আজ সকাল ১০ টায় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ অস্ট্রেলিয়া শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রদ্যূৎ সিংহ চুন্নুর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয় সিডনির রাউজ হিলের ক্যাসেলব্রুক মেমোরিয়াল পার্কে। ধর্মীয় রীতিনীতি অনুযায়ী পুরোহিত হিসেবে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া পরিচালনা করেন কৃষিবিদ পরমেশ ভট্টাচার্য।
উল্লেখ্য , প্রদ্যুৎ সিং চুন্নু গত ২৮ ডিসেম্বর স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে সিডনির প্রিন্স অব ওয়েলস হাসপাতালের ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছিলেন। ৩১ ডিসেম্বর সিডনির দুপুর ১২:৫৬ মিনিটে জীবনযুদ্ধে হেরে যান ৫৮ বছর বয়সের প্রদ্যূৎ সিংহ চুন্নু।
বাংলাদেশ পূজা এসোসিয়েশন (বিপিএ)এবং ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল এলামনাই এসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করা হয় হয়। তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে সিডনির বিভিন্ন প্রান্ত এবং ক্যানবেরা থেকে ছুটে আসেন দলমত নির্বিশেষে সকল ধর্মের অসংখ্য বন্ধুবান্দব , দলীয় কর্মী ও গুণগ্রাহীরা । তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে ধর্ম-বর্ন নির্বিশেষে প্রার্থনা করা হয়।
অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় শ্রদ্ধা জ্ঞাপনে সংক্ষিপ্ত আকারে স্মৃতি চারণে অংশ নেন বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। তাদের মধ্যে তার জীবন সঙ্গিনী বিলকিস জাহান , সিডনি কনসাল জেনারেলের পক্ষে আশফাক হোসেন , ড. রতন কুন্ডু , ড. তপন কুন্ডু , দিলীপ দত্ত , ড.মাসুদুল হক, ড. সমীর সরকার ,গামা কাদির , শেখ শামীমুল হক , কামরুল মান্নান আকাশ , ড. এজাজ আল মামুন , কিশোর দাশ, এমিলি কুন্ডু।
পিএস চুন্নু ১৯৯০ সালের অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় আসেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি খুলনার ফুলতলা উপজেলায়। তাঁর স্কুল ও কলেজ কেটেছে খুলনাতে। পরবর্তীতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের আবাসিক ছাত্র। অস্ট্রেলিয়ায় তাঁর জীবন সঙ্গী ছিলেন বিলকিস বেগম। পিএস চুন্নুর কোন সন্তান ছিলো না।
তিনি ২০০৮ সালের শেষের দিকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ অস্ট্রেলিয়া’র সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ শুরু করেন এবং মৃত্যু অবধি তাঁর দায়িত্ব পালন করে এসেছেন। সিডনিতে রাজনীতিবিদ এবং সমাজসেবক হিসেবে তিনি পরিচিত ছিলেন। চুন্নু ছিলেন নিঃস্বার্থ এক সমাজসেবক এবং রাজনীতিবীদ। তিনি কখনই নিজের জন্য কিছু করতেন না। সারাজীবন অন্যের উপকারের জন্য নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন।