আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদীয় আসন ১৫১ ময়মনসিংহ ৬ ফুলবাড়ীয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত নির্বাচনী এলাকায় বর্তমান সরকারের উন্নয়ন প্রচার ও নৌকা প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভার ১২৬টি ওয়ার্ডের পাড়া মহল্লা চষে বেড়াচ্ছেন নারী নেতৃত্বের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র, ফুলবাড়ীয়ার অগ্নিকন্যা নামে পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হল ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সেলিমা বেগম সালমা। দীর্ঘদিন ধরে ফুলবাড়ীয়া বাসীর সাথে রয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই ফুলবাড়ীয়া উপজেলায় প্রায় তিন শতাধিক উঠান বৈঠক ও প্রায় দেড় শতাধিক পথসভা সম্পন্ন করে গণসংযোগে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন তিনি। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক ভাবে মাঠে থেকে ফুলবাড়ীয়ার সর্বস্তরের সাধারণ মানুষের পাশে রয়েছেন সেলিমা বেগম সালমা।
সেলিমা বেগম সালমা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত অবস্থায় ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থেকে ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী গণ আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। সেই থেকেই দেশের রাজনীতির পাশাপাশি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বিশেষ করে ফুলবাড়ীয়ায় জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে সেলিমা বেগম সালমার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আলোচিত হয়। ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজ , ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফার্মেসীতে মাস্টার্স এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে স্বাস্থ্য সেবার উপর পোস্ট গ্রাজুয়েশন করেন।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ফুলবাড়ীয়া আসনে নৌকাকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে উপজেলার প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের বিভিন্ন গ্রাম ও পাড়া মহল্লায় আনাচে কানাচে মহিলা ভোটারদের সংস্পর্শে উপস্থিত হয়ে তাদের কাছে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন বর্ণনা করছেন সেলিমা বেগম সালমা। এছাড়াও বিভিন্ন বাজার, ঘাট ও মোড়ে মোড়ে পুরুষ ভোটারদের সাথেও নৌকার সরকারের কথা বলছেন তিনি। এছাড়াও জাতীয় ও দলীয় প্রোগ্রাম গুলোতেও সোচ্চার রয়েছেন তিনি।
সেলিমা বেগমের উঠান বৈঠক সারা বাংলাদেশে ব্যাপক সারা ফেলে এবং বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় প্রচার সেল প্রায়শই সেই উঠান বৈঠকের ভিডিও ও ছবি তাদের প্রচার সেলে পাবলিশ করছেন। এক সাক্ষাতে সেলিমা জানান ,” আমি উঠান বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের ১৫ বছরের উন্নয়নের কথা গ্রামের মানুষের কাছে তুলে ধরছি, ১০০ ভাগ বিদ্যুৎ পৌঁছে দেবার কথা বলি , তুলে ধরি পদ্মা সেতু, মেট্রো রেল তৈরীর গল্প , ফুলবাড়ীয়া সহ সারা দেশের রাস্তাঘাট উন্নয়নেই কথা বলি , বিনাবেতনে মেয়েদের শিক্ষা ব্যবস্থা পৌঁছে দেবার কাজ গুলো বলি ,মেয়েদের স্বনির্ভরতা ও অর্থনৈতিক মুক্তির কথা বলি , স্কুল মাদ্রাসার উন্নয়ন গল্প করি , বয়স্ক ভাতা ও ছাত্র বৃত্তি দেয়ার কথা তুলে ধরি এবং মানুষকে সন্ত্রাসী জীবন থেকে মুক্তি এনে দেবার গল্প বলি। বলি চিকিৎসা খাতে উন্নয়নের গল্প। আমি ফুলবাড়িয়ার মানুষের ভাষা বুঝি এবং ওরাও আমার ভাষা বুঝে। তাই ওদের সাথে আমার সম্পর্ক খুবই গভীর। আমি নৌকার হয়ে কাজ করতে চাই। নেত্রী যাকেই যোগ্য মনে করে নৌকা প্রতীক দিবেন ,আমরা তার হয়ে কাজ করবো এবং সকলে মিলে ফুলবাড়ীয়া থেকে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করবো। ”
উপজেলার তৃণমূলে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমান এই আসনে সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী সেলিমা বেগম সালমা যেভাবে সাধারণ মানুষের পাশে আসছে, মানুষের ঘরে ঘরে যাচ্ছেন এবং তাদের সাথে কথা বলছেন এটি একটি বিরল ঘটনা। এখন পর্যন্ত ফুলবাড়ীয়াতে কোন প্রার্থীই এরকম জনসংযোগ করেননি। ভবিষ্যতে সেলিমা বেগম সালমা এমপি হোক বা না হোক ফুলবাড়ীয়ার মানুষ তার এই কর্মকান্ড ভুলবেন না।
তৃণমূলের নেতারা বলছেন, সেলিমা বেগম সালমা একজন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ। ফুলবাড়ীয়াতে সেলিমা বেগম সালমা বিভিন্ন সময় দূর্নীতি ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি সর্বদা সজাগ দৃষ্টি রাখার পাশাপাশি সোচ্চার ভূমিকা পালন করেন। তাই সেলিমা বেগম সালমার মতো ব্যাক্তিকে এমপি হিসেবে আসার বিকল্প নেই।
উপজেলাবাসীর দাবী, একজন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ সেলিমা বেগম সালমা। তিনি সর্বদা মানুষের পাশে থাকেন। তাই আগামী নির্বাচনে তাকে ফুলবাড়ীয়া আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী করলে বিপুল ভোটে নৌকা বিজয়ী হবে।