গত ১২ মার্চ সিডনির ইঙ্গেলবার্নের গ্রেগ পার্সিভাল হলে বঙ্গবন্ধু পরিষদ অস্ট্রেলিয়ার আয়োজনে স্বাধীনতার ৫৩ তম বর্ষ পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরান থেকে তেলোয়াত পাঠ করেন নজরুল ইসলাম ও গীতা পাঠ করেন ড. রতন কুন্ডু ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সমবেত কণ্ঠে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত গাওয়া হয় , পরবর্তীতে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ভাষনের উল্লেখযোগ্য অংশ তুলে ধরা হয় বড় পর্দায়।
বঙ্গবন্ধু পরিষদ অস্ট্রেলিয়ার কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফুল দিয়ে বরণ করেন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধারা ১৯৭১ সালের যুদ্ধের কিছু স্মৃতিচারণ করেন।
অস্ট্রেলিয়ায় বেড়ে উঠা কিশোরী লামিয়া সাঈদ ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নতুন প্রজনামের জন্য তুলে ধরে।
ফারিয়া আহমেদের সঞ্চালনায় সাংস্কৃতিক পর্বে প্রথমেই ছিল মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক দলীয় ও একক গানের পরিবেশনা। গান পরিবেশনা করেন ফারিয়া আহমেদ , লুনিয়া আহমেদ , সুলতানা নূর ও নিলুফার ইয়াসমিন। কবিতা আবৃত্তি করেন পলি ফরহাদ ও পূরবী বড়ুয়া। তবলায় সহায়তা করেন বিজয় সাহা এবং গিটারে ছিলেন বনফুল।
নাচ পরিবেশনে অংশ নেয় অর্পিতা সোমের তত্ত্বাবধানে ছোট শিশুদের একটি দল এবং মৌসুমী সাহার নেতৃত্বে নৃত্যকলা ড্যান্স একাডেমি।
তানিম আল মিনারুল মান্নানের তত্ত্বাবধানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ছিল বাংলাদেশ থেকে দুই নামি শিল্পীর পরিবেশনা। বিশিষ্ট গায়ক কনক আদিত্য গান গেয়ে মাতিয়ে রাখেন উপস্থিত সকলকে। সবশেষে গান পরিবেশন করেন একধিক গুনের অধিকারী সদ্য অস্ট্রেলিয়াতে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘দেশান্তর’ চলচিত্রের পরিচালক এবং গায়ক আশোতোষ সুজন ।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন আমন্ত্রিত বাংলাদেশ হয় কমিশনের সিডনির কনসাল জেনারেল মোঃ শাখাওয়াত হোসেন। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন ড. প্রদীপ রায়হান।
অনুষ্ঠানের শেষে সংগঠনের সভাপতি ড. রফিকুল ইসলাম উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাতের খাবারের জন্য আহবান জানিয়ে আনুষ্ঠানিক পরিসমাপ্তি টানেন।
অনুষ্ঠানের শব্দ নিয়ন্ত্রণে চিলি মিঠু স্বপ্ন এবং মাল্টিমিডিয়াতে ছিলেন জাকি খন্দকার। সার্বিক সহায়তায় ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা রফিক উদ্দিন।