাচন। ‘উই আর ফর ইউ’ ও ‘হৃদয় স্পন্দনে বাংলাদেশ’ নামে দুটি দলের ভিন্নমাত্রার প্রচরণাও নতুন মাত্রা যোগ করেছিল বাংলাদেশীদের মধ্যে। কোন দল কি কি ভাবে ব্যারের কর্যক্রম পরচিালনা করবে তার ইসতেহার প্রচার ছাড়াও ফেসবুকে পেজ খোলা, ‘নির্বাচনি সেমিনার’, ‘লাইভ নির্বাচনী আলাপন’ শীর্ষক বিভিন্ন প্রচরনা করেছে দল দুটি।
নির্বাচনে ‘উই আর ফর ইউ’ দল ‘হৃদয় স্পন্দনে বাংলাদেশ’ দলের বিরুদ্ধে নিরস্কুর সংখ্যাগরিষ্ঠা লাভ করে সাতটি পদেই জয়ী হয়। নির্বাচনে সভাপতি পদে জেডি সর্বাধিক ৫৪২ পেয়ে ৩০৮ পাওয়া মোহাম্মদ রব্বানীকে পরাজিত করেন।
প্রতিটি পদের ভোটের ব্যবধান ছিল চোখে পড়ার মত। সহসভাপতি পদে বায়েজিদ জহির ২১৫ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন বনি তাসকিন টুসিকে, তাঁদের প্রাপ্ত ভোট ছিল যথাক্রমে ৫৩৩ ও ৩১৮। সাধারন সম্পাদক পদে কুশল আহমেদ ৫২৫ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন, তাঁর বিপরিতে নবাগত মারুফ মোশারফ পান ৩২৯ ভোট।
অর্থ সম্পাদক পদে ৫০০ ভোট পেয়ে জয়ী হয় সাব্বির আহমেদ, বিপরিতে আনিকা আহমেদ পান ৩৫০ ভোট। সংস্কৃতি সম্পাদক পদে পরাজিত দলের পক্ষে সাবিনা নূর আখি সবোর্চ্চ ৩৭৮ ভোট পেয়েও চন্দ্রা দত্ত সুমির কাছে হেরে যান। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৪৬১।
‘হৃদয় স্পন্দনে বাংলাদেশ’ দলের আরেক নবাগত রাজিব পালকে ২১৭ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন ফারুক রেজা। ক্রিড়া সম্পাদক পদে তাঁদের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৩১৪ ও ৫৩১। ইনফরমেশন এ্যান্ড কমিনিকেশন পদে জুুবায়ের আল তারেক ৪৮৭ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন। তাঁর বিপরিতে ফারজানা ইয়াসমিন চৌধুরী পান ৩৬৪ ভোট ।