গত শনিবার ১০ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় ব্যাংকসটাউনের ব্রায়ান ব্রাউন থিয়েটারে অনুষ্ঠিত হল সিডনির সাংষ্কৃতিক অঙ্গনের প্রিয় গানের জুটি আতিক হেলাল ও আফরিনা মিতার গানে গানে জোছনা সিজন ৪। সন্ধ্যে থেকে রাট ১১ টা পর্যন্ত চলে গানে গানে জোসনার গানের পর্ব। ৮০ দশক থেকে বিংশ দশক পর্যন্ত উপমহাদেশের সেরা শিল্পীদের গান থেকে বাছাই করা বাংলা , হিন্দী গান , গজল এবং ব্যান্ডের গানের সমন্বয়ে সাজানো ছিল সংগীত পর্বটি।
৩২ টি গানের সমন্বয়ে ৩০ মিনিট বিরতির মধ্যে কখনো একক ভাবে আতিক হেলাল, কখনো আফরিনা মিতা আবার কখনো দুজনে মিলে টানা গান গান গেয়ে গেলেন। উল্লেখ্য গানের বিরতির দ্বিতীয় পর্বে আতিক হেলাল একটিদ গান ধরে যেটা ছিল জন্মদিনের গান আর হঠাৎ দেখা গেলো আতিক হেলাল ও আফরিনা মিতার সন্তানরা মম প্রজ্জ্বলিত একটি কেক নিয়ে স্টেজে আসছে। দর্শকরা কিছুটা অবাক হলেও কয়েক সেকেন্ড পরেই বুঝে যায় এই গান , কেক ও সন্তানদের স্টেজে আগমনের কারণ। শিল্পী আফরিনা মিতার জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতেই ওরা এসেছিল কয়েক মিনিটের জন্য এবং দর্শকরা সবাই সমস্বরে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান মিতাকে।
অনুষ্ঠানের শেষ লাইনটি গাওয়ার পরে যখন অনুষ্ঠান সমাপ্তির ঘোষণা আসে, তখনও দর্শকদের মধ্য থেকে ” ওয়ান মোর ! ওয়ান মোর ” অনুরোধ আসতে থাকে। এছাড়াও গানে গানে জোছনা সিজন ৫ অনুষ্ঠানের আগাম ঘোষণা করার অনুরোধ করেন অনেকেই। অনুষ্ঠানের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক ডাঃ মনি পারভেজ বলেন, “আমি পরজন্মে যদি আবার জন্মায়, আমাকে যদি সৃষ্টিকর্তা বলেন কি হিসেবে জন্মাতে চাও, তাহলে আমি বলবো, আমি মিতার মতো একজন কণ্ঠ শিল্পী হয়ে জন্মাতে চাই। “
এই গানের অনুষ্ঠানকে সম্পূর্ণরূপে পরিপূর্ন করতে যাদের অবদান ছিল তার মধ্যে অন্যতম ছিল শব্দ নিয়ন্ত্রন যারা কাজ করেছেন এবং যারা সংগীতের তালে তালে গানের নানা ধরণের যন্ত্রাংশ নিখুঁতভাবে বাজিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে শব্দ নিয়ন্ত্রণ করেন সিডনির অন্যতম শব্দ প্রকৌশলী আত্ত্বাবুর রহমান এবং তাকে সহায়তা করেন থিয়েটারের প্রকৌশলী অ্যাশ। বাংলাদেশ থেকে এসেছেন প্রখ্যাত স্যাক্সফোন বাদক /মিউজিশিয়ান পাভেল ও দেশে বিদেশে পরিচিত কি বোর্ড বাদক রাজীব। অনুষ্ঠানে আরো ছিলেন সিডনির নামকরা তবলা বাদক অভিজিৎ দান,লীড গিটারে ছিলেন ভিড় চাঁদ, বেজ গিটার ছিলেন খালিদ, ড্রামে ছিলেন শাহরিয়ার। অনুষ্ঠানের উপস্থাপনায় ছিলেন চ্যানেল এই বিজয়ী সংগীত শিল্পী মেহেদী হাসান। অনুষ্ঠানে খাবার পরিবেশনায় সাহায্য করেন মিন্টোতে অবস্থিত বাংলাদেশী রেস্টুরেন্ট মেজবান।