সিডনির প্ল এন্ড হেরো পার্কে ঢাকা কলেজে অ্যালামনাই এসোসিয়েশন অস্ট্রেলিয়ার মিলনমেলা অনুষ্ঠিত !

সিডনির প্ল এন্ড হেরো পার্কে ঢাকা কলেজে অ্যালামনাই এসোসিয়েশন অস্ট্রেলিয়ার মিলনমেলা অনুষ্ঠিত !

ঢাকা কলেজের অ্যালামনাই এসোসিয়েশন অস্ট্রেলিয়ার আয়োজনে “চলো আজ মিলাই প্রাণ আমরা সবাই ডিসিয়ান ” এই স্লোগানে ১১ নভেম্বর শনিবার সিডনির প্ল এন্ড হেরো পার্কে আয়োজন করা হয় ঢাকা কলেজের সাবেক ছাত্রদের নিয়ে একটি বারবিকিউ অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে সিডনির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঢাকা কলেজ অ্যালামনাই পরিবার মিলিত হয়েছিল আনন্দ উৎসব করার জন্য।
চমৎকার আবাহাওয়া এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য পরিপূর্ণ এই পার্কে সকাল ১১ টা থেকে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে জড়ো হতে থাকে অ্যালামনাই পরিবারের সদস্যরা। নানান ধরণের মজাদার খাবার বারবিকিউ করেন অ্যালামনাইদের পক্ষ থেকে একদল ভলান্টিয়ার।
বারবিকিউ পর্বের শেষে প্রায় শতাধিক অ্যালামনাই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আয়োজন করা হয় আনন্দ পর্ব। অ্যালামনাই এবং পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আয়োজন করা হয়েছিল পেনাল্টি গোল প্রতিযোগিতা , পিলো পাসিং , দৌড় প্রতিযোগিতা।

বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সেরা কলেজের সেরা ছাত্ররা একত্রিত হয়েছিলেন সিডনিতে যেখানে উপস্থিত ছিলেন সিডনিতে বসবাসরত ১৯৬৫ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সকল বয়স ও বহুবিধ পেশার প্রতিষ্ঠিত অ্যালামনাইরা।

সবচেয়ে পুরাতন অ্যালামনাইদের মোস্তফা আব্দুল্লাহ বলেন ,”আমি ১৯৬৫ সালে এইচ এস সি পাশ করলেও এইখানে আসলে আমি মনে করি আমি একজন চিরতরুণ। ”
অ্যালামনাই প্রফেসর (অবঃ ) আলী উনার লেখা বইগুলো অ্যালামনাই পরিবারদের মধ্যে বিক্রি করে যে অর্থ পান, সম্পূর্ণ অর্থ ঢাকা কলেজের অ্যালামনাই এসোসিয়েশনকে দিয়ে দেন। অ্যালামনাইদের এই অনুষ্ঠানটিতে আয়োজনের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান এবং বলেন ,” এইখানে এসে খুবই ভালো লাগছে ,ভবিষ্যতে আরও অনেক বড় হবে এই সংগঠনটি এই আমি দেখতে চাই। ”

সময়ের বিবর্তনের সাথে কলেজ জীবনের নানান গল্প ও আড্ডায় মেতে উঠেন তিন জেনারেশনের অ্যালামনাই পরিবার। অনেকেই ফিরে গিয়েছিলেন তারুণ্যের সেরা দিনগুলোতে। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে ছিল রাফেল ড্র এবং খেলায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ। এই পর্বটি পরিচালনা করেন পাভেল দেওয়ান এবং আব্দুল্লাহ আল মামুন। শেষ পর্যায়ে গ্ৰুপ ছবি তোলা হয় অ্যালামনাই পরিবারদের নিয়ে।

ঢাকা কলেজের অ্যালামনাই এসোসিয়েশন অস্ট্রেলিয়ার যাত্রা শুরু হয় ১৬ জুলাই ২০২৩ সালে সিডনিতে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। এরই ধারাবাহিকতায় ১১ নভেম্বরের এই আয়োজন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শামীম জানান, “আমাদের এই সংগঠন শুধু নিউ সাউথ ওয়েলসে সীমাবদ্ধ রাখবো না, আগামীতে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিটা রাজ্যে এর বিস্তার করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাবো।”

আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে সংগঠনটির সভাপতি আবু তারিক বলেন ,”চমৎকার এই অনুষ্ঠানটিতে আসার জন্য উপস্থিত সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই এবং কৃতজ্ঞতা জানাই এই অনুষ্ঠানটি সাফল্যমন্ডিত করার কারিগরদের । আগামী বছর জুলাই মাসে আরও ব্যাপকভাবে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে যেখানে সারা অস্ট্রেলিয়া থেকে অ্যালামনাই সদস্যদেরকেও দেখা যাবে।”