বাংলাদেশে আটকে আছেন কিছু অস্ট্রেলিয়ান বাংলাদেশী !

বাংলাদেশে আটকে আছেন কিছু অস্ট্রেলিয়ান বাংলাদেশী !

করোনা ভাইরাসের কারণে দেশী বিদেশী বলে এখন আর অংক করা যায় না, হিসেবও মিলানো কঠিন হয়ে গিয়েছে । পৃথিবীর অনেক দেশের নাগরিক নিজের দেশের বাহিরে আটকে পরে আছে বিভিন্ন কারণে। হয় বিমানের ফ্লাইট বন্ধ অথবা দেশটিতে অন্য দেশের প্লেনই ঢুকছে না। যারফলে পৃথিবীর যোগাযোগ ব্যবস্থা সবকিছু এলোমেলো হয়ে গিয়েছে ।

অস্ট্রেলিয়ান সরকার যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রথম থেকেই তাঁদের নাগরিকদেরকে প্রথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নিয়ে আসার জন্য। চীনে যখন করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর তালিকা বেড়েই চলছিল, তখনি চীন সমস্ত বহির্বিশ্বে প্লেন চলাচল বন্ধ করে দেয়। অস্ট্রেলিয়ান সরকার বার বার তদবির করে চীনের সরকারের বিশেষ অনুমতি নিয়ে কোয়ান্টাসের বিশেষ ফ্লাইটে করে চীনের উহান প্রদেশ থেকে আটকে পড়া অস্ট্রেলিয়ানদের ফেরত নিয়ে আসে। এরই মধ্যে গত শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ান বিদেশ বিষয়ক মন্ত্রী মার্সি পাইন বিশেষ বিমানে করে পেরুর কুস্কো এবং লিমা থেকে এবং উরুগুয়ের মন্টেভিডিও থেকে শতাধিক অস্ট্রেলিয়ানকে দেশে ফেরত আনার ব্যবস্থা করেছেন। উল্লেখ্য যে, এই যাত্রীদের মধ্যে ওসেন আটলান্টিক ক্রুজ শিপের কিছু যাত্রীও আছে।

দুঃখের বিষয় হলো বাংলাদেশী অস্ট্রেলিয়ান যাত্রীদের ক্ষেত্রে। পৃথিবীজুড়ে যখন করোনা ভাইরাসে প্রভাব মারাত্মক আকার ধারণ করা শুরু করলো তখনি সরকার বিদেশে অবস্থারত তাদের সকল নাগরিকদের দেশে ফেরত আসার আল্টিমেটাম দিয়েছিলো। বেশিরভাগ বাংলাদেশী অস্ট্রেলিয়ান গত সপ্তাহেই ফেরত চলে আসতে পারলেও অনেকেই টিকিট না পাওয়া, পারিবারিক অসুবিধা থাকার কারণে অথবা বিশেষ কারণে গত সপ্তাহে আসতে পারেননি।
এরই মধ্যে ক্যানবেরার বাসিন্দা জনাব মুনির হোসেন এবং আইভি রহমানের সাথে কথা বলে জানা যায়, মুনিরের হার্টের সমস্যা থাকার কারণে বেশিদিন বাংলাদেশে থাকা নিরাপদ না এবং তারা বার বার অস্ট্রেলিয়ান হাই কমিশনে যোগাযোগ করেও তাদের অস্ট্রেলিয়া ফেরার ব্যাপারে কোন নিশ্চয়তা নিতে পারছেন না। এছাড়াও তারা আরো জানান, শুধু উনারাই নন, উনাদের প্রায় ত্রিশজনের মতো অস্ট্রেলিয়ান বাংলাদেশী এখন বাংলাদেশে আটকে আছেন তাদের কারো কারো অস্ট্রেলিয়ান ডাক্তারের কাছে রীতিমতো যাতায়াত করতে হয় চিকিৎসার জন্য। এই বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ান সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা বার বার চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।