১৯৭০ সালে মহাপলয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় “ভোলা” বাংলাদেশে আঘাত করে তখন ওয়াজি উল্লাহর বয়স ছিলো মাত্র তিন বছর। সেই ঘূর্ণিঝড়ের গতি ঘন্টায় ছিলো ১৮৫ কিঃমিঃ যা কিনা তার পৈতৃক বাড়িঘর সব কিছুই কেড়ে নেয় সাথে নেয় তার বাবার জীবন। উল্লেখ্য, ভোলা ঘূর্ণিঝড়ের কারণে প্রায় ৩ লক্ষ লোক মারা গিয়েছিলো এবং ভয়ংকর ঘূর্ণি ঝড়ের তালিকায় এখনো পৃথিবীর এক নম্বর হিসেবেই আছে। ওয়াজি উল্লাহ তখনকার একটি হালকা স্মৃতি মনে আছে বলেছিলেন তার এবিসি রেডিওর সাথে দেয়া সাক্ষাৎকারে,”আমি দেখেছিলাম চারদিকে শুধুই পানি আর পানি,মনে হয়েছিলো একটি বিশাল আয়না!”
১৯৭৪ সালের কথা যখন ওয়াজি উল্লাহর বয়স ছিলো মাত্র সাত বছর তখন ভোলা জেলার মনপুরা এতিমখানা থেকে তাকে দত্তক হিসেবে গ্রহণ করেন সেখানেই কর্মরত নার্স অস্ট্রেলিয়ার তাজমানিয়ার বাসিন্দা। তিনি বলেন, “অস্ট্রেলিয়া এসে ছয় মাসের মধ্যেই আমি আমার মায়ের ভাষা ভুলে গিয়েছিলাম কিন্তু বাংলাদেশের তরকারি ও ডালের টেস্ট ভুলতে পারিনাই। “
তিনি আরও বলেন, “একবার এক ইন্টারভিউ তে আমি বলেছিলাম, আমার দত্তক পরিবার শুধু শুকরের মাংস আর ডিম খায়। আমি তিনবেলা মাংস আর সবজি খেয়েই বড় হয়েছি। এতে আমার দত্তক বাবা মা দুজনেই আহত হয়েছিলেন। আসলে আমি টেস্টের কথা বলেছিলাম, আঘাত দেয়ার জন্য নয়। আমি বাংলাদেশী খাবার একদিনের জন্য ও খাইনি তখন পর্যন্ত। “
“আশ্চর্য আরও একটা ব্যাপার ঘটে গেলো আমার জীবনে। আমারই দত্তক বাবা মার মেয়ে যখন বিয়ে করলো বাংলাদেশী মির্জান রহমানকে।”
সেই থেকেই শুরু হলো খোজা ওয়াজিউল্লাহ স্পিবির আসল মা ও ফেলে আসা পরিবারের খুঁজে। মির্জান সাহায্য করলো এই কাজটি সহজ করতে। প্রথমে মনপুরা এতিম খানা থেকে খোঁজ খবর নিয়ে পরে পেয়ে গেলেন তার মা সহ পরিবাবের বেঁচে থাকা সবাইকে যখন তার বয়স হয়েছিলো ২৪।
সেই থেকেই শুরু হলো খোজা ওয়াজিউল্লাহ স্পিবির আসল মা ও ফেলে আসা পরিবারের খুঁজে। মির্জান সাহায্য করলো এই কাজটি সহজ করতে। প্রথমে মনপুরা এতিম খানা থেকে খোঁজ খবর নিয়ে পরে পেয়ে গেলেন তার মা সহ পরিবাবের বেঁচে থাকা সবাইকে যখন তার বয়স হয়েছিলো ২৪।
ওয়াজিউল্লাহ বলেন, “এইটা সহজ ছিলোনা মেনে নিতে যাকে আমি এতদিন মা জেনেছি, সে আমার আসল মা না। তবে আমার দত্তক মা ও বাবা ধনী ছিলেন না ঠিকই কিন্তু আমাকে কোনদিন বুঝতে দেননি যে আমি তাঁদের সন্তান না। ”
তার জন্মদাত্রিণী মাকে দেখে সে এতটাই অবাক হয়েছিলন। তিনি জানান, ” সেই স্মৃতিটা ভুলার নয়। আমার মা এতোই ছোট ছিলো।”
তার জন্মদাত্রিণী মাকে দেখে সে এতটাই অবাক হয়েছিলন। তিনি জানান, ” সেই স্মৃতিটা ভুলার নয়। আমার মা এতোই ছোট ছিলো।”
তারপর থেকে তিনবার বাংলাদেশে গিয়েছিলেন কিন্তু এই বছর মায়ের মৃত্যুর পরে বাংলাদেশে যেতে পারেননি এবং আবারো যাবেন যখনই নিষেধাজ্ঞা সহজ হবে।
ওয়াজিউল্লাহ এখন ৫৩ বছরের প্রতিষ্ঠিত সেফ যার পেশা শুরু করেন একটি ফ্রেঞ্চ রেস্টুরেন্টে। তিনি এখন নিজেই একটি ক্যাটারিং হাউজ এবং ফুড ভ্যান পরিচালনা করেন। তাজমানিয়ার সমস্ত বড় অনুষ্ঠানে(বিয়ে, সামাজিক ইভেন্ট ও পার্টিতে) তার খাবার”ওয়াজি ফুড” খুবই নামডাক রয়েছে।
তিনি এখন তার খাবারের সাথে বাংলাদেশী ও থাই টেস্ট ও সংযোজন করবেন বলে জানিয়েছেন।
ওয়াজিউল্লাহ এখন ৫৩ বছরের প্রতিষ্ঠিত সেফ যার পেশা শুরু করেন একটি ফ্রেঞ্চ রেস্টুরেন্টে। তিনি এখন নিজেই একটি ক্যাটারিং হাউজ এবং ফুড ভ্যান পরিচালনা করেন। তাজমানিয়ার সমস্ত বড় অনুষ্ঠানে(বিয়ে, সামাজিক ইভেন্ট ও পার্টিতে) তার খাবার”ওয়াজি ফুড” খুবই নামডাক রয়েছে।
তিনি এখন তার খাবারের সাথে বাংলাদেশী ও থাই টেস্ট ও সংযোজন করবেন বলে জানিয়েছেন।
সূত্রঃ এবিসি নিউজ অস্ট্রেলিয়া