এক সারাদিন ধরেই ফেসবুক ও সংবাদ মাধ্যমগুলোতে সুপার মুন নিয়ে অনেক কথা লিখা হয়েছে। অনেকে অনেক ধরণের পরিকল্পনাও করেছেন কোথা থেকে কিভাবে সুপার মুন দেখা যাবে ভালভাবে। সিডনির আকাশে মেঘের আনাগোনা আর এক পসলা বৃষ্টি অনেকেরই সাগর পার থেকে সুপার মুন দেখার পরিকল্পনাকে নস্যাৎ করে দিল। প্রকৃতি কতটা সুন্দর এবং ব্যাখ্যার অতীত তা বলা খুবই কঠিন। মেঘের হাতছানিকে উৎরিয়ে বেরিয়ে আল অনেকদিনের কল্পনায় থাকা সুপার মুন। একের পর এক ক্লিক চলতেই থাকে সিডনির বিভিন্ন প্রান্তে।
৬৮ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় চাঁদ বা সুপারমুন দেখছে অস্ট্রেলিয়া তথা বিশ্ববাসী। সর্বশেষ ১৯৪৮ সালে এ ধরনের সুপার মুনের দেখা মিলেছিল। ২০৩৪ সালের আগে আবার এ ধরনের সুপারমুনের দেখা পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। ১৪ নভেম্বর পৃথিবী থেকে বিরল সেই সুপার মুন দেখা যাওয়ার কথা।
নাসার ভাষায়, নিজের কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে পূর্ণ চাঁদ যখন পৃথিবীর খুব কাছে চলে আসে তখন তা পৃথিবী থেকে খুব বড় ও উজ্জ্বল দেখায়, তখনই তাকে বলে ‘সুপার মুন’। ১৪ নভেম্বরের সুপার মুনের মতো এমন ‘সুপার মুন’ শেষ দেখা গিয়েছিল ১৯৪৮ সালে। ১৯৪৮ সালের পর এত বড় আর উজ্জ্বল চাঁদ আর দেখা যায়নি আকাশে। পূর্ণিমার চাঁদ যতটা বড় দেখায় তার চেয়েও ১৪ শতাংশ বেশি বড় দেখাবে একে। সেইসঙ্গে ৩০ শতাংশ বেশি উজ্জ্বল দেখাবে পৃথিবীর একমাত্র এই উপগ্রহটিকে। পৃথিবী আর চাঁদের গড় দূরত্ব তিন লক্ষ ৮৪ হাজার কিলোমিটার।