যারা ঈদে করোনা নিয়ে গেছেন গ্রামে

যারা ঈদে করোনা নিয়ে গেছেন গ্রামে

ফজলুল বারী:বাংলাদেশের বিশেষ কিছু সামাজিক অতীত আছে। যেমন এ দেশের নানাকিছুতে যারা নিত্য মূল্যবান মতামত দেন তাদের কেউ কেউ কিন্তু দেশে রঙ্গিন টেলিভিশন চালুর সময়ও এর প্রবল বিরোধিতা করেছিলেন।
তারা তাদের ‘মূল্যবান মতামতে’ এর বিরোধিতা করে বলেছিলেন, বাংলাদেশ গরিব দেশ। এর নাগরিকরা রঙ্গিন টেলিভিশনের ব্যয় সামাল দিতে পারবেনা। অনেক কষ্টে তাদের সেদিন রাজি করানো সম্ভব হয়েছিল।
সে দিন তাদের বোঝানো গিয়েছিল একদিন বিশ্বে সাদাকালো টেলিভিশন বলে কিছু থাকবেনা। রঙ্গিন টেলিভিশন সস্তা হয়ে যাবে। সাদাকালো টেলিভিশন থাকবে শুধু জাদুঘরে।
বাংলাদেশে এখনও অনেক ওজনের বাক্স টিভি-কম্পিউটারের মনিটর আছে। এগুলোও এখন দুনিয়াতে নেই। একদিন এসবও বাংলাদেশে থাকবেনা। ঈদে ব্যক্তিগত গাড়িতে বাড়ি যাবার ঘোষনা নিয়ে বাংলাদেশ এখন তেমন একটি পরিস্থিতিতে পড়েছে!
সমাজতন্ত্রীদের যারা অহোরাত্রি বামাতি বলে গালি দেন তারাও এক্ষেত্র্রে সরকারের শ্রেনী চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলে ধুয়ে দিচ্ছেন! যেন ভাবখানা বাংলাদেশের চলতি সরকার একটি সমাজতান্ত্রিক সরকার আর কী!
সেটা হলেতো ভালোই ছিল। তাহলে এই করোনা মহামারীর সমস্যা বাংলাদেশে এতদূর গড়াতোনা। যেমন চীন সামাল দিয়েছে। কোথাও একটি লাশও কাউকে দেয়া হয়নি। সব লাশ পুড়িয়ে ফেলেছে।
চীনে ফেসবুকও নেই। কোন বেসরকারি মিডিয়াও নেই। সরকারের কোন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করার সুযোগ নেই। দেশে সবাই একটি গণতান্ত্রিক সরকার চান। তার কাছে চান একনায়ক সমাজতান্ত্রিক সরকারের আচরন!
কি বিমূর্ত স্ববিরোধিতা! গাড়ি ইস্যুতে বিদেশে থাকা অনেক বিশিষ্ট লোকজনও দেখলাম বাতাস দিচ্ছেন! অথচও তারাও যার যার অবস্থান থেকে জানেন বাড়ির মাছ-তরকারি রাখার ফ্রিজের মতো গাড়িও একটি প্রয়োজনীয় সামগ্রী।
এটি এখন আর কোন বিলাস সামগ্রী নয়। বাংলাদেশেও একদিন তাই হবে। ব্যক্তিগত গাড়ির বিষয়টি এখানে এই করোনা সময়ের প্রেক্ষিতে এসেছে। করোনা ভাইরাসটি বিপুলভাবে ছড়িয়ে দেবার সব কাজগুলোই এরমাঝে বাংলাদেশে হয়ে গেছে।
এখন শুধু গণপরিবহন খুলে দেয়াতে বাকি আছে। এবং দেখবেন গণপরিবহন খুলে দেবার পর হৈহৈটা এদের নেতৃত্বেই হবে। কারন বিপুল জনসংখ্যার দেশ বাংলাদেশে কোনভাবেই সিংহভাগ মানুষ সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি মানছেনা।
এখন গণপরিবহন খুলে দিলে যে পরিস্থিতি হবে তাতো ট্রাক ভ্রমন আর ফেরির চেহারা দেখেই স্পষ্ট হয়। অথচ যে সব দেশ করোনাকে নিয়ন্ত্রনে এনেছে তারাও শর্ত সাপেক্ষে গণপরিবহন খুলে দিয়েছে।
ঠিক করে দেয়া হয়েছে একটি বাসে সর্বোচ্চ ১২ জন যাত্রী উঠতে পারবেন। এক সারিতে বসবেন একজন যাত্রী। এক সারি খালি রেখে পরের সারিতে বসবেন আরেক যাত্রী। ট্রেনের কামরা এবং লঞ্চেও বিষয়টি সেভাবে ঠিক করে দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশে জনসংখ্যা অনুসারে অত যানবাহন নেই আর মানুষকে এভাবে তা মানানো কঠিন। আর এখানে মানুষকে শুধু বাসে নয় ট্রাকে সহ যানবাহনে গাদাগাদি করে যেতে হয়। তারা উপায়হীন অথবা ভাবলেষহীন।
এমন একটি দেশ কিন্তু আমাদের সবার সত্যবাস্তব। এখন এই ঈদে প্রাইভেট গাড়ির মালিকরা অথবা তাদের কর্মচারীরাও ঈদের ঘরমুখো মানুষজনকে বেশি টাকায় পরিবহনে সেগুলোকেও গণপরিবহন বানিয়ে নিয়েছেন!
আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এর করুন পরিণতি জানা যাবে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমন এখনও বাংলাদেশে প্রতিদিন দুই হাজারের নীচে আছে। ঈদের পর হয়তো এটি পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে যাবে।
আর এখন এই ঈদের আগে যদি গণপরিবহন খুলে দেয়া হতো তাহলে প্রতিদিন এই সংক্রমন দশ হাজারের বেশি করা সম্ভব ছিল। কে যে কোন উদ্দেশ্য নিয়ে বুঝে অথবা না বুঝে নানাকিছুতে সক্রিয় তা শুধু অন্তর্জামীই জানেন।
আমার ধারনা মূলত সংক্রমন নিয়ন্ত্রনে রাখতে ঈদে বাড়ি যাওয়াটা নিরুৎসাহের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। যেমন বাধ্য হয়ে বাংলাদেশকে গার্মেন্টস কারখানাগুলো খুলে দিতে হয়েছে। খুলে দিতে হয়েছে কিছু প্রাইভেট সেক্টর।
এক ঈদে লোকজন বাড়ি না গেলে দেশ উচ্ছন্নে যেতোনা। কিন্তু তাদের তাতে রাজি করানো যায়নি। এখন বিভিন্ন মিডিয়ায় আসছে গ্রামে যাওয়া লোকজনকে নিয়ে প্রতিবেশীরাও ভয়ের মধ্যে আছেন।
অথচ ঈদেতো মানুষ বাড়ি যায় সবাইকে নিয়ে উৎসব করতে। কিন্তু এটিতো কোন স্বাভাবিক সময় নয়। মহামারীর সময়। কিন্তু কাউকে কিছুই শোনানো গেলোনা। ছোট ছোট বাচ্চা নিয়ে বেশি ভাড়া দিয়ে হলেও তারা যাবেনতো যাবেনই।
এই করোনার শুরুর দিন থেকে বিপুল জনসংখ্যার দেশ বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে সরকারি নানা সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যর্থতার অভিযোগ করা হচ্ছে। এর অনেক সত্যতাও আছে।
প্রথম দিনই বাংলাদেশ শক্ত হাতে ভাইরাসটির বাহক ইতালি ফেরতদের হজ ক্যাম্পে আটকে রাখতে পারেনি। সেই লোকগুলো আশকোনার হজ ক্যাম্পগুলোর ভিতর থেকে দেশের আইন কানুনের গোষ্ঠী উদ্ধার করছিল।
আর তাদের গালিগালাজ মিডিয়ায় লাইভ সম্প্রচারের মাধ্যমে এমন ধারনা দেয়া হচ্ছিল যে এমন একটি জালিম সরকার দ্বিতীয়টি পৃথিবীতে নেই! যে সরকার তার ‘রেমিটেন্স যোদ্ধাদের’ নিজের বাড়িতে যেতে দিচ্ছেনা!
প্রথম দিন থেকে বলা হচ্ছে বাংলাদেশ কেনো লকডাউন না বলে সাধারন ছুটি বললো! বাংলাদেশে লকডাউন নয়, দেয়া উচিত ছিল কার্ফু! ফিলিপাইনের মতো দেখা মাত্র গুলির নির্দেশ দেবার দরকার ছিল!
এটা কী সম্ভব বাংলাদেশে? যে দেশের মিডিয়ায় বিদেশ থেকে বাংলাদেশিদের ফেরার খবরে লেখা হয় আরও অতজন শূন্যহাতে দেশে ফিরলেন। আর অন্যদেশের লোক এখান থেকে গেলে লেখা হচ্ছে অমুক দেশ তার নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে!
