গত ২৯মে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যের প্রবাসী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের সংগঠন ডি ইউ ফ্যামিলি ভিক্টোরিয়ার উদ্যোগে বাংলাদেশের কোভিড -১৯ মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য অনলাইন তহবিল সংগ্রহের আয়োজন করা হয়। তথ্য ও গবেষণা, সচেতনতামূলক আলোচনা এবং হালকা সাংস্কৃতিক উপস্থাপনার মাধ্যমে সাজানো হয় এই তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠানটি। উক্ত অনুষ্ঠানে মেলবোর্নের ঢাকা বিশ্ববিদালয়ের প্রাক্তন প্রবাসী ছাত্র ছাত্রীরা ছাড়াও যুক্ত হয় বাংলাদেশের প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রীরা। ডি ইউ ফ্যামিলি ভিক্টোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার নুরুল ইসলাম খান অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশের ইতিহাসে ঢাকা বিশ্ববিদালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের অবদান ও গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং এই তহবিল সংগ্রহের উদ্যোগে জড়িত সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও শিক্ষক ড. কামরুল আলম যিনি বর্তমানে সেন্ট্রাল কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করছেন ও আরএমইটি উনিভার্সিটির শিক্ষক ড. শরীফ আস সাবের। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ড. আসাদ ইসলাম ও ড. আখতার হোসাইন। ড. ইসলাম এবং ড. হোসাইন দুজনেই বর্তমানে অস্ট্রেলিয়াতে গবেষণা করছেন কোভিড-১৯ এর বিষয়ে। এছাড়াও আলোচনায় যোগ দেন বাংলাদেশ থেকে ঢাকা বিশ্ববিয়ালয়ের জৈব রসায়ন বিভাগের দুই প্রাক্তন ছাত্রী ও গবেষক ড. সাবরিনা ইলিয়াস ও নূরজাহান মালিহা। উল্লেখ ড. সাবরিনা ও মালিহা দুজনেই বর্তমানে কাজ করছেন এই কোভিড-১৯ এর জিনোম নিয়ে। তারা দুজনই তুলে ধরেন কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে তাদের গবেষণা, যুদ্ধ ও লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা।
অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবাসী শিল্পীরা ছাড়াও অংশগ্রহণ করেন; থিয়েটার কর্মী চিত্রশিল্পী মিউজিক কম্পোসার ও জলের গানের ভোকালিস্ট রাহুল আনন্দ, মৃৎশিল্পী ও বাউলার ভোকালিস্ট প্রকাশ বণিক এবং বিশিষ্ট নাট্যজন ও থিয়েটার কর্মী চঞ্চল চৌধুরী। উল্লেখ তারা সকলেই ঢাকা বিশ্ববিদালয়ের চারুকলা অনুষদের ছাত্র। এছাড়াও বিশেষ অথিতি হিসেবে বাংলাদেশ থেকে যোগ দেন জনপ্রিয় নাট্যজন ও পরিচালক বৃন্দাবন দাস ও শাহনাজ খুশি। অনশগ্রহনকৃত অথিতিবৃন্দ সকলেই ডি ইউ ফ্যামিলি ভিক্টোরিয়ার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান এবং সকলকে আহ্বান জানান এই উদ্যোগে সামিল হতে।
ডি ইউ ফ্যামিলি ভিক্টোরিয়ার জেনারেল সেক্রেটারি ড. ইয়াসমিন খন্দকার ও সদস্য আসাদ তমাল জানান, সংগ্রহকৃত তহবিল বাংলাদেশের কোভিড-১৯ মহামারীতে আক্রন্ত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে বন্টন করা হবে। আর এই কাজে ডি ইউ ফ্যামিলি ভিক্টোরিয়াকে সাহায্য করছে বিদ্যানন্দ, জলের গান, কার্জন হলবাসী ও আইসিআর। ডি ইউ ফ্যামিলি ভিক্টোরিয়ার পক্ষ হতে উল্লেখ প্রতিষ্ঠানগুলি সংগ্রহকৃত তহবিল বাংলাদেশে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে বন্টন করবেন। প্রায় সোয়া দুই ঘন্টার এই অনুষ্ঠানটি সার্বিকভাবে সঞ্চালনা করেন, ইতিহাস বিভাগের প্রাক্তন ছাত্রী রওনাক রাব্বানী সুবর্ণা, অর্থনীতি বিভাগের প্রাক্তন ছাত্রী জীনাতুর রেজা খান এবং অঙ্কন চিত্রায়ন বিভাগের প্রাক্তন ছাত্রী হাসিনা চৌধুরী মিতা। সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার নুরুল ইসলাম খান ও ট্রেজারার জনাব মুহাম্মদ মুজিব শিশির ও অন্যান্ন সদ্যসরা সবাইকে বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এই মহতী উদ্যোগে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়ার জন্য, এবং সেই সাথে বলেন যারা এখনো আগ্রহী আমাদের এই উদ্যোগে শামিল হতে তারা যেকোনো সময়ই পারেন আমাদেরন সঙ্গে যুক্ত হতে আমাদের একাউন্টে ডোনেশনের মাধ্যমে।