কাউসার খান:অস্ট্রেলিয়ায় পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হবে দুই দিনে। প্রচলিত পন্থা ও বৈজ্ঞানিক হিসাবের মধ্যে গরমিলের কারণেই দু দিনে ঈদ উদ্যাপন হবে দেশটিতে। এর আগেও এমনটা হয়েছে। এ ছাড়া করোনাভাইরাসের কারণে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার বিধি-নিষেধের কারণে এবারের ঈদ হবে ভিন্ন রকম। ঈদ উপলক্ষে দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার মুসলিম সম্প্রদায়কে।
অস্ট্রেলিয়ায় পবিত্র ঈদুল ফিতর আগামী সোমবার উদ্যাপিত হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে দেশটির চাঁদ দেখা কমিটি মুনসাইটিং অস্ট্রেলিয়া। তারা জানিয়েছে, দেশটির আকাশে আজ শনিবার কোথাও পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। তবে বিজ্ঞানভিত্তিক হিসেবে অস্ট্রেলিয়ান ফতোয়া কাউন্সিল এক ঘোষণায় আগামীকাল রোববার পবিত্র ঈদুল ফিতর পালনের আহ্বান জানিয়েছে। ফলে অস্ট্রেলিয়ায় এবারও ঈদ দু দিনে উদ্যাপিত হচ্ছে। ফলে দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশিদের একাংশ আগামীকাল রোববার এবং বাকি অংশ সোমবার ঈদ উদ্যাপন করবে।
প্রতিবারের মতো উৎসবমুখর পরিবেশ থাকছে না এবার। এ বছরের ঈদ হবে ভিন্ন রকম। এবার অধিকাংশ মানুষ ঈদের নামাজ নিজেদের ঘরে আদায় করবে। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও দেশটিতে এখনো বেশি মানুষ একসঙ্গে মিলিত হওয়ার ওপর বিধিনিষেধ বলবৎ রয়েছে। মসজিদসহ সব প্রার্থনালয় বন্ধ রয়েছে এখনো।
নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যে এখনো জনসমাগমের বিষয়ে কঠোর বিধিনিষেধ রয়েছে। এই রাজ্যের সিডনি শহরেই প্রচুর বাংলাদেশির বাস। বিদ্যমান নিয়ম ভাঙলে বড় অঙ্কের জরিমানার বিধানও রয়েছে। ফলে আগের মতো হইহল্লার মধ্য দিয়ে আনন্দ করে ঈদ উদ্যাপনের তেমন সুযোগ থাকছে না।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে একজনের বাড়িতে বাচ্চাসহ সর্বোচ্চ পাঁচজন অতিথি বেড়াতে যাওয়ার অনুমতি রয়েছে। আর বাইরে সর্বোচ্চ ১০ জনের একত্র হওয়ার অনুমোদন রয়েছে। ঈদের দিনে বাড়িতে অতিথি আসা ও জনসমাগম প্রসঙ্গে সিডনিতে বসবাসরত প্রবাসী সাংবাদিক ফজলুল বারী বলেন, ‘ঈদের দিন বাড়িতে আমরা অনেকে একসঙ্গে হই। এটাই রেওয়াজ। কিন্তু এবার অন্যরকম। সরকারের বিধিনিষেধ মেনে চলা-ই উচিত হবে। নিয়ম ভাঙলে বড় ধরনের জেল-জরিমানার মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
এদিকে, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, ‘পবিত্র রমজান শেষে অস্ট্রেলিয়ার মুসলিম সম্প্রদায়কে আমার উষ্ণ শুভেচ্ছা পাঠাতে পেরে আমি আনন্দিত। ঈদ মোবারক!’