এর মানে দাঁড়ায় পৃথিবীতে এমন খারাপ দেশ আর দ্বিতীয়টি নেই! নিজের দেশ সম্পর্কে এমন বিরূপ মিডিয়া পৃথিবীর আর কোথায় পাবেন? বাংলাদেশে কার্ফুর অভিজ্ঞতাও নিশ্চয় সবার মনে আছে।
জিয়ার আমলে এখানে দীর্ঘদিন কার্ফুর মাধ্যমে দেশ চালানো হয়েছে। এরশাদের শেষ দিকে কার্ফু দেয়া হয়। সর্বশেষ কার্ফু দেয়া হয় ১/১১’র সময়। কিন্তু এখানে কার্ফু দিনের পর দিন নিম্ন আয়ের লোকজনকে বাংলাদেশে আটকে রাখার অবস্থা নেই।
অথবা তখনও বাংলাদেশের এসব সিংহভাগ কার্ফু পাসওয়ালা মিথ্যা বলে এসবের অপব্যবহার করছিলেন! অ্যাম্বুলেন্সে করে কারা তখন যাতায়াত করছিলেন, তখন তা জানা যাচ্ছিল। এখন যেমন প্রাইভেট কারে যাত্রী নেয়া হচ্ছে।
এরপরও দিন শেষে সত্য মানুষকে ঘরে আটকে রাখতে না পারার ব্যর্থতা সরকারের। কিন্তু এই যে না পারা এরজন্যে দেশকে কি চরম মূল্য দিতে হচ্ছে তাতো দেশের পুলিশ সদস্যরা সবচেয়ে ভালো জানেন।
অজুহাতবাজ মিথ্যাবাদী লোকজনকে সামলাতে গিয়ে আজ বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পুলিশ সদস্য মহামারীতে আক্রান্ত হয়েছেন বাংলাদেশে। রাস্তায় আক্রান্ত পুলিশের সদস্যরা ব্যারাকে ফিরে আক্রান্ত করেছেন-করছেন অন্য পুলিশ সদস্যদের।
কারন বাংলাদেশ যে দিনের পর দিন এর পুলিশ বাহিনীকে অস্বাস্থকর ব্যারাক নামের বস্তিতে রেখে সার্ভিস নিচ্ছিলো তা কেউ কোন দিন ভাবার চেষ্টা করেননি। কোন দিন এর প্রতিবাদও করতে পারেনি পুলিশ।
কারন দেশের আইনে পুলিশ প্রতিবাদ করতে পারেনা। এটাকে রাষ্ট্রদ্রোহ বলে গণ্য হয়। পুলিশ এখনও এসব নিয়ে প্রতিবাদ করছেনা। জান-প্রান দিয়ে দেশের মানুষের জন্যে কাজ করে যাচ্ছে। আক্রান্ত হচ্ছে। সুস্থ হয়ে আবার কাজে যোগ দিচ্ছে।
বাংলাদেশ এর পুলিশের সদস্যদের এসব সার্ভিসের কথা মনে রাখবে কিনা জানিনা। এক পন্ডিত দেখলাম এক মিডিয়াকে বলেছেন এই যে লোকজন হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরে ঘুরে প্রান হারালো, সরকার কোন ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলো কেনো?
সরকার কেনো ব্যর্থ হয়েছে তা সেই পন্ডিতও জানেন। বাংলাদেশে এমন কোন একটি হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলো কোন কোন ঔষধ কোম্পানি তহবিল যুগিয়ে পুরো সেক্টরকে সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করে তা ওয়াকিফহালরা জানেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুরুতে এমন একটি হুমকি দিয়েছিলেন। কেউ তাঁকে পরোয়া করেনি। কেউ পাশে দাঁড়ায়নি তাঁর। বাধ্য হয়ে তিনি পিছিয়ে এসেছেন। কারন বুদ্ধিমতী প্রধানমন্ত্রী জানেন এখন সবার পিঠে হাত বুলিয়ে কাজ আদায়ের সময়।
সরকারকে এই পরিস্থিতিতে নানাকিছু সহ্য করে চলেছে। ঈদে বাড়ি যাওয়া আটকানোর সিদ্ধান্ত থেকেও সরকারকে পিছিয়ে আসতে হয়েছে। সবাই শপফ নিয়েছে ঈদে বাড়ি গিয়ে তাদের মা-বাবা, বাড়ির লোকজনকে সংক্রামিত করা দরকার!
