গতকাল ১৫ই আগস্ট (২০২৩) মঙ্গলবার মেলবোর্ন আওয়ামী লীগ, অষ্ট্রেলিয়া শাখার উদ্যোগে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল আয়োজনের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়।
মেলবোর্ন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে দলের সাধারন সম্পাদক মোল্লা মোঃ রাশিদুল হক সবাইকে স্বাগত জানিয়ে কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু করেন। অতঃপর ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টে শহীদ সকলের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
তথ্য ও গবেষণামূলক এই অনলাইন আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে আলোচনা করা ছাড়াও বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের প্রেক্ষাপট তৈরী, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের বিচার এবং হত্যাকান্ডের পরবর্তী বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে এক গবেষণামূলক প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়াও স্বাধীনতা বিরোধীদের চক্রান্তে বঙ্গবন্ধুকে খুন করায় দেশের যে ব্যাপক অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষতি সাধিত হয়েছে তার উপর আলোকপাত করা হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন দিক এর উপর দৃষ্টিপাত করেন। বক্তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে দূর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ এবং আওয়ামী লীগে বঙ্গবন্ধু এবং স্বাধীনতার চেতনাবিহীন অনুপ্রবেশকারীমুক্ত দল আশা করেন। তারা বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে তাদের শাস্তি কার্যকর করার দাবী জানান।
ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি এডভোকেট ড. সিরাজুল হক, মেলবোর্ন আওয়ামী লীগের উপদেস্টা, জ্বালানী বিশেষজ্ঞ, কনসালটেন্ট, ও বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার সালেক সূফি, নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশ সরকারের অনারারী কনসাল বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার শফিকুর রহমান অনু, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় ত্রান ও সমাজকল্যান উপকমিটির সদস্য নুরুল হক সজীব, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সাদি ইসলাম জয়, সিঙ্গাপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি সালাউদ্দিন রানা, মেলবোর্ন যুবলীগের সভাপতি মোঃ জেমস খান, মেলবোর্ন যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক ফাহাদ চৌধুরী, মেলবোর্ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আজহারুল ইসলাম সোহাগ, আওয়ামী লীগ নেতা এস এম মাযহারুল ইসলাম, মতলব (দঃ) ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মোঃ মিরাজ সরকার সহ আরও অনেকে।
অতঃপর অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ, ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টে বঙ্গবন্ধু, ওনার পরিবারের সকল শহীদসহ ঐদিন যারা শহীদ হয়েছিলেন, ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় যারা শহীদ হয়েছিলেন, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত দেশের জন্যে প্রান দেয়া সকল শহীদের জন্যে দোয়া করা হয়।