আবুল কালাম আজাদঃ মৃত্যু মানুষের জীবনে অমোঘ এক নিয়তি। তাই মৃত্যুর সাথে আমাদের অহর্নিশ উঠা-বসা চলাফেরা। জন্মিলেই মৃত্যু হবে জেনে মানুষ নিজকে কতনা উর্ধে মনে করে।
অষ্ট্রেলিয়ান ব্যবসায়ী ও লোকহিতৈষী বলে পরিচিতি পেয়েছেন। বিত্তবেসাতের মালিক থেকেও তিনি শেষ সময়ে একজন সাধারণ মানুষে পরিণত হন। আলী বানাত অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী আরবদের কাছে একজন পরিচিত মুখ। সফল ব্যবসায়ী ও সামাজিক ব্যক্তিত্ব।
তিনি নিজের চেষ্টা আর অধ্যবসায়ের ফলস্বরূপ মিলিয়নিয়ারে পরিণত হন।
আলী বানাত (৩৬) একজন অষ্ট্রেলিয়ান মুসলিম।
সিডনির গ্রীণএকরে বসবাস করতেন। তাঁর ২০১৫ সালে ধরা পড়ল টেষ্টিকুলার ক্যান্সার। সর্বশেষ স্টেজে ক্যান্সারটি থাকায় ডাক্তাররা রোগীর সময়সীমা বেঁধে দিলেন মাত্র সাত মাস কিন্তু আল্লাহর অসীম কৃপায় ডাক্তারের ভবিষ্যতবাণীকে মিথ্যা প্রমান করে তিনি বেঁচে ছিলেন তিন বছর। আর গত সপ্তাহেই তিনি পরপারে পাড়ি জমান।
তিনি জীবনের শেষ তিনটি বৎসর গরিব, দুস্থ, অসহায়, নির্যাতিত, অসুস্থ ও পীড়িত মানুষের সেবা করে অনেকের মনে স্থান করে নিয়েছেন। মানব সেবায় পৃথক করে দেখেননি জাত, ধর্ম, দেশ ও পরিচয়।
ক্যান্সারের কথা জানার পরে সে সাময়িক ভেঙে
পরলেও ঠিকই আবার নতুন শক্তিতে কাজে নেমে পরে। সে একটি চ্যারিটি সংস্থা গঠন করে। যার নাম Muslims Around The World (MATW)। এই চ্যারিটি সংস্থার উদ্যোগে আফ্রিকাতে গরীব মুসলিমদের পূনর্বাসন জন্য সেখানে নিমার্ণ করেন আবাসস্হল, স্কুল, মসজিদ, হাসপাতাল ও একটি কবরস্থান। সদকায়ে জারিয়া হিসাবে তাঁর সমস্ত সম্পদ বিলি করা শুরু করলেন, এমনকি তার পরিধেয় পোশাকও।
আলী বানাতের বিলাসবহুল জীবনে সবচেয়ে দামী মডেলের ফেরারী গাড়ী, ব্রান্ডের পোষাক, জুতা, ব্রেসলেট, সানগ্লাস ইত্যাদি ব্যবহার করতেন। তিনি যে ফেরারী গাড়ি ব্যবহার করতেন তার মূল্য ছয় লাখ ডলার, ব্রেসলেটটা ব্যবহার করতেন সেটার মূল্য বাংলাদেশি টাকায় ৫০ লাখ, জুতা দাম লাখ টাকা, স্যান্ডেল ৬০ হাজার টাকা ছিল।
আলী মুসলিম টিভির এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “ক্যান্সার আমার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ উপহার।” মূলতঃ ক্যানসার হওয়ার কারনেই আমি জীবনের নতুন পথের সন্ধান পেয়েছি”।