রাস্তায় কিছু লোককে ইন্টারভ্যু করছিল এক মিডিয়া। এই পরিস্থিতিতে ঝুঁকি নিয়ে কেনো তারা বাড়ি যাচ্ছে তাদের জিজ্ঞেস করা হয়েছি। তাদের জবাব ছিলো বাঁচলে একসঙ্গে বাঁচবো মরলে একসঙ্গে মরবো।
এমন যারা মরার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে তাদের রক্ষা করা কঠিন। সবাইকে আগে বাঁচতে চাইতে হবে। এরমাঝে স্পষ্ট হয়ে গেছে বাংলাদেশের এই সংকটটি দীর্ঘদিন ধরে চলবে। কারন এর কোন ভ্যাকসিন নেই।
ভ্যাকসিন আসতে আসতে বহুদিন লাগবে। এই সময়ে কে কিভাবে বেঁচে থাকবেন নিরাপদ থাকবেন সে সিদ্ধান্তটি তাকেই নিতে হবে। এখন পথ আটকালেই সবাই যে যার মতো জীবিকা জীবিকা করছেন। এটা অসত্যও নয়।
কিন্তু আক্রান্ত হলে যে যার যেখানে জীবিকা, সবার আগে তাকে সেখান থেকে কাজে না আসতে বলা হবে। কারন তখন তাকে কাজে রেখে অন্যদের সংক্রমনের ঝুঁকি কেউ নেবেনা। কাজেই জীবিকা বাঁচাতে চাইলে আগে সবাইকে নিরাপদ রাখতে হবে।
বাংলাদেশের আরেকটি বিপদ হলো এই সময়ে অনেক সমাধানের উদ্যোগ সরকার রাজনৈতিকভাবে নিতে পারেনি। রাজনৈতিক নেতাকর্মীরাই তৃণমূল পর্যায়ের লোকজনকে বেশি চেনেন জানেন।
কিন্তু মাঠপর্যায়ে ত্রানের চাল চুরি, প্রধানমন্ত্রীর আড়াই হাজার টাকার ঈদ উপহার বিলি করতে গিয়ে প্রমান হয়ে গেছে প্রিয় দেশটার মাঠপর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃত্ব যে কতোটা দুর্নীতিগ্রস্ত।
এখন এই কর্তৃ্ত্ব স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃত্বের হাতে না থাকায় এসব অভিযোগের ফয়সালা দ্রুত করা গেছে। কিন্তু এর বিপদের দিকটি হলো মানুষ দেখছে এই বিপদের দিনে রাজনৈতিক নেতৃত্ব তাদের আশেপাশে নেই।
সরকারি দলের খুব কম নেতা-এমপি এই সময়ে এলাকার মানুষের বিপদে তাদের আশেপাশে সঙ্গে আছেন। শুধু সরকারি দল নয়। কোন দলের নেতাকর্মীরাও সব জায়গায় মানুষের সঙ্গে নেই।
এই যোগাযোগটি থাকলে মানুষকে বুঝিয়ে মহামারীর বিপদ সম্পর্কে তাদের কাউন্সিলিং এর কাজটি আরও ভালোভাবে করা যেতো। কারন শুধু করোনা নয় আগামীতে অপুষ্টি সহ নানা উপসর্গে আরও অনেক মানুষ মারা যাবে।
বাচ্চা-সন্তান সম্ভবাদের টীকা কার্যক্রমটি এই সময়ে বন্ধ রয়েছে। কিডনি রোগীরা তাদের ডায়ালিসিস নিয়মিত করাতে পারছেননা। নিয়মিত কেমো নিতে পারছেননা ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীরা।
বাংলাদেশের ধুমপায়ীরা অল্পদামী বিড়ি-সিগারেটে তাদের ফুসফুস তুলনামূলক বেশি দূর্বল করে রাখায় সহজেই আক্রান্ত হচ্ছেন করোনা ভাইরাসে। তাদের কারনে বাড়ির ছোট বাচ্চাগুলোকেও বাঁচানো যাচ্ছেনা।
বিশ্বে যেখানে এ রোগ শুধু বয়স্কদের বিপদের কারন বলা হচ্ছিল, বাংলাদেশে গিয়ে এর সংজ্ঞা পাল্টে গেছে। বাচ্চা-অল্প বয়সী যুবক কাউকে ছেড়ে কথা বলছেনা করোনা ভাইরাস!
যারা ঈদে বাড়ি গেছেন এরমাধ্যমে তাদের মাধ্যমে ভাইরাসটির সংক্রমনের খবর আসছে। আগে ইতালি থেকে ভাইরাসটি দেশে এসেছে। এখন তা গ্রামে গিয়ে পৌঁছেছে ঈদ করনেওয়ালাদের মাধ্যমে! এরা সবার সব পরিশ্রম ভন্ডুল করে দিচ্ছে।
দূর্যোগ সামাল দেয়া ফাইটার জাতি এই পরিস্থিতিও সামাল দেবে এটা সত্য। কিন্তু এবার চরম মূল্য দিয়ে দেবে। কিছু লোকজন সহজ সমস্যাটির সমাধান কঠিন করে দিলো। এখনও সময় আছে।
এরজন্যে দরকার সবার অংশগ্রহন। ঈদে যারা বাড়িতে গেছেন তাদের গ্রামে ঘুরে বেড়ানো নিরুৎসাহিত করুন। আমাদের শান্তির গ্রামগুলোকে মহামারীর গ্রামে পরিণত হতে দেবেননা। এতো রোগীকে বাঁচানোর চিকিৎসা সুবিধা বাংলাদেশের মতো দেশের নেই।