সিডনির বুকে এক টুকরো বাংলাদেশ খ্যাত ল্যাকেম্বায় যেন উৎসবের ঢল নেমেছিল আজ। আয়োজনে অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগ, আওয়ামী যুবলীগ এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদ হলেও অনুষ্ঠানটি রূপ নিয়েছিল দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের বাঙালিদের উৎসবে। টেলিভিশনের বিশাল পর্দায় পদ্মাপাড় থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপভোগকালিন উপস্থিত দর্শকরা মুহুর্মুহু করতালিতে ফেটে পড়ছিলেন। যখন বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করছিলেন তখন গ্রামীন রেস্তোরার হলরুম জুড়ে সম্মিলিত কণ্ঠে ধ্বনিত হচ্ছিল ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ শ্লোগান। সবাই তখন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। নিজস্ব অর্থায়নে বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মান করে জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে অনন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। প্রবাসী হিসেবে যেন তাদের গর্ব মনে হচ্ছিল একটু বেশিই।
উৎসবের ফাঁকে ফাঁকে খন্দকার ফয়সাল আরেফিনের সঞ্চালনায় উপস্থিত অনেকেই মঞ্চে এসে তাদের অনূভূতি ব্যক্ত করছিলেন। প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তারা বলেন, আমরা যারা নিয়মিত পদ্মা পাড়ি দিতাম, তারা তো কখনো স্বপ্নেও ভাবি নি এই প্রমত্ত পদ্মা নদীর উপরে কোনদিন সেতু হবে। স্বপ্ন নয়, পদ্মা সেতু তাই স্বপ্নেরও অধিক এক সেতুর নাম। কেবল স্থাপত্যের বিস্ময়ই নয়, এই সেতু আমাদের অহংকার, আত্মমর্যাদা ও আত্মবিশ্বাসের প্রতীক। দেশি-বিদেশি সকল ষড়যন্ত্রকে উপেক্ষা করে এই সেতু নির্মানের মধ্য দিয়ে আবারো প্রমানিত হলো, ‘শেখ হাসিনা এখনো পারে, শেখ হাসিনাই পারে।’ এই সেতু নির্মানের জন্য উপস্থিত সকলের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে ধন্যবাদ এবং তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো হয়। অনুষ্ঠানে বিশিষ্টজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ড. আবুল হাসনাৎ মিল্টন, ড. খায়রুল হক চৌধুরী, আব্দুল জলিল, অজয় দাশ গুপ্ত, ডা. লাভলি রহমান, নির্মাল্য তালুকদার, ড. শাখাওয়াৎ নয়ন, আবু তারিক, রহমতউল্লাহ, আব্দুল্লাহ আল নোমান শামীম, মশিউর রহমান হৃদয়, মোহাম্মদ মুনির হোসেন, আইভি রহমান, শাহনেওয়াজ, আতিক হেলাল, আফরিনা মিতা, আতিকুর রহমান শুভ, লিয়াকত আলী লিটন, মাকসুদুর রহমান চৌধুরী সুমন, হাসান শিমুন ফারুক রবিন, উবায়েদুল হক, তারিক বাপ্পী, রেজাউল হাসান ভুট্টো, খন্দকার তারিক হাসান লিপু, অপু সারোয়ার, ডা. মুনীর, পিয়াসা বড়ুয়া, জেজে অপূর্ব, নামিদ ফারহান, আসমাউল হুসনা, শাহীন জয়, মহিউদ্দিন কাদের, এস এম আমিনুল রুবেল, অভিজিত বড়ুয়া, হুমায়ুন কবির সুবেল, মাসহুদা জামান ছবি, পলি আহমেদ, পল মধু, আলী আশরাফ হিমেল, এলিজা আজাদ টুম্পা, প্রমুখ।
উৎসবের অংশ হিসেবে মনোজ্ঞ এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন ছিল। সাথে ছিল শিশুদের জন্য ফেস পেইন্টিং। অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন ফয়জুন নাহার পলি, আরিফুর রহমান, ফাহাদ আসমার, এবং সঙ্গীত পরিবেশন করেন মারিয়া মুন, শাহানা চৌধুরী এবং রকি। অনুষ্ঠানের শেষে বাংলাদেশে বন্যার্ত মানুষদের সহায়তায় প্রবাসী বাঙালিদের সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে সাধ্যমত সাহায্য করবার জন্য আয়োজকদের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়।