ফজলুল বারী :বাংলাদেশের আধুনিক সাংবাদিকতার অন্যতম পথিকৃৎ, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক নাজিম উদ্দিন মোস্তানের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী পালিত হলো আজ ১১ সেপ্টেম্বর শনিবার কুলাউড়ায়। এ উপলক্ষে কুলাউড়ার উত্তর মাগুরা এলাকায় অমর্ত্য ফাউন্ডেশন এর গরিবের খাবার ঘর উন্দাল’এ মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছিন্নমূল ক্ষুধার্ত মানুষের দুপুরের একবেলা খাবারের ‘উন্দাল’ এ আয়োজিত মিলাদ মাহফিলে দোয়া পরিচালনা করেন হাফিজ রেদওয়ান আহমেদ। জন্মবার্ষিকীতে আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ মুজতবা আলী পাঠাগারের মৌলভীবাজার জেলার সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, হাকালুকি টাইমস২৪ এর প্রধান সম্পাদক আহমেদ ইসহাক প্রিন্স, সংস্কৃতিজন বিজয় চন্দ্র মল্লিক, কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ল্যাব ইনচার্জ সাঈদুর রহমান চৌধুরী, সাপ্তাহিক সিলেট প্রান্তের কুলাউড়া প্রতিনিধি রেজাউল আম্বিয়া রাজু, সাপ্তাহিক সীমান্তের ডাকের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সঞ্জয় দেবনাথ, সমাজসেবক মইনুল ইসলাম চৌধুরী সামাদ, অনুলিপি কুলাউড়ার আশিকুল ইসলাম বাবু, আজহার মুনিম শাফিন, ভয়েজ অব কুলাউড়ার শূন্য সুমন প্রমুখ।
অমর্ত্য ফাউন্ডেশনের কুলাউড়ার উন্দালে আজ জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অতিথিদের মধ্যে মুরগির মাংসের আখনি খাওয়ানো হয়। প্রতিদিন দুপুরে অভাবী মানুষজনকে ভরপেট একবেলা খাবারের যোগান দিচ্ছে কুলাউড়ার উন্দাল! এই উন্দাল এখন হয়ে উঠেছে অনেকেরই জন্মদিন, মৃত্যুবার্ষিকী যথাযোগ্যভাবে উদযাপনের একটি স্থান। যেখানে নিরন্ন ক্ষুধার্ত মানুষদের উল্লেখিত বিশেষ দিনগুলোতে খাওয়ানো হয় শ্রদ্ধার সাথে। উন্দালের মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজনে আজ সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন নিরাপদ স্বাস্থ্য রক্ষায় সামাজিক সংগঠন এর স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ এবং তাবাসসুম আম্বিয়া রিমি, তারান্নুম আম্বিয়া ঝিমি, দিলারা বেগম বিউটি, রোকসানা আক্তার প্রমুখ।
নাজিম উদ্দীন মোস্তান চট্টগ্রামের দৈনিক সমাচার পত্রিকায় কাজ করার মধ্যদিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর ঢাকায় এসে প্রথমে বাংলাবাজারে একটি প্রকাশনা সংস্থায় কাজ করেন। পরবর্তীতে দৈনিক পয়গাম পত্রিকায় সহসম্পাদক এবং ১৯৭১ সালে দৈনিক সংবাদ ও ১৯৭৫ সালে দৈনিক ইত্তেফাকে সহ-সম্পাদক পদে কাজ শুরু করেন। নাজিম উদ্দিন মোস্তান দীর্ঘ সময় ধরে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় সাংবাদিকতাসহ তিনি এর প্রধান প্রতিবেদক ছিলেন। সব শেষে তিনি রাষ্ট্র নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকার প্রকাশক ছিলেন।
সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০০৩ সালে তিনি একুশে পদক পান। একই বছর বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি ও বিসিএস কম্পিউটার সিটি তাকে আজীবন সম্মাননা দেয়। চাঁদপুরের এই কৃতিসন্তান ২০১৩ সালের ১৮ আগস্ট ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।