অষ্ট্রেলিয়ায় বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস এবং ২১শে আগস্টের উপর আলোচনা সভা

অষ্ট্রেলিয়ায় বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস এবং ২১শে আগস্টের উপর আলোচনা সভা

গত ২১শে আগস্ট (২০২১) শনিবার বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, অষ্ট্রেলিয়া শাখার উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী (জাতীয় শোক দিবস) এবং ২১শে আগস্টের উপর এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টে এবং ২০০৪ সালের ২১শে আগস্টে শহীদ সকলের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি মোল্লা মোঃ রাশিদুল হকের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। তিনি বঙ্গবন্ধুর জীবনী, তার মৃত্যু পূর্ববর্তী পরিস্থিতি, তার মৃত্যু, হত্যাকারীদের বিচার, ২১শে আগস্টের সাথে ১৫ই আগস্টের সম্পর্ক, ইত্যাদি নিয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবার উদ্দেশ্যে এক গবেষণামূলক প্রতিবেদন পেশ করেন। এরপর দলের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসিনা চৌধুরী মিতার সঞ্চালনায় শুরু হয় অনুষ্ঠানের মূল পর্ব।

অনুষ্ঠানের এই পর্যায়ে বক্তব্য রাখেন অস্ট্রেলিয়াতে নিযুক্ত বাংলাদেশ সরকারের মহামান্য রাস্ট্রদূত জনাব সুফিউর রহমান, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সভাপতি ড. মশিউর মালেক, জয়বাংলা সাংস্কৃতিক ঐক্যজোট এবং আওয়ামী শিল্পী গোস্টির সভাপতি এবং ঢাকা মহানগর (দঃ) আওয়ামী লীগ নেতা সালাউদ্দিন বাদল, নিউজিল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশ সরকারের অনারারী কনসাল ইঞ্জিনিয়ার শফিকুর রহমান অনু এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন।

এরপর অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে শুরু হয় প্যানেল আলোচনা। এই পর্বের প্যানেলিস্ট ছিলেন বিশিষ্ট লেখক, গবেষক এবং এক্টিভিস্ট অমি রহমান পিয়াল, বিশিষ্ট আইনবিদ, গবেষক এবং লেখক ব্যারিস্টার নিঝুম মজুমদার এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন। এই অংশে প্যানেলিস্টদের উদ্দেশ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত অনেকেই প্রশ্ন করেন এবং প্যানেলিস্টরা তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনে করেন। তথ্য ও গবেষণামূলক এই অনলাইন আলোচনায় বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে আলোচনা করা ছাড়াও বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের প্রেক্ষাপট তৈরী, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডে বিভিন্ন সংগঠন, ব্যাক্তি এবং দেশের সম্পৃক্ততা, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের বিচার এবং হত্যাকান্ডের পরবর্তী বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে নিয়ে আলোচনা করা হয়। এই অংশে উইকিলিকসে প্রকাশিত বিভিন্ন দলিল, মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশ নিয়ে লিখিত বিভিন্ন গবেষণা প্রবন্ধ এবং বইয়ের রেফারেন্স দেয়া হয়। এছাড়া এই অংশে ১৫ই আগস্ট এবং ২১শে আগস্ট হত্যাকান্ডে জিয়া পরিবারের সম্পৃক্ততা ছাড়াও ১৫ই আগস্টে হত্যাকান্ডে জড়িত নূর চৌধুরী্র সাথে ২১শে আগস্টে বোমা হামলায় জড়িত মুফতি হান্নানসহ অন্যদের সরাসরি আলোচনার কথা বলা হয়। প্যানেলিস্ট নিঝুম চৌধুরী ১৫ই আগস্ট হত্যাকান্ডে মোট ৩টি বাড়িতে হত্যাকান্ড হলেও দুটি বাড়ির হত্যাকান্ড নিয়ে এখনো বিচার হয়নি বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেন। এছাড়া প্যানেলিস্ট অমি রহমান পিয়াল বাকশালসহ বঙ্গবন্ধু পরিবার সম্পর্কে অনেক গুজব এবং বিভ্রান্তি নিয়ে জনমানুষের ভুল বোঝাবুঝির উপর আলোকপাত করেন। প্যানেলিস্ট দেলোয়ার হোসেন লে. জেনারেল জিয়ার বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত থাকা ছাড়াও শত শত মুক্তিযোদ্ধা হত্যার জন্যে দায়ী করেন। এছাড়া তার সন্তান তারেক জিয়ার পরিকল্পনায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করার পরিকল্পনার উপর আলোকপাত করেন। এই প্যানেল আলোচনায় সঞ্চালক হাসিনা চৌধুরী মিতাকে সাহায্য করেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, অস্ট্রেলিয়ার সাধারন সম্পাদক এবং আর এম আই টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. সানিয়াত ইসলাম।

ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি এডভোকেট ড. সিরাজুল হক, বঙ্গবন্ধু পরিষদ অস্ট্রেলিয়া (ইনক) এর সভাপতি ড. রতন কুন্ড, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হাফিজ টি এ খান, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন অস্ট্রেলিয়ার উপদেস্টা, জ্বালানী বিশেষজ্ঞ, কনসালটেন্ট, ও বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার সালেক সূফি, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক রাশিদা হক কনিকা, মেলবোর্ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. মাহবুবুল আলম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য ড. সিদ্ধার্থ দে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যান বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য নুরুল হক সজীব, বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টারের আহবায়ক জনাব বজলুর রশীদ বুলু, ফ্রেন্ডস অফ বাংলাদেশ, রিয়াদ, সৌদি আরব শাখার সভাপতি এবং কিং সঊদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম মিলন, অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ হাই কমিশনের ফার্স্ট অফিসার মোঃ সালাউদ্দিন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, অস্ট্রেলিয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম দিদার হোসেন, সিডনি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আইজিদ আরাফাত অরুপ, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন অস্ট্রেলিয়ার সহ-সভাপতি ব্যারিস্টার নির্মাল্য তালুকদার, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন অস্ট্রেলিয়ার সহ-সভাপতি ইশরার ওসমান, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন অস্ট্রেলিয়ার যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মশিউর শেখ, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন অস্ট্রেলিয়ার দপ্তর সম্পাদক এবং মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং গবেষক ড. শেখ আলিফ, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন অস্ট্রেলিয়ার সদস্য পি এইড ডি গবেষক সজল চৌধুরী, মেলবোর্ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আজহারুল ইসলাম সোহাগ, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন অস্ট্রেলিয়ার সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ফাহাদ চৌধুরী, মোঃ রাশেদুজ্জামান,  নিউজিল্যান্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক শহীদ জামান, ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এস এম সুজন, কুয়েত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দ্বীন ইসলাম মিন্টু, সিঙ্গাপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি সালাউদ্দিন রানা, গাজীপুর মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ফউজিয়া খাতুন, সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মী জিনাতুর রেজা খান, সাংস্কৃতিক কর্মী নুসরাত ফারাহ খান তৃণা, অস্ট্রেলিয়ার কলেজ শিক্ষক জীতু বায়েজিদ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রাক্তন সদস্য রুবেল হোসেন আবীর, অধ্যক্ষ ইদ্রিস আলী, জনাব আব্দুস সালাম, হাঙ্গেরী থেকে সাজিন আহমেদ, সুব্রত সরকার, প্রজ্ঞা প্রিয়ন্তি,  এস কে ফরিদ, বিআরটিএ কর্মকর্তা প্রনব বিশ্বাসসহ আরও অনেকে।

সবশেষে সবাইকে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করার জন্যে ধন্যবাদ দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন সংগঠনের সভাপতি মোল্লা মোঃ রাশিদুল হক।