গতকাল ১৭ সেপ্টেম্বর রবিবার সিডনির পন্ডসের জোনাস ব্র্যাডলি ওভালে ব্যাপক সাড়া দিয়ে ডিমেনশিয়া অস্ট্রেলিয়ার ফান্ড রেইসিং অনুষ্ঠিত হলো। চমৎকার আবহাওয়া ও পরিবেশ থাকতে সিডনির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে এসেছিলেন “Forget me Not” নামে একটি দাতব্য কার্যক্রমের সাথে নিজেদের সংযুক্ত করতে। সকাল ১১ টা থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত নানা ধরণের পিঠা পুলি , ঝালমুড়ি , চটপটি ,পরাটা , বিরিয়ানি , কাপ কেক, মিষ্টি ও অন্যান্য বাঙ্গালী খাবার দাবার নিয়ে দুই প্রজন্মের একটি টিম কয়েকটি স্টল দিয়েছিলো ফান্ড রেইজিং করার জন্য।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় থাকা ইমতিয়াজ রিশা , একটু পরপর মাইকে স্টলগুলোর মজার নাম ও কি ধরণের মজাদার খাবার পাওয়া যাচ্ছে তা বারবার বলছিলো। ‘সুজন সখী’,’প্রিয়তমা’, ‘পোড়ামন’ , ‘ছুটির ঘন্টা ‘ ও ‘সার্চ দি খোঁজ’ স্টলগুলিতে উপচে পড়া ভিড় ছিল। স্টলগুলো খাবার বিক্রি করে সম্পূর্ণ অর্থই ডিমেনশিয়া অস্ট্রেলিয়ার ফান্ডে জমা দেয়ার জন্য কাজ করেছে। সব মিলিয়ে পাঁচ শতাধিক মানুষ এসেছিলো এই মহান কাজে নিজেদের সংযুক্ত করতে। একটি ব্যাপার লক্ষণীয় ছিল , নতুন প্রজন্মের কিশোর কিশোরীদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি। নতুন প্রজন্মের সক্রিয় অংশগ্রহণ বিষয়ে জানতে চাইলে এই মহৎ কাজের অন্যতম উদ্যোক্তা সৈয়দ মুরাদ হোসেন জানান ,”আমরাতো কাজটা শুরু করেছিলাম গত ২০২২ সালে নতুন প্রজন্মদের পাশে নিয়েই,যেন সবার মাঝে ডিমেনশিয়া সম্পর্কে একটা ভালো ধারণা তৈরী হয় , আর এই কাজটা তখনই ব্যাপকতা পায় যখন নতুন প্রজন্ম সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। ”
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের রিভারস্টোনেই সংসদ সদস্য ওয়ারেন কারবি। তিনি উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বলেন ,”অস্ট্রেলিয়ার স্বাস্থ্যখাতে অন্যতম সমস্যার একটি হলো ডিমেনশিয়া , আর এই রোগের কোনো চিকিৎসা এখনো আবিষ্কৃত হয়নি কিন্তু অদূর ভবিষ্যতে তা অবশ্যই আবিষ্কৃত হবে বলেই আমাদের বিশ্বাস। আর সেটার জন্য দরকার গবেষণা এবং গবেষণা চালিয়ে যেতে প্রয়োজন অর্থের । অস্ট্রেলিয়ার সরকার অত্যন্ত সচেষ্ট ডিমেনশিয়া রোগের গবেষণার ব্যাপারে। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই “Forget me Not” সংগঠনটিকে তারা একটি মহৎ কাজের মাধ্যমে ডিমেনশিয়া অস্ট্রেলিয়ার গবেষণার জন্য অর্থ উত্তোলন করছে। “