বিনম্র শ্রদ্ধা এবং ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সিডনীতে পালিত হলো অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৩। দিবসটি পালনে সিডনিস্থ কনস্যুলেট জেনারেল এক বিস্তারিত কর্মসূচির আয়োজন করে। দিবসের শুরুতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচির সূচনা করা হয়। সন্ধ্যায়, কনস্যুলেটে প্রবাসী বাংলাদেশীদের উপস্থিতিতে অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এক আলোচনা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হওয়া এ পর্বে ছিল পবিত্র ধর্মগ্রন্থসমূহ থেকে পাঠ, ভাষা শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন, দিবসটি উপলক্ষে প্রেরিত বাণীসমূহ পাঠ ও কনসাল জেনারেলের স্বাগত বক্তব্য। এছাড়াও, মহান ভাষা আন্দোলনের শহিদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং বাংলাদেশের অব্যাহত শান্তি ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
কনসাল জেনারেল শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহান ভাষা আন্দোলনে আত্মত্যাগকারী সকল শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং ভাষা আন্দোলন ও পরবর্তী সময়ে বাঙ্গালির অধিকার আদায়ের সংগ্রামে জাতির পিতার বলিষ্ঠ ও ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্বের কথা কৃতজ্ঞতাভরে স্মরণ করেন। তিনি বলেন পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব ও প্রবাসী বাংলাদেশীদের অক্লান্ত প্রচেষ্টা ১৯৯৯ সালে ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশীদের তাদের সন্তানদেরকে মাতৃভাষার উপর চর্চা অব্যাহত রাখা, গৃহে মাতৃভাষার ব্যবহার ও প্রয়োজনে স্কুলের মাধ্যমে ভাষা ধরে রাখার জন্য অনুরোধ করেন। তিনি এই বছরের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রতিপাদ্য – “বহুভাষায় শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থা রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তা” -এর উপরও আলোকপাত করেন।
আলোচনা পর্ব শেষে স্থানীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন উপস্থিত অভ্যাগতবৃন্দ। সিডনি-ভিত্তিক সাংস্কৃতিক সংগঠন “কবিতার বিকেল” একুশের গান, আবৃত্তি এবং ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্রের সমন্বয়ে এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা দিয়ে উপস্থিত সকলকে মুগ্ধ করে। আমন্ত্রিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)