সন্ত্রাসী হামলার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে এক বাংলাদেশি-বংশোদ্ভূত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেছে অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ ।
নওরোজ আমিন নামে ২৬ বছরের এই বাংলাদেশি ২০১৬ সালে বাংলাদেশে যাওয়ার চেষ্টার সময় অস্ট্রেলিয়ার কর্তৃপক্ষ তাকে আটকে দেয়। তার লাগেজে তল্লাশি চালিয়ে সন্দেহজনক জিনিসপত্র পাওয়া যায় বলে তখন পুলিশ অভিযোগ করেছিল।
বার্তা সংস্থা এএফপি অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল পুলিশকে উদ্ধৃত করে বলছে, যেসব জিনিসপত্র তার লাগেজে পাওয়া গিয়েছিল তাতে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে সন্ত্রাসবাদের প্রতি তার সমর্থন ছিল।
পুলিশ অভিযোগ করছে, “নওরোজ আমিন বাংলাদেশে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন এমন সব লোকজনের সঙ্গে দেখা করতে, যারা তার মত একই ধরণের আদর্শে বিশ্বাসী। এরপর তারা অস্ট্রেলিয়ার বাইরে সম্ভবত একটি সন্ত্রাসী হামলা চালানোর কথা ভাবছিলেন।”
অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ তার বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ এনেছে। এর মধ্যে একটি বিদেশি রাষ্ট্রের সীমানায় গিয়ে বৈরি কাজে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগও আছে।
এসব অভিযোগে তার যাবজ্জীবন সাজা পর্যন্ত হতে পারে।
নওরোজ আমিন ঠিক কোন দেশে এই সন্ত্রাসী হামলার ষড়যন্ত্র করছিলেন, তা জানা যায়নি।
অস্ট্রেলিয়ায় বেড়ে ওঠা লোকজনের মধ্যে সন্ত্রাসবাদী আদর্শের বিস্তার নিয়ে সম্প্রতি বেশি উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এরকম অনেকে ইসলামিক স্টেটে যোগ দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে গিয়ে তাদের পক্ষে লড়াইও করেছে।
২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়ায় সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী আইনে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয় যাতে করে সন্দেহভাজন জিহাদির বিদেশ ভ্রমণ আটকে দেয়া যায়।
কে এই নওরোজ আমিন
নওরোজ আমিন সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য এখনো জানা যায় নি। অস্ট্রেলিয়ার সিডনি মর্নিং হেরাল্ড পত্রিকা জানাচ্ছে, তিনি অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক। সেখানকার ইঙ্গেলবার্নে তিনি বসবাস করেন। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারীতে তিনি বাংলাদেশে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
২০১৭ সালের অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশের র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সাদিয়া আমিন নামে তিরিশ বছরের এক তরুণীকে গ্রেফতার করে।
র্যাবের ভাষ্য অনুযায়ী, এই সাদিয়া আমিন একটি নিষিদ্ধ জঙ্গী গোষ্ঠী জামাতুল মুজাহেদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য এবং অস্ট্রেলিয়া নিবাসী নওরোজ আমিনের স্ত্রী।
র্যাব আরও মনে করে, নওরোজ আমিনই আসলে সাদিয়াকে জঙ্গীবাদে দীক্ষা দেন। (বিবিসি)