গত ১০ জানুয়ারী,মঙ্গলবার, ২০২৩ সন্ধ্যায় সিডনির ল্যাকেম্বার ধানসিঁড়ি রেস্টুরেন্টে অজয় দাসগুপ্তের ৬৪তম জন্ম-বার্ষিকী পালিত হয়। সিডনি বাংলাদেশী কমিউনিটি প্রিয়মুখ সর্বজন শ্রদ্ধেয় গামা আব্দুল কাদিরের আমন্ত্রিত অতিথিদের নিয়ে উদযাপন করা হয় অজয় দাশগুপ্তের জন্মদিনের উৎসবটি । অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন মাকসুদুর রহমান সুমন চৌধুরী।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনি প্রবাসী অজয় দাসগুপ্ত একজন কলামিস্ট, ছড়াকার এবং প্রাবন্ধিক। তিনি দেশে বিদেশের নামকরা সব পত্রিকায় নিয়মিত লিখছেন। তাঁর রচিত ‘ নারীর হৃদয় সবখানি’, ‘কৃঞ্চ সংস্কৃতির উত্থান পর্বে’; ‘ছড়ায় গড়ায় ইতিহাস’; ‘শুধু ছড়া পঞ্চাশ’; ‘কলামগুচ্ছ’; ‘কালো অক্ষরে রক্তাভ তুমি’; ‘তৃতীয় বাংলার চোখে’ সহ মূল্যবান কয়েকটি গ্রন্থ। শহীদ বুদ্ধিজীবী এবং বিশিষ্ট জনদের অজানা বিষয় নিয়ে বড় একটি গ্রন্থ রচনা করার কাজে তিনি সময় দিচ্ছেন।
শুরুতেই জনাব গামা আব্দুল কাদির বলেন ,”অজয় দাসগুপ্ত একজন অত্যন্ত গুণী মানুষ যার সাহিত্য কর্ম পড়েন দেশে বিদেশে অনেকেই। একটা প্রথা ভাঙ্গার জন্য কয়েকজন মিলে সিদ্ধান্ত নেই, গুণী মানুষদেরকে জীবদ্দশায় সম্মানিত করা উচিত। তাই আজকের এই উদ্যোগ। এই ধরণের কাজে যারা সারা দিয়েছেন তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই এবং আপনাদের সহযোগীতা পেলে সামনে এই ধারা বজায়ে রাখবো। ”
উপস্থিত বিশিষ্টজনদের মধ্যে সংক্ষিপ্ত আকারে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন উনার সহধর্মিনী দিপা দাসগুপ্ত ও অর্ক দাসগুপ্ত।
দিপা দাসগুপ্ত বলেন,” আমাদের ৩৫ বছরের জীবনে দুইটি সন্তান রয়েছে। একটি হলো আমাদের ছেলে অর্ক আর একটি হলো অজয়ের লেখালেখি যাকে আমি বলি আমাদের মেয়ে। সুতরাং , অজয়ের লেখালেখিতে আমি কখনো অনুৎসাহ দেখায়নি।”
বঙ্গবন্ধু কাউন্সিল অফ অস্ট্রেলিয়ার প্রেসিডেন্ট শেখ শামীমুল হক বলেন,” আমি যতদিন অস্ট্রেলিয়াতে ততোদিন ধরে অজয় দাসগুপ্তকে চিনি। এমন একজন গুণী লোককে এইভাবে জন্মদিনের শুভেচ্ছা দেয়ার উদ্যোগে আমি সত্যি আনন্দিত। আমি গামা ভাইকে এই ভালো কাজের জন্য অন্তর থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই। ”
প্রশান্তিকার সম্পাদক আতিকুর রহমান শুভ বলেন, ” সিডনিতে আমাদের প্রশান্তিকা পত্রিকার নামটি দিয়েছেন এই গুণী মানুষটি, তার সুস্থ্য দীৰ্ঘায়ু কামনা করি সর্বদা। ”
আয়োজকদের অন্যতম মোঃ সফিকুল আলম সফিক বলেন ,” অজয় দাসগুপ্তের জন্মদিনের আয়োজন এপর্যন্ত করা সকল আয়োজনের মধ্যে বিশেষ একটি। ভবিষ্যতে আরও গুণী লোকজনদেরকে আমরা সম্মানিত করবো। ”
সংগীত শিল্পী আতিক হেলাল আহবানে সারা দিয়ে উপস্থিত সকলে দাঁড়িয়ে একযোগে গানেই তালে তালে অজয় দাসগুপ্তকে হ্যাপি বার্থডে গানটি গেয়ে শুনান।
এছাড়াও শুভেচ্ছা জানান মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাত হোসাইন, মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, ড. মোহাম্মদ আলী, মোশারফ হোসেন, অশোক অধিকারী, কাজী সুলতানা শিমি , পল মধু, কায়সার আহমেদ, শাহীন শাহনেওয়াজ, ইন্জিনিয়ার মোঃ নজরুল ইসলাম সাচ্চু, ইন্জিনিয়ার সাজ্জাদ সিদ্দিক,লিয়াকত আলী লিটন মাঝি। সাহিত্যচর্চা এবং ব্যক্তিগত জীবনের বন্ধুত্ব নিয়ে স্মৃতিচারণ করে তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করেন সবাই।
শাহানা চৌধুরী অজয় দাসগুপ্তের ওপর রচিত সংগীত পরিবেশন করেন। সর্বশেষে সকলকে নিয়ে অজয় দাশগুপ্ত কেক কাটেন এবং রাতের খাবারের আমন্ত্রণ জানিয়ে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি টানেন গামা আব্দুল কাদির।