১৮ অক্টোবর ২০২২ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাত ঘটিকায় সিডনির লাকেম্বার গ্রামীন রেঁস্তোরায় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ অস্ট্রেলিয়া সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে সর্বজনাব গামা আব্দুল কাদিরের সভাপতিত্বে এবং মহিলা আওয়ামীলীগ অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি এবং সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা সেলিমা বেগম এবং মাকসুদুর রহমান সুমন চৌধুরীর যৌথ সঞ্চালনায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু তনয় শহীদ শেখ রাসেলের ৫৯ তম জন্মবার্ষিকী উজ্জাপিত হয়।
অস্ট্রেলিয়ায় জন্মগ্রহন এবং বড় হয়ে উঠা রাফিয়াহ রেজা ,রাইমি রেজা কেক কেটে জন্মদিনের এই অনুষ্ঠানটির সূচনা করে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বর্ষীয়ান আওয়ামীলীগ নেতা এবং বাঙ্গালী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব সাদাত হোসেন, মোঃ সফিকুল আলম সফিক, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ অস্ট্রেলিয়ার সাধারন সম্পাদক কবি ইন্জিনিয়ার আল নোমান আল শামীম, চট্টগ্রাম সিটি কলেজের সাবেক ভিপি ইফতেখার হোসেন ইফতু, লিয়াকত আলী লিটন, সাবেক ছাত্রনেতা আবু তারিক, ইন্জিনিয়ার মোঃ নজরুল ইসলাম সাচ্চু, ইন্জিনিয়ার সাজ্জাদ সিদ্দিকি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ অস্ট্রেলিয়ার সাবেক সাধারন সম্পাদক অপু সরোয়ার, আওয়ামীলীগ নেতা রেজাউল হাসান ভূট্রো, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জুম্মন রহমান ,যুবলীগ নেতা তারিক হাসান লিপু,আওয়ামীলীগ নেতা শেখ হৃদয়, মহিলা আওয়ামীলীগ নেতা জুঁই, শাহানা চৌধুরী, আওয়ামীলীগ নেতা পল মধু, জাহাঙ্গীর আলম জয়, মাহবুব সোহেল, যুবলীগ নেতা আলী আশরাফ হিমেল প্রমুখ।
বক্তাগন শুরুতেই শহীদ শেখ রাসেলসহ ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার সকল শহীদদের প্রতি শোক এবং শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। বিশেষ করে ১০ বছরের শিশু রাসেল হত্যাকান্ড এবং পরবর্তীতে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার করা যাবেনা এই মর্মে যারা ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ এবং পরবর্তীতে পার্লামেন্টে (১৯৭৯) সেই অধ্যাদেশ আইনে পরিনত করেছিলো তাদের সেই ঘৃন্য উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেন। বক্তারা প্রশ্ন উত্থাপন করেন শিশু শেখ রাসেল, মহিলা, এমনকি প্রেগন্যান্ট মহিলারা সেদিন এই হত্যাকান্ড থেকে যদি রেহাই না পেয়ে থাকেন তবে কোন্ উদ্দেশ্যে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিলো। বিশেষ করে শিশু রাসেলের তো কোনো রাজনৈতিক কর্মকান্ডে বা কোনো অপরাধ সংঘটনে জড়িত থাকার বয়স ছিলোনা। এই শিশুটি ঘাতকদের অনুরোধ করেছিলো তার মায়ের কাছে নিয়ে যেতে। ঘাতকরা একেবারেই ঠান্ডা মাথায় শিশুটিকে তার মায়ের মৃত দেহের ওপর পেছন থেকে বুলেট বিদ্ধ করে হত্যা করেছিলো। বিশ্বের কাছে কিভাবে এই হত্যাকাণ্ড জাস্টিফাইড হয়েছিলো?
সংগত কারনেই বক্তাগন সেদিন পৃথিবীতে এমন কেউ বা কোনো রাষ্ট্র এই নৃসংশ হত্যাকাণ্ড মানবতার প্রশ্নে কতোটা গ্রহনযোগ্য ছিলো তা’ নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেছিলো কি-না তা’ নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেন। সেদিন শিশু এবং মহিলা হত্যাকাণ্ডে যারা মানবতার হত্যা হয়েছে এনিয়ে যারা একবারও প্রশ্ন উত্থাপন করেননি তারা আজ মানবতার বুলি কপচাচ্ছেন শুধুমাত্র শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন থমকে দেয়ার জন্য।
কারন বক্তাগন যথার্থই উল্লেখ করেছেন যে সেদিন ১৯৭১ সালের পরাজিত শক্তি জামাত, ক্ষমতা দখলদার জেনারেল জিয়াউর রহমান এবং বিদেশী শক্তি যারা সেদিন স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধীতা করেছিলেন তারাই যখন ২০২২ সালে একই কন্ঠে কথা বলছেন তখন আর বুঝতে বাকী থাকেনা তারা স্বাধীনতার স্বপক্ষের সরকার আওয়ামীলীগকে অবৈধ পথে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায়।