গতানুগতিক ধারার ঈদ উৎযাপনের বাহিরে গিয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধারায় ঈদ উৎযাপিত হলো গত ৫ই মে সন্ধ্যায় সিডনির ব্রাইটনের নভোটেল হোটেলের লাউঞ্জে। ১২ বছর পরে ফেডারেল ও নিউ উথ ওয়েলস রাজ্য দুইটি পর্যায়েই লেবার পার্টি নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আসে। রাজ্য পর্যায়ের সদ্য নির্বাচিত নেতাদের সাথে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান বাংলাদেশীরা প্রথমবারের মতো জাকজমকপূর্ণ ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানটি করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মান্যবর আল্লামা সিদ্দিকী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লেবার সরকারের নিউ সাউথ ওয়েলস সরকারের মন্ত্রী সোফী কোটসিস, জিহাদ দীব. এছাড়াও অতিথি হিসেবে ছিলেন মাল্টিকালচারাল মিনিস্টারের প্রতিনিধি কাউন্সিলর বিল সারাভিনো, ওয়ারেন কিরবি এমপি, নাথান হেগার্টি এমপি, কারিশমা কালিয়ান্ডা এমপি, কাউন্সিলর কার্ল সালেহ, কাউন্সিলর মাসুদ চৌধুরী, হারিস ভেলজি, আয়শা আমজাদ, সিনেট প্রতিদ্বন্দ্বী রিজয়ান চৌধুরী কাউন্সিলর ডারসি লাউন্ডসহ লেবার পার্টির উচ্চ পর্যারের নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে না পেরে ডেপুটি প্রিমিয়ার প্রু কার শুভেচ্ছা বানী পাঠান।
অনুষ্ঠানে ব্যাংকসটাউন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য এবং সাধারণ সেবা , ডিজিটাল সরকার , ইমার্জেন্জি , ইয়ুথ জাস্টিস বিষয়ক মন্ত্রলালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী জিহাদ দীব বলেন, ” আমি প্রথম একজন মুসলমান হিসেবে নিউ সাউথ ওয়েলসের সংসদে নির্বাচিত হই , আমি প্রথম মাল্টিকালচারাল ব্যাকগ্রাউন্ডের একজন নির্বাচিত সদস্য। এর ধারা শুরু করে লেবার পার্টি। আর আজকে সংসদে হিন্দু , বৌদ্ধ ও অন্যান্য ধর্ম ও বর্ণের লোকেরাও আসছে। এই কাজটিতে লেবার পার্টি র বিশাল একটি ভূমিকা রয়েছে। আমি মুসলমান হিসেবে যেমন গর্ব করি লেবার পার্টির একজন নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবেও ততোটা অহংকার বোধ করি। আর আমার নির্বাচনী এলাকায় বিশাল একটা অংশ বাংলাদেশী অস্ট্র্রালিয়ানরা। ”
ক্যানটাবেরি থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশন , ওয়ার্ক হেলথ এবং সেফটি বিষয়ক মন্ত্রী সোফী কোটসিস বলেন ,” বাংলাদেশী অস্ট্রেলিয়ানদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে যার বিশাল একটা অংশ লেবার পার্টির সাথে সরাসরি জড়িত। নিউ সাউথ ওয়েলসের বিশেষকরে সিডনির কয়েকটি আসনে বাংলাদেশী অরিজিন লেবার পার্টির ভোটারদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল লেবারের আসন বিজয়ের জন্য। সেই জন্য আমি কৃতজ্ঞতা জানাই সবার পক্ষ থেকে। ”
এসময়ে সিডনি অনেক সংগঠনের প্রধান ও প্রবাসী লেবার নেতা কর্মীদের উপস্থিতিতে প্রানবন্ত এই অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন মোঃ শফিকুল আলম ও সাজ্জাদ সিদ্দিকী, বক্তব্য রাখেন শেখ শামীমুল হক, ডঃ আব্দুল ওয়াহাব, লিংকন শফিকুল্লাহ, প্রবাসী ছাত্রদের স্বার্থ্য বিষয়ক প্রতিনিধি রাশেদুল আলম খান। সঞ্চালনায় ছিলেন আব্দুল্লাহ আল নোমান শামীম ও শাহরিয়ার পাভেল।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রেস মিডিয়া ক্লাবের পক্ষ থেকে আবু রেজা আরেফীন,আবু ইউসুফ টুটুল, আবু তারিক , কাজী সুলতানা সিমি,ডঃ শাখাওয়াত নয়ন, , আকাশ দে ,বেলাল হোসেন।
এছাড়াও রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠকদের মধ্যে ছিলেন গামা আব্দুল কাদির,শেখ শামিমুল হক , বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদাত হোসেন,ডঃ লাভলী রহমান,আফ্রিনা চৌধুরী, সাহাদাত সুমন। আয়োজকদের মধ্যে আলী আশরাফ হিমেল, মহিউদ্দীন মহী। এছাড়াও ছিলেন আব্দুল হক, ডঃ স্বপন পাল, ডাঃ মাইনুল হোসেন, সাইফুল হোসেন, নাসিম সামাদ, কায়সার আহমেদ, শাহীন শাহনেয়াজ , আতিক হেলাল, আফরিনা মিতা, দিবাকর সমাদ্দার, সুরজিত রয়, ব্যারিস্টার ইশরাক আহমেদ, শিরিন আকতার, ডঃ মুকুল, পল মধু, কামাল পাশা, নুসরাত জাহান স্মৃতি, লিয়াকত আলীসহ,এছাড়াও আরো অনেকে। আরো উপস্থিত ছিলেন ক্যানবেরাস্থ হাইকমিশনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা তাহলীল দিলওয়ার মুন, মোঃ সালাউদ্দিন, নুরুল আলম।
মনোজ্ঞ সঙ্গীত পরিবেশন করেন মারিয়া মুন ও জুই সেন পাল। ক্লাসিকেল নাচ পরিবেশন করেন নৃত্যাঞ্জলী’র মৌসুমী সাহা ও তাঁর দল এবং নটরাজ’এর শ্রেয়শী দাস।