ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ায় গত ২১ আগস্ট বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলা দিবসে ২০০৪ সালে তৎকালীন বিএনপি জামাত জোট সরকার কর্তৃক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা, তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার অপচেষ্টায় গ্রেনেট হামলায় নিহত শহীদদের স্বরনে শোক ৱ্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে সোমবার (২১ আগস্ট) দুপুরে উপজেলা শহরের ফুল্লরা চত্বর থেকে একটি বিশাল শোক ৱ্যালি শুরু হয়।ৱ্যালিটির নেতৃত্ব দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী, নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানে প্রথম সারিতে নেতৃত্বদানকারী ও আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ ৬ ফুলবাড়ীয়া আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সেলিমা বেগম সালমা। মিছিলে জামাত বিএনপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগান দেন তিনি।
এসময় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ ও মহিলা আওয়ামী লীগ সহ সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে ৱ্যালিটি শহরের পশ্চিম বাজারে উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে সেলিমা বেগম সালমা বলেন
,” সারা বাংলাদেশে তখন রাস্তাঘাট ছিল না কিন্তু ১০ ট্রাক অস্ত্র এনেছিল সন্ত্রাস করার জন্য যার সাথে সরাসরি জড়িত ছিল তারেক জিয়া। ২০০৫ এ ১৯ অগাস্ট সারা দেশে সিরিজ বোমা ফুটিয়ে সারা বাংলাদেশকে আতংকিত করতে চেয়েছিল। ”
” ২১ আগস্ট ২০০৪ সালে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সভামঞ্চে চারদিক দিয়ে গ্রেনেড হামলা চালায় এবং অগণিত আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীর নিথর দেহ মাটিতে পরে ছিল। আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে কোনো মামলা নিতে মণ করা হয়েছিল। তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন খালেদা জিয়া , আর এই হত্যার সাথে সরাসরি যুক্ত ছিল উনার ছেলে তারেক জিয়া , তৎকালীন সরাষ্ট্রমন্ত্রী বাবর সহ আরো একজন প্রতিমন্ত্রী এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিলেন। ”
” আল্লাহর অশেষ রহমতে ভাগ্যক্রমে আমাদের প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা জানে বেঁচে যান কিন্তু উনার দেহরক্ষী প্রাণ হারায় উনাকে বাঁচাতে গিয়ে , প্রাণ হারাযা আওয়ামীলীগের ২২ জন নেতাকর্মী। ”
“আমরা সারা বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর সৈনিকেরা প্রিয় নেত্রীর হাতকে শক্তিশালী করার জন্য এখন ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছি। ধিক্কার জানাই ঐরকম জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসবাদ জামাত প্রেমী বিএনপিকে যারা সারা বাংলাদেশের মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে পারে নাই , বাংলাদেশের মানুষের ঘরে খাবার দিতে পারে নাই , তাদেরকে ধিক্কার জানাই। ”
“প্রতিবার নির্বাচন আসলেই বিভিন্নভাবে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে, অপ প্রচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চায়। ”
“মনোনয়ন অনেকেই চাইবেন। কিন্তু প্রিয় নেত্রী এবং দলের মনোনয়ন বোর্ড একজনকেই মনোনয়ন দিবেন। আগামী দ্বাদশ নির্বাচনে যাকেই মনোনয়ন দিবেন নেত্রী ফুলবাড়িয়াতে ঐক্যবদ্ধভাবে নৌকাকে জয়ী করতে চাই।। আমরা অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে সারা ফুলবাড়ীয়ায় ১২৬ ওয়ার্ডের ৩০২ টা উঠান বৈঠক করেছি গত এক বছরে। ১৩৫ টা জনসভা করেছি। আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার নারী নেতৃবৃন্দদের যারা পদহীন অবস্থায় রয়েছেন , যারা পদের জন্য তোয়াক্কা করেন না ,তারা প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে ভালোবেসে মাঠের ভোটারদের সাথে রয়েছেন , সরকারের উন্নয়নের গল্প করে আগামী নির্বাচনে নৌকাকে জয়ী করার জন্য আহবান জানাচ্ছেন। আমরা আগামীতে ফুলবাড়িয়াতে সুন্দর সুষ্ঠূ নির্বাচন উপহার দিতে চাই। ”
অনুষ্ঠানে অন্যান্য নেতৃবৃন্দও বক্তব্য রাখেন। আলোচনা অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ ও মহিলা আওয়ামী লীগ সহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন।