মোঃ ইসফাকুর রহমান সিফাতের (২৩) জানাজা আজকে ডারউইন মসজিদে বাদ জোহর অনুষ্ঠিত হবে।
সিফাতকে নিয়ে শুধু চার্লস ডারউইন ইউনিভার্সিটি নয়, সম্পূর্ণ নর্থের্ন টেরিটরির সমস্ত ইউনিভার্সিটি ছাত্রদের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। গত সপ্তাহে বুধবার সকাল ৪:৩০ এর দিকে জরুরী বিভাগের কর্মীরা মারাত্মক আহত অবস্থায় সিফাতকে রয়েল ডারউইন হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪:৩৫ এর দিকে সবাইকে রেখে চলে যায়। ২৯ বছরের একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে এবং তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে ঘর ভেঙ্গে চুরি এবং বাড়ির মানুষকে আক্রমণ এবং হত্যার অভিযোগের।
সিফাত মাত্র ঘুমন্ত সিফাতের বাসায় মাথায় আঘাতের কারণে সে আর ফিরতে পারেনি।
সিফাত মাস্টার্স শেষে চার্লস ডারউইন ইউনিভার্সিটিতে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তেদেশ ছেড়েছে ফেব্রুয়ারীর ২০ তারিখে। তার বাবা মুস্তাফিজুর রহমান ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন তাঁদের একমাত্র ছেলের অস্ট্রেলিয়া পড়তে যাবার পর পর।
গত শুক্রবার ইউনিভার্সিটিতে সিফাতের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে ছাত্রছাত্রীরা।
গত শনিবার ডারউইন বাংলাদেশ ক্রিকেট খেলার আগে সব ক্লাবে এক মিনিট নীরবতা পালন করে।
ভাইস চান্সলর স্কট বোম্যান তার বিশাল বিবৃতি দেন সিফাতের জন্য। তিনি লিখেন, “সিফাত বাংলাদেশে খুবই ভালোভাবে ইংরেজিতে মাস্টার্স করে আমাদের ইউনিভার্সিটিতে এসেছিলো। সদা হাস্যজ্জ্বল সিফাত মাত্র কয়েক মাসে সবার খুবই প্ৰিয় একজন হয়ে উঠেছিল। সিফাতের চলে যাওয়া আমাদের শিখিয়ে দিলো বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও অনেক নিরাপদ করতে হবে।”
বাংলাদেশ হাই কমিশন সিফাতের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে।
এই ধরণের মৃত্যু যেনো আর না দেখতে হয় সেই জন্য চার্লস ডারউইন ইউনিভার্সিটির ছেলেরা পিটিশন করছে অনলাইনে এবং ইউনিভার্সিটির ছাত্ররাও সিফাতের পরিবারকে সাহায্য করতে ফান্ড রাইজ করছে।