অস্ট্রেলিয়ার সিডনিস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল -এর উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২৩ পালিত হয়েছে। শোকাবহ এই দিনটি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করে।
প্রত্যুষে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচির সূচনা করা হয়। এরপরই কনসাল জেনারেল কনস্যুলেটের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে স্বাধীনতার এই মহান স্থপতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সন্ধ্যায় জাতির পিতা ও ১৫ আগস্টে শাহাদাৎবরণকারী সকল শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় জাতীয় শোক দিবসের দ্বিতীয় পর্ব ও আলোচনা অনুষ্ঠান। অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিলো দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রেরিত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন। পরে কনসাল জেনারেল বঙ্গবন্ধুর গৌরবময় জীবন, কর্ম ও দেশের প্রতি তার অসামান্য অবদানের ওপর বক্তব্য পেশ করেন।
কনসাল জেনারেল তার বক্তব্যের শুরুতেই শোকাবহ আগস্ট মাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যসহ ১৫ আগস্টে শাহাদাৎবরণকারী সকল শহিদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য জীবনের নানা দিক তুলে ধরে আলোচনা করেন। তিনি বলেন বঙ্গবন্ধু কেবল বাঙালি জাতির নন, তিনি বিশ্বের সকল নিপীড়িত, নিগৃহীত ও শোষিত-বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায় ও মুক্তির প্রতীক। শোককে শক্তিতে পরিণত করার মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ হতে ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ গড়ার লক্ষ্যে গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে কনসাল জেনারেল সকলকে আহ্বান জানান।
আলোচনা শেষে ১৫ই আগস্টের সকল শহিদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
এরপর, সিডনিস্থ বাংলাদেশ কমিউনিটির সংস্কৃতিমনা ব্যাক্তিবর্গ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচিত শোক দিবসের কবিতা আবৃত্তি করেন।
অনুষ্ঠানে সিডনিতে বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
–প্রেস বিজ্ঞপ্